গাদ্দাফি-যুগের সমাপ্তি
চলতি বছরের শুরুর দিকের আরব বিশ্বজুড়ে ওঠা গণ-আন্দোলনের ছোঁয়া লিবিয়ায়ও এসে লাগে। একনায়ক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহে সমর্থন দেয় পশ্চিমা বিশ্ব। সামাজিক যোগাযোগভিত্তিক ওয়েবসাইট ফেসবুকের মাধ্যমে জেগে ওঠা আন্দোলন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে রূপ নেয়।১৪ ফেব্রুয়ারি : মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পতনের তিন দিন পর গণতন্ত্রের দাবিতে ও লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশের আহ্বান জানানো হয় ফেসবুকে।
১৬ ফেব্রুয়ারি : ফেসবুকের প্রচারণায় সাড়া দিয়ে দুই শতাধিক লিবীয় নাগরিক দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এক মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বিক্ষোভ মিছিলে রূপ নেয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি : আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনের খবর প্রচারিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন গাদ্দাফি। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, গুণমুগ্ধ জনগণ গাদ্দাফির পক্ষেই আছে। তারা লিবিয়ার রাস্তায় গাদ্দাফির গাড়িকে ঘিরে স্লোগান দিচ্ছে এবং জাতীয় পতাকা নাড়িয়ে গান গাইছে। একই দিন বেনগাজি শহরের রাস্তায় গাদ্দাফির স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
১৯ ফেব্রুয়ারি : বেনগাজির রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলতে থাকে। কমপক্ষে ৮৪ জন নিহত ও সহস্রাধিক লোক আহত হয়। গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলন বেনগাজি ছাড়িয়ে লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ত্রিপোলিতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
২১ ফেব্রুয়ারি : কিউরিনা নামক দেশটির একটি বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র দাবি করে, চলমান অরাজকতার প্রতিবাদে লিবিয়ার আইন ও বিচারমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
২২ ফেব্রুয়ারি : রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেন গাদ্দাফি। দাবি করেন, তিনি দেশটির সরকারের কোনো অংশ নন, তাই তাঁর পদত্যাগের দাবি অবান্তর। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আল-কায়েদার যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেন তিনি।
২৩ ফেব্রুয়ারি : জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গাদ্দাফি বাহিনীর অব্যাহত আক্রমণকে মানবাধিকারের বিরুদ্ধে 'ভয়াবহ আগ্রাসন' হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি দাবি করেন, লিবিয়ায় গণহত্যা চলছে এবং শত শত নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের নিয়ন্ত্রিত বিশ্বের সব স্থানে গাদ্দাফি পরিবারের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি : জরুরি বৈঠক ডাকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লিবিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ লিবিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে জাতিসংঘের অন্তর্গত বিশ্বের সব দেশে গাদ্দাফি পরিবারের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং বিশ্বের সর্বত্র তাদের সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি : ইউরোপীয় ইউনিয়নও লিবিয়ায় অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই সঙ্গে গাদ্দাফি পরিবারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা।
১৭ মার্চ : জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লিবিয়ার আকাশে 'নো ফ্লাই জোন' করার ব্যাপারে ভোটাভুটি হয়। ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে পাঁচটি ভোটদানে বিরত থাকায় ১০-০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।
১৮ মার্চ : লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা কুসা যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেন।
১৯ মার্চ : লিবিয়ায় ন্যাটো বাহিনীর 'অপারেশন অডিসি' অভিযান শুরু। বেনগাজিসহ লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই।
২৪ মার্চ : ন্যাটো লিবিয়ায় 'নো ফ্লাই জোনে'র নেতৃত্ব গ্রহণ করে।
২৫-৩০ মার্চ : গাদ্দাফি বাহিনীর ওপর ন্যাটো বাহিনীর প্রচণ্ড বিমান আক্রমণ। স্থলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তুমুল লড়াই। শত শত হতাহত।
১ মে : ন্যাটোর বিমান হামলা থেকে বেঁচে যান গাদ্দাফি। কিন্তু তাঁর ছোট ছেলে সাইফ আল আরব ও তিন নাতি মারা যায়।
২৯ জুন : বিদ্রোহীদের জন্য বিমান থেকে অস্ত্র ফেলার কথা জানায় ফ্রান্স।
১৫ জুলাই : লিবিয়াবিষয়ক আন্তর্জাতিক কন্টাক্ট গ্রুপ এনটিসিকে লিবিয়ার বৈধ সরকারের স্বীকৃতি দেয়। গাদ্দাফি সরকারের জব্দ থাকা সম্পত্তি তাদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
২৮ জুলাই : বিদ্রোহী পক্ষের সামরিক প্রধান আবদেল ফাহাহ ইউনিস গুপ্তহত্যার শিকার হন। এই হত্যাকাণ্ডের দায় গাদ্দাফি অনুগত জঙ্গিদের ওপর চাপানো হয়।
১০ আগস্ট : ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ায়।
২৪ আগস্ট : বিদ্রোহীরা ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির প্রধান কার্যালয় বাব আল আজিজিয়ায় হামলা চালায়। তবে গাদ্দাফি বা তাঁর ছেলেদের নাগাল পেতে ব্যর্থ হয় তারা।
১ সেপ্টেম্বর : জাতিসংঘ ও শক্তিধর দেশগুলো গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য লিবিয়ায় দেড় কোটি ডলার অবমুক্ত করে।
৯ সেপ্টেম্বর : আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে সাইফ আল ইসলাম এবং গোয়েন্দা প্রধান আবদুল্লাহ আল সেনুস্সির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।
১২ সেপ্টেম্বর : নাইজার জানায়, ছেলে সাদিসহ গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ ৩২ লিবীয় নাইজারে প্রবেশ করে।
১৫ সেপ্টেম্বর : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের নিকোলাস সারকোজি লিবিয়া সফর করেন।
১৬ সেপ্টেম্বর : এনটিসিকে লিবিয়ার আসন ব্যবহারের অনুমতি দেয় জাতিসংঘ।
২১ সেপ্টেম্বর : লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সাভা শহর জয়ের ঘোষণা দেয় এনটিসি যোদ্ধারা। তবে সার্তে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয় বিদ্রোহী বাহিনী।
৯ অক্টোবর : এনটিসি যোদ্ধারা সার্তের পুলিশ সদর দপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানের দখল নেয়।
১৪ অক্টোবর : ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির সমর্থকদের সঙ্গে এনটিসি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
১৫ অক্টোবর : গাদ্দাফি বাহিনী সার্তে পাল্টা হামলা চালায়। এনটিসি সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
১৭ অক্টোবর : এনটিসি জানায়, ত্রিপোলির দক্ষিণ-পূর্বের শহর বনি ওয়ালিদ গাদ্দাফি বাহিনীর হাত থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়েছে।
১৮ অক্টোবর : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আকস্মিক সফরে ত্রিপোলি যান।
২০ অক্টোবর : সার্তে গাদ্দাফিকে গুরুতর আহতাবস্থায় আটকের দাবি করে বিদ্রোহীরা। পরে গাদ্দাফির মৃত্যুর কথা ঘোষণা করে এনটিসি সরকারের মুখপাত্র। সূত্র : এএফপি।
১৮ ফেব্রুয়ারি : আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনের খবর প্রচারিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন গাদ্দাফি। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, গুণমুগ্ধ জনগণ গাদ্দাফির পক্ষেই আছে। তারা লিবিয়ার রাস্তায় গাদ্দাফির গাড়িকে ঘিরে স্লোগান দিচ্ছে এবং জাতীয় পতাকা নাড়িয়ে গান গাইছে। একই দিন বেনগাজি শহরের রাস্তায় গাদ্দাফির স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
১৯ ফেব্রুয়ারি : বেনগাজির রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলতে থাকে। কমপক্ষে ৮৪ জন নিহত ও সহস্রাধিক লোক আহত হয়। গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলন বেনগাজি ছাড়িয়ে লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ত্রিপোলিতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
২১ ফেব্রুয়ারি : কিউরিনা নামক দেশটির একটি বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র দাবি করে, চলমান অরাজকতার প্রতিবাদে লিবিয়ার আইন ও বিচারমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
২২ ফেব্রুয়ারি : রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেন গাদ্দাফি। দাবি করেন, তিনি দেশটির সরকারের কোনো অংশ নন, তাই তাঁর পদত্যাগের দাবি অবান্তর। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আল-কায়েদার যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেন তিনি।
২৩ ফেব্রুয়ারি : জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গাদ্দাফি বাহিনীর অব্যাহত আক্রমণকে মানবাধিকারের বিরুদ্ধে 'ভয়াবহ আগ্রাসন' হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি দাবি করেন, লিবিয়ায় গণহত্যা চলছে এবং শত শত নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের নিয়ন্ত্রিত বিশ্বের সব স্থানে গাদ্দাফি পরিবারের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি : জরুরি বৈঠক ডাকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লিবিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ লিবিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে জাতিসংঘের অন্তর্গত বিশ্বের সব দেশে গাদ্দাফি পরিবারের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং বিশ্বের সর্বত্র তাদের সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি : ইউরোপীয় ইউনিয়নও লিবিয়ায় অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই সঙ্গে গাদ্দাফি পরিবারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা।
১৭ মার্চ : জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লিবিয়ার আকাশে 'নো ফ্লাই জোন' করার ব্যাপারে ভোটাভুটি হয়। ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে পাঁচটি ভোটদানে বিরত থাকায় ১০-০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।
১৮ মার্চ : লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা কুসা যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেন।
১৯ মার্চ : লিবিয়ায় ন্যাটো বাহিনীর 'অপারেশন অডিসি' অভিযান শুরু। বেনগাজিসহ লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই।
২৪ মার্চ : ন্যাটো লিবিয়ায় 'নো ফ্লাই জোনে'র নেতৃত্ব গ্রহণ করে।
২৫-৩০ মার্চ : গাদ্দাফি বাহিনীর ওপর ন্যাটো বাহিনীর প্রচণ্ড বিমান আক্রমণ। স্থলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তুমুল লড়াই। শত শত হতাহত।
১ মে : ন্যাটোর বিমান হামলা থেকে বেঁচে যান গাদ্দাফি। কিন্তু তাঁর ছোট ছেলে সাইফ আল আরব ও তিন নাতি মারা যায়।
২৯ জুন : বিদ্রোহীদের জন্য বিমান থেকে অস্ত্র ফেলার কথা জানায় ফ্রান্স।
১৫ জুলাই : লিবিয়াবিষয়ক আন্তর্জাতিক কন্টাক্ট গ্রুপ এনটিসিকে লিবিয়ার বৈধ সরকারের স্বীকৃতি দেয়। গাদ্দাফি সরকারের জব্দ থাকা সম্পত্তি তাদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
২৮ জুলাই : বিদ্রোহী পক্ষের সামরিক প্রধান আবদেল ফাহাহ ইউনিস গুপ্তহত্যার শিকার হন। এই হত্যাকাণ্ডের দায় গাদ্দাফি অনুগত জঙ্গিদের ওপর চাপানো হয়।
১০ আগস্ট : ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ায়।
২৪ আগস্ট : বিদ্রোহীরা ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির প্রধান কার্যালয় বাব আল আজিজিয়ায় হামলা চালায়। তবে গাদ্দাফি বা তাঁর ছেলেদের নাগাল পেতে ব্যর্থ হয় তারা।
১ সেপ্টেম্বর : জাতিসংঘ ও শক্তিধর দেশগুলো গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য লিবিয়ায় দেড় কোটি ডলার অবমুক্ত করে।
৯ সেপ্টেম্বর : আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে সাইফ আল ইসলাম এবং গোয়েন্দা প্রধান আবদুল্লাহ আল সেনুস্সির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।
১২ সেপ্টেম্বর : নাইজার জানায়, ছেলে সাদিসহ গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ ৩২ লিবীয় নাইজারে প্রবেশ করে।
১৫ সেপ্টেম্বর : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের নিকোলাস সারকোজি লিবিয়া সফর করেন।
১৬ সেপ্টেম্বর : এনটিসিকে লিবিয়ার আসন ব্যবহারের অনুমতি দেয় জাতিসংঘ।
২১ সেপ্টেম্বর : লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সাভা শহর জয়ের ঘোষণা দেয় এনটিসি যোদ্ধারা। তবে সার্তে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয় বিদ্রোহী বাহিনী।
৯ অক্টোবর : এনটিসি যোদ্ধারা সার্তের পুলিশ সদর দপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানের দখল নেয়।
১৪ অক্টোবর : ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির সমর্থকদের সঙ্গে এনটিসি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
১৫ অক্টোবর : গাদ্দাফি বাহিনী সার্তে পাল্টা হামলা চালায়। এনটিসি সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
১৭ অক্টোবর : এনটিসি জানায়, ত্রিপোলির দক্ষিণ-পূর্বের শহর বনি ওয়ালিদ গাদ্দাফি বাহিনীর হাত থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়েছে।
১৮ অক্টোবর : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আকস্মিক সফরে ত্রিপোলি যান।
২০ অক্টোবর : সার্তে গাদ্দাফিকে গুরুতর আহতাবস্থায় আটকের দাবি করে বিদ্রোহীরা। পরে গাদ্দাফির মৃত্যুর কথা ঘোষণা করে এনটিসি সরকারের মুখপাত্র। সূত্র : এএফপি।
No comments