মা ইলিশ শিকারের জের-পটুয়াখালীতে ১৪০ টাকার ব্রয়লার মুরগি ৯০ টাকা by এমরান হাসান সোহেল,
পটুয়াখালীতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। লোকসান কমাতে মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। পটুয়াখালীর প্রায় ৭০০ পোলট্রি খামারি লোকসানের ফাঁদে পড়ে কম মূল্যে এ প্রক্রিয়ায় মুরগি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ জন্য খামারি ও খুচরা বিক্রেতারা দায়ী করেছেন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা ইলিশ শিকার করে অবাধে বিক্রি করাকে।খামারিদের সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর তেঁতুলিয়া ও রামনাবাদ নদীর তীরবর্তী দশমিনা, বাউফল ও গলাচিপা উপজেলার প্রায় ৭০০ পোলট্রি খামারি এ কারণে ৭০ লাখ টাকা লোকসানের ফাঁদে পড়েছেন।
ব্যসায়ীরা ব্যাপক লোকসান ঠেকাতেই করছেন মাইকিং। চলতি মাসের ৬ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার সাত হাজার বর্গকিলোমিটারজুড়ে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন এবং মওজুদ করা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ছিল। এ সময়ে সাগর থেকে মিঠ পানিতে ঝাঁকেঝাঁকে মা ইলিশ ওঠে এসে নদীগুলোয় ডিম ছাড়ে। ইলিশ সংরক্ষণের স্বার্থে সরকার এ সময়সীমার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় অবাধে শিকার করা হয়েছে মা ইলিশ! প্রভাবশালীরা ইলিশ মজুদসহ এলাকায় প্রতি কেজি ওজনের ইলিশ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দামে বিক্রি করায় উলি্লখিত এলাকার ঘরে ঘরে এখন ইলিশে সয়লাব। আর এ কারণে দাম পড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগির। এ অবস্থায় মুরগির চাহিদা কমে যাওয়ায় খামারিরা বাধ্য হয়ে বিক্রি বাড়াতে মাইকিং করছেন। ফলে এ তিন উপজেলার প্রতিটি খামারিকে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হচ্ছে।
গত দুদিন মাইকিং করে মুরগি বিক্রি করা দশমিনা উপজেলার খামারি ফিরোজ আলম জানান, ইলিশের দাপটে মুরগির চাহিদা গত দুই সপ্তাহ ধরে শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। ফলে খামারিরা মুরগি পালন করতে গিয়ে আরো মোটা অঙ্কের টাকা লোকসানে পড়ে যাচ্ছেন। এ কারণে লোকসান ঠেকাতেই ৯০ টাকা কেজি দরে মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিংয়ের ফলে দুদিনে প্রায় এক হাজার ৮০০ মুরগি বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। তার পরও এ খামারিকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে।
বাউফল উপজেলার বয়লার খামারি ও খুচরা বিক্রেতা মনিরুজ্জামান জানান, সবার ঘরে ইলিশ ডুকে যাওয়ায় মুরগির চাহিদা কমে যায়। তাই এ অবস্থায় বিক্রির জন্য কৌশল হিসেবে মাইকিং করা হয়েছে। এ কারণে কম দাম শুনে কিছু গ্রাহক মুরগি কিনছেন। একই এলাকার খামারি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, '১৪০ টাকার মুরগি কতটা অসহায় হলে খামারিরা মাইকিং করে ৯০ টাকা দামে বিক্রি করেন। এর প্রধান কারণ সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইলিশ শিকারের ফলে সব খামারিকে লোকসান গুনতে হবে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুুদ্র খামারিরা।'
গত দুদিন মাইকিং করে মুরগি বিক্রি করা দশমিনা উপজেলার খামারি ফিরোজ আলম জানান, ইলিশের দাপটে মুরগির চাহিদা গত দুই সপ্তাহ ধরে শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। ফলে খামারিরা মুরগি পালন করতে গিয়ে আরো মোটা অঙ্কের টাকা লোকসানে পড়ে যাচ্ছেন। এ কারণে লোকসান ঠেকাতেই ৯০ টাকা কেজি দরে মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিংয়ের ফলে দুদিনে প্রায় এক হাজার ৮০০ মুরগি বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। তার পরও এ খামারিকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে।
বাউফল উপজেলার বয়লার খামারি ও খুচরা বিক্রেতা মনিরুজ্জামান জানান, সবার ঘরে ইলিশ ডুকে যাওয়ায় মুরগির চাহিদা কমে যায়। তাই এ অবস্থায় বিক্রির জন্য কৌশল হিসেবে মাইকিং করা হয়েছে। এ কারণে কম দাম শুনে কিছু গ্রাহক মুরগি কিনছেন। একই এলাকার খামারি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, '১৪০ টাকার মুরগি কতটা অসহায় হলে খামারিরা মাইকিং করে ৯০ টাকা দামে বিক্রি করেন। এর প্রধান কারণ সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইলিশ শিকারের ফলে সব খামারিকে লোকসান গুনতে হবে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুুদ্র খামারিরা।'
No comments