অর্থমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণই এখন উদ্বেগজনক-অর্থনীতির অবস্থা তাহলে ভালো
দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো রয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কিছু ঝুঁকির কথা স্বীকার করে নিয়েও তিনি বলেছেন যে মূল্যস্ফীতি ও লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ নেতিবাচক কথাবার্তা বলছে। তিনি বরং আশাবাদী যে মূল্যস্ফীতি অচিরেই নিম্নমুখী হবে। অর্থমন্ত্রীর এসব মন্তব্যের মধ্য দিয়ে এ রকম একটা বার্তাই জনগণ পাচ্ছে যে অর্থনীতি নিয়ে তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বা বিচলিত নন। অথবা অর্থনীতির সাম্প্রতিক প্রবণতায় বিচলিত হওয়ার মতো তেমন কিছু ঘটেনি। অথচ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বর্তমান বাস্তবতা অর্থনীতির এহেন পর্যবেক্ষণকে যথেষ্ট সমর্থন দেয় না। সামষ্টিক অর্থনীতির কিছু সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকেই যদি অর্থনীতির ভালো অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে তা হবে একটি হতাশাজনক বিষয়।
মূল্যস্ফীতি দিয়ে শুরু করা যাক। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। গত দেড় দশকে কোনো মাসে এত উচ্চহারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে বলে জানা নেই। আর ১২ শতাংশ হারে এসে ঠেকা প্রায় এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে চলারই জের। এর ফলে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। নিত্যপণ্যের বাজারে গেলেই টের পাওয়া যায়, অবস্থা কতটা দুঃসহ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিবহন খাতের বাড়তি ব্যয়। ভর্তুকি কমানোর জন্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, যার শেষ অভিঘাত চরমভাবে গিয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়া গণপরিবহন খাতে যুক্তিহীন বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে মানুষকে।
আবার বিদ্যুতের দামও বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদনের অবস্থা বেগতিক। বাসাবাড়িতে তো বটেই, শিল্পকারখানাগুলোও ধুঁকছে জ্বালানির সংকটে। অনেক স্থানে গ্যাস সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়; শ্রম অসন্তোষ দানা বাঁধার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে পণ্য রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি হওয়াকেই হয়তো দেখছেন অর্থমন্ত্রী, যেমনটি দেখছেন বাণিজ্যমন্ত্রীও। অথচ এই সময়কালে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ তো হয়ইনি, বরং সেপ্টেম্বর মাসের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হওয়া উদ্যাপন করা হয়েছিল প্রায় দেড় বছর আগে। রিজার্ভ কিন্তু এখনো ওই পর্যায়েই আছে। অথচ আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে রিজার্ভের ওপর চাপও বেড়েছে।
অন্যদিকে আর্থিক খাতে চলছে অস্থিরতা, যা ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। শেয়ারবাজারকে ঘিরে সরকারের কর্মকাণ্ড নীতি সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনার এক চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এ যেন প্রলুব্ধ করে ঝুঁকিপূর্ণ এই বাজারে লাখ লাখ মানুষকে ডেকে আনার পর দায় এড়ানোরই নামান্তর। রাষ্ট্রের কার্যক্রম চালাতে ক্রমাগত বাড়ছে সরকারের ঋণের বোঝা। তাও সরাসরি টাকা ছাপিয়ে। অথচ কমে গেছে কৃষিঋণ বিতরণ। কমে গেছে বিদেশি সহায়তা প্রাপ্তিও। রাজস্ব আয়ে নেই টেকসই অগ্রগতি। আয়কর আদায়ে নানামুখী প্রয়াসে বাইরে থেকে যাচ্ছে উচ্চ আয়ের অতি সম্পদশালীরা। এতে বাড়ছে সামাজিক আয়বৈষম্য, যা ম্লান করে দিচ্ছে গরিবি হার কমে আসার চিত্রকে। অর্থমন্ত্রী মহোদয় কি সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে পদক্ষেপ নেবেন?
মূল্যস্ফীতি দিয়ে শুরু করা যাক। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। গত দেড় দশকে কোনো মাসে এত উচ্চহারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে বলে জানা নেই। আর ১২ শতাংশ হারে এসে ঠেকা প্রায় এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে চলারই জের। এর ফলে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। নিত্যপণ্যের বাজারে গেলেই টের পাওয়া যায়, অবস্থা কতটা দুঃসহ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিবহন খাতের বাড়তি ব্যয়। ভর্তুকি কমানোর জন্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, যার শেষ অভিঘাত চরমভাবে গিয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়া গণপরিবহন খাতে যুক্তিহীন বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে মানুষকে।
আবার বিদ্যুতের দামও বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদনের অবস্থা বেগতিক। বাসাবাড়িতে তো বটেই, শিল্পকারখানাগুলোও ধুঁকছে জ্বালানির সংকটে। অনেক স্থানে গ্যাস সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়; শ্রম অসন্তোষ দানা বাঁধার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে পণ্য রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি হওয়াকেই হয়তো দেখছেন অর্থমন্ত্রী, যেমনটি দেখছেন বাণিজ্যমন্ত্রীও। অথচ এই সময়কালে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ তো হয়ইনি, বরং সেপ্টেম্বর মাসের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হওয়া উদ্যাপন করা হয়েছিল প্রায় দেড় বছর আগে। রিজার্ভ কিন্তু এখনো ওই পর্যায়েই আছে। অথচ আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে রিজার্ভের ওপর চাপও বেড়েছে।
অন্যদিকে আর্থিক খাতে চলছে অস্থিরতা, যা ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। শেয়ারবাজারকে ঘিরে সরকারের কর্মকাণ্ড নীতি সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনার এক চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এ যেন প্রলুব্ধ করে ঝুঁকিপূর্ণ এই বাজারে লাখ লাখ মানুষকে ডেকে আনার পর দায় এড়ানোরই নামান্তর। রাষ্ট্রের কার্যক্রম চালাতে ক্রমাগত বাড়ছে সরকারের ঋণের বোঝা। তাও সরাসরি টাকা ছাপিয়ে। অথচ কমে গেছে কৃষিঋণ বিতরণ। কমে গেছে বিদেশি সহায়তা প্রাপ্তিও। রাজস্ব আয়ে নেই টেকসই অগ্রগতি। আয়কর আদায়ে নানামুখী প্রয়াসে বাইরে থেকে যাচ্ছে উচ্চ আয়ের অতি সম্পদশালীরা। এতে বাড়ছে সামাজিক আয়বৈষম্য, যা ম্লান করে দিচ্ছে গরিবি হার কমে আসার চিত্রকে। অর্থমন্ত্রী মহোদয় কি সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে পদক্ষেপ নেবেন?
No comments