যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেওয়ায় ক্ষোভ-খালেদার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব দাবি মহাজোট এমপিদের
'নিজামী-মুজাহিদ-সাকারা' যুদ্ধাপরাধী নন, বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্য সংসদ ও আদালতের অবমাননার শামিল বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের সংসদ সদস্যরা। এ বিষয়ে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ, খালেদা জিয়াকে বিচার ও শাস্তির মুখোমুখি করার আহ্বান জানান তাঁরা।জাতীয় সংসদে গতকাল বৃহস্পতিবার পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা ঘণ্টাব্যাপী অনির্ধারিত বিতর্কে অংশ নেন। তাঁরা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়া দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চাইছেন। তিনি এ বক্তব্য দিয়ে সংসদ ও আদালতের অবমাননা করেছেন।
এ বিষয়ে সংসদে সাধারণ আলোচনা করে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা প্রয়োজন। জবাবে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, নোটিশ পেলে তিনি এ বিষয়ে সাধারণ আলোচনার দিনক্ষণের সিদ্ধান্ত জানাবেন। তিনি বলেন, যেখানে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেখানে এ ধরনের প্রশ্ন উঠলে তা নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
একাদশ অধিবেশনের প্রথম দিনে বিতর্কের সূত্রপাত করেন জাসদের মইন উদ্দিন খান বাদল। তিনি বলেন, আমিনী যদি অশালীন কোনো বক্তব্যের জন্য নজরদারিতে থাকতে পারেন, তবে খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের জন্য সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনা উচিত। খালেদা জিয়া সংসদের সিদ্ধান্ত মানেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই সংসদেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল। অথচ উনি তা মানেন না।'
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম জাতীয় সংসদ সর্বসম্মতিক্রমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া রোডমার্চ-লংমার্চের নামে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন। নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদী-সাকা চৌধুরী-কাদের মোল্লা- কামরুজ্জামানের মতো ঘৃণিত লোকদের খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী নন বলে দাবি করছেন!
তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যে আমরা বিস্মিত হই না। কারণ তাঁর প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি হয়ে গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছেন, জামায়াতকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ দিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছেন।'
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আদালত ও জাতীয় সংসদ অবমাননার জন্য বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলে জাতীয় সংসদকে অবমাননা করেছেন। তাঁকে আইন মেনে চলতে হবে, বাক সংযমী হতে হবে। তিনি বলেন, আজ দেশে যখন একটি আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া চলছে, তখন খালেদা জিয়া রোডমার্চে বললেন তাঁরা নিরপরাধ! খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'যুদ্ধাপরাধী ও মৌলবাদীদের নিয়ে আপনি কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন? যারা একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন, তাদের পক্ষে যুদ্ধ করার কোনো অধিকার আপনার নেই। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখার কোনো অধিকার আপনার নেই।'
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ নিয়ে খালেদা জিয়া একই অপরাধ করেছেন। এ ঘটনায় খালেদা জিয়া ৪১ বছর পর প্রমাণ করেছেন তিনি পাকিস্তানি চিন্তা-চেতনার। তিনি আরো বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দিয়েছেন আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাবেন। বাবার মতোই (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব) তাঁর (শেখ হাসিনা) পরিণতি হবে। এভাবে খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে হত্যা করে দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চান। তিনি বিরোধী দলের নেতার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব এনে সংসদে সাধারণ আলোচনার দাবি জানান।
একাদশ অধিবেশনের প্রথম দিনে বিতর্কের সূত্রপাত করেন জাসদের মইন উদ্দিন খান বাদল। তিনি বলেন, আমিনী যদি অশালীন কোনো বক্তব্যের জন্য নজরদারিতে থাকতে পারেন, তবে খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের জন্য সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনা উচিত। খালেদা জিয়া সংসদের সিদ্ধান্ত মানেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই সংসদেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল। অথচ উনি তা মানেন না।'
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম জাতীয় সংসদ সর্বসম্মতিক্রমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া রোডমার্চ-লংমার্চের নামে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন। নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদী-সাকা চৌধুরী-কাদের মোল্লা- কামরুজ্জামানের মতো ঘৃণিত লোকদের খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী নন বলে দাবি করছেন!
তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যে আমরা বিস্মিত হই না। কারণ তাঁর প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি হয়ে গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছেন, জামায়াতকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ দিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছেন।'
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আদালত ও জাতীয় সংসদ অবমাননার জন্য বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলে জাতীয় সংসদকে অবমাননা করেছেন। তাঁকে আইন মেনে চলতে হবে, বাক সংযমী হতে হবে। তিনি বলেন, আজ দেশে যখন একটি আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া চলছে, তখন খালেদা জিয়া রোডমার্চে বললেন তাঁরা নিরপরাধ! খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'যুদ্ধাপরাধী ও মৌলবাদীদের নিয়ে আপনি কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন? যারা একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন, তাদের পক্ষে যুদ্ধ করার কোনো অধিকার আপনার নেই। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখার কোনো অধিকার আপনার নেই।'
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ নিয়ে খালেদা জিয়া একই অপরাধ করেছেন। এ ঘটনায় খালেদা জিয়া ৪১ বছর পর প্রমাণ করেছেন তিনি পাকিস্তানি চিন্তা-চেতনার। তিনি আরো বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দিয়েছেন আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাবেন। বাবার মতোই (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব) তাঁর (শেখ হাসিনা) পরিণতি হবে। এভাবে খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে হত্যা করে দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চান। তিনি বিরোধী দলের নেতার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব এনে সংসদে সাধারণ আলোচনার দাবি জানান।
No comments