আগামী সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে ব্যাংকগুলো
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে আগামী সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে একমত হয়েছেন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা। যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত সীমার মধ্যে রয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহ থেকেই শেয়ার কেনা শুরু করবে। তবে কোন ব্যাংক কী পরিমাণ বা কোন শেয়ারে বিনিয়োগ করবে, সে বিষয়ে তারা নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। আর মার্চেন্ট ব্যাংকের সুদ মওকুফ করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ের শুরুতেই এবিবির চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে মাহমুদ সাত্তার সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি নিশ্চিত ব্যাংকগুলোর বৈঠকের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী হবে।' এর আগে গত সোমবার এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল আমিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে গভর্নর শেয়ারবাজার ইস্যুতে ব্যাংকগুলোকে ভাবতে বলেন। এ নিয়ে তিনি এবিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেন। তিনি ব্যাংকগুলোর কিছু করণীয় থাকলে তা করার অনুরোধ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতেই মূলত গতকালের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
মাহমুদ সাত্তার বলেন, ব্যাংক সব সময় দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ নিয়ে ভাবে। সে বিবেচনায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য এখন খুবই ভালো সময় যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে। সবার মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শেয়ারবাজার ভালো করতে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে আর কিভাবে সাপোর্ট দেওয়া যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ব্যাংকগুলো কী পরিমাণ বিনিয়োগ করবে জানতে চাইলে মাহমুদ সাত্তার বলেন, এটা ব্যাংকের নিজস্ব বিষয়। এ সিদ্ধান্ত কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়ার এখতিয়ার নেই। সব ব্যাংকেরই এ বিষয়ে আলাদা বিভাগ রয়েছে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কী পরিমাণ বিনিয়োগ করবে।
এবিবির চেয়ারম্যান বলেন, বাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও ভাবছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিমধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংকের ঋণ সমন্বয়ের সময় ২০১২ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। প্রয়োজনে আরো সময় দেওয়ার কথা বলেছে। শেয়ারবাজারে বর্তমানে ১১টি ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারিত সীমার বেশি রয়েছে বলে তিনি জানান। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বশেষ প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুটি ব্যাংকের বিনিয়োগ নির্দিষ্ট সীমার বাইরে রয়েছে। বিভিন্ন মহলে মার্চেন্ট ব্যাংকের দুই বছরের সুদ মওকুফের বিষয়ে জানতে চাইলে এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, 'কারো সুদ মওকুফের ক্ষমতা আমাদের নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ। তাই পর্ষদে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হলে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করব।'
প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। গত বছর বেশির ভাগ ব্যাংক ওই সীমা অতিক্রম করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে বিপুল মুনাফা করে। তবে গত ডিসেম্বরের বাজারধসের পর থেকে ব্যাংকগুলো নতুনভাবে বিনিয়োগে অনাগ্রহী। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরের হিসাবে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর গড় বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে মোট দায়ের ৩.০১ শতাংশ। তাই আগের বছরের মুনাফার অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে কি না জানতে চাইলে মাহমুদ সাত্তার বলেন, মুনাফার টাকা নয়, আইনি সীমার মধ্যে থেকে বিনিয়োগ করা হবে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর মোট ১৬ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানান এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আমিন।
মাহমুদ সাত্তার বলেন, ব্যাংক সব সময় দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ নিয়ে ভাবে। সে বিবেচনায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য এখন খুবই ভালো সময় যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে। সবার মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শেয়ারবাজার ভালো করতে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে আর কিভাবে সাপোর্ট দেওয়া যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ব্যাংকগুলো কী পরিমাণ বিনিয়োগ করবে জানতে চাইলে মাহমুদ সাত্তার বলেন, এটা ব্যাংকের নিজস্ব বিষয়। এ সিদ্ধান্ত কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়ার এখতিয়ার নেই। সব ব্যাংকেরই এ বিষয়ে আলাদা বিভাগ রয়েছে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কী পরিমাণ বিনিয়োগ করবে।
এবিবির চেয়ারম্যান বলেন, বাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও ভাবছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিমধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংকের ঋণ সমন্বয়ের সময় ২০১২ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। প্রয়োজনে আরো সময় দেওয়ার কথা বলেছে। শেয়ারবাজারে বর্তমানে ১১টি ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারিত সীমার বেশি রয়েছে বলে তিনি জানান। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বশেষ প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুটি ব্যাংকের বিনিয়োগ নির্দিষ্ট সীমার বাইরে রয়েছে। বিভিন্ন মহলে মার্চেন্ট ব্যাংকের দুই বছরের সুদ মওকুফের বিষয়ে জানতে চাইলে এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, 'কারো সুদ মওকুফের ক্ষমতা আমাদের নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ। তাই পর্ষদে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হলে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করব।'
প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। গত বছর বেশির ভাগ ব্যাংক ওই সীমা অতিক্রম করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে বিপুল মুনাফা করে। তবে গত ডিসেম্বরের বাজারধসের পর থেকে ব্যাংকগুলো নতুনভাবে বিনিয়োগে অনাগ্রহী। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরের হিসাবে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর গড় বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে মোট দায়ের ৩.০১ শতাংশ। তাই আগের বছরের মুনাফার অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে কি না জানতে চাইলে মাহমুদ সাত্তার বলেন, মুনাফার টাকা নয়, আইনি সীমার মধ্যে থেকে বিনিয়োগ করা হবে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর মোট ১৬ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানান এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আমিন।
No comments