মরুর বুকে অজ্ঞাত স্থানে সমাহিত হলেন গাদ্দাফি
মরুর মাটিতেই মিশে যাচ্ছেন মরুভূমির বেদুইন জীবনের অনুরাগী মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি। গত সোমবার রাতের আঁধারে মরুভূমির মধ্যে অজ্ঞাত স্থানে তাঁর লাশ সমাহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ (এনটিসি)। তারা আগেই বলেছিল, গাদ্দাফির লাশ অজ্ঞাত স্থানে দাফন করা হবে, যাতে তাঁর কবর অনুগতদের কাছে স্মারকসৌধে পরিণত না হয়। বৃহস্পতিবার নিহত হওয়ার পর থেকে গত কয়েক দিন অযত্ন-অবহেলায় হিমাগারে ফেলে রাখা হয়েছিল লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতার লাশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিসরাতা শহরের সামরিক পরিষদের এক সদস্য বলেন, গাদ্দাফি ও তাঁর ছেলে মুতাসিম এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবু বকর ইউনিস জাবেরের লাশ রাতে দাফন করা হয়েছে। দাফনের আগে ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়েছে।
গাদ্দাফিসহ অন্যদের লাশ রাখা হয়েছিল মিসরাতা শহরের একটি কাঁচা বাজারের হিমঘরে। ওই বাজারের প্রহরীরা জানান, সোমবার রাতে চার থেকে পাঁচটি সামরিক যান এসে লাশ নিয়ে যায়। এ সময় সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউনিস জাবেরের বাবা ও দুই ছেলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সালেম আল মোহান্দিস নামে বাজারের এক নিরাপত্তারক্ষী আল-জাজিরা টেলিভিশনকে বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ। মিসরাতার সামরিক পরিষদের লোকজন গাদ্দাফির লাশ নিয়ে গেছে। কিন্তু আমি জানি না, তাঁরা তাঁকে কোথায় কবর দিয়েছে।’
সামরিক পরিষদের সদস্যটি জানান, গাদ্দাফির অনুগত তিন ধর্মীয় নেতা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। লাশ দাফনের আগে বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন তাঁরাই।
এনটিসির এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আগে বলেছিলেন, ‘সাধারণভাবে লাশ দাফন করা হবে। এ সময় স্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। উন্মুক্ত মরুভূমির কোনো এক স্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, লাশ দাফন করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। কেননা লাশের পচন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তা আর রাখা সম্ভব ছিল না।
গত বৃহস্পতিবার সির্ত শহরের পতনের পর বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হাতে আটক হন গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে মুতাসিম এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এরপর রহস্যজনক পরিস্থিতিতে তাঁরা নিহত হন। গাদ্দাফি দুই পক্ষের গুলিবিনিময়ের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন বলে অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও তাঁকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলেও কারও কারও দাবি এবং ধারণা। গাদ্দাফিকে কোথায় দাফন করা হবে, এ নিয়ে অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় এ কয়েক দিন লাশ রাখা ছিল মিসরাতা শহরের ওই হিমঘরে।
সাইফ নাইজারের পথে?: গাদ্দাফির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ছেলে সাইফ আল-ইসলাম পালিয়ে নাইজারের দিকে যাচ্ছেন। নাইজারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল এ কথা বলেন।
নাইজারের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা রিসা এগ বোউলা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, তুরেগ আদিবাসীরা সাইফকে পালিয়ে আসতে সহযোগিতা করছে। এই আদিবাসীদের সঙ্গে তাঁর (বোউলা) সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে।
তুরেগ আদিবাসীরা গাদ্দাফির অন্যতম অনুগত একটি গোষ্ঠী। গাদ্দাফিকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে তারা লড়াই করেছে।
বোউলা বলেন, ‘তিনি (সাইফ) যদি এখানে আসেন সরকার তাঁকে গ্রহণ করবে। কিন্তু সরকারেরও বাধ্যবাধকতা আছে আন্তর্জাতিক নিয়ননীতি মেনে চলার। কাজেই সাইফ এখানে থাকবেন কি না, এ সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে হবে।’ সাইফের বিরুদ্ধে অন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে বোউলা এ কথা বলেন। এএফপি, বিবিসি, এপি।
গাদ্দাফিসহ অন্যদের লাশ রাখা হয়েছিল মিসরাতা শহরের একটি কাঁচা বাজারের হিমঘরে। ওই বাজারের প্রহরীরা জানান, সোমবার রাতে চার থেকে পাঁচটি সামরিক যান এসে লাশ নিয়ে যায়। এ সময় সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউনিস জাবেরের বাবা ও দুই ছেলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সালেম আল মোহান্দিস নামে বাজারের এক নিরাপত্তারক্ষী আল-জাজিরা টেলিভিশনকে বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ। মিসরাতার সামরিক পরিষদের লোকজন গাদ্দাফির লাশ নিয়ে গেছে। কিন্তু আমি জানি না, তাঁরা তাঁকে কোথায় কবর দিয়েছে।’
সামরিক পরিষদের সদস্যটি জানান, গাদ্দাফির অনুগত তিন ধর্মীয় নেতা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। লাশ দাফনের আগে বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন তাঁরাই।
এনটিসির এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আগে বলেছিলেন, ‘সাধারণভাবে লাশ দাফন করা হবে। এ সময় স্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। উন্মুক্ত মরুভূমির কোনো এক স্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, লাশ দাফন করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। কেননা লাশের পচন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তা আর রাখা সম্ভব ছিল না।
গত বৃহস্পতিবার সির্ত শহরের পতনের পর বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হাতে আটক হন গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে মুতাসিম এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এরপর রহস্যজনক পরিস্থিতিতে তাঁরা নিহত হন। গাদ্দাফি দুই পক্ষের গুলিবিনিময়ের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন বলে অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও তাঁকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলেও কারও কারও দাবি এবং ধারণা। গাদ্দাফিকে কোথায় দাফন করা হবে, এ নিয়ে অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় এ কয়েক দিন লাশ রাখা ছিল মিসরাতা শহরের ওই হিমঘরে।
সাইফ নাইজারের পথে?: গাদ্দাফির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ছেলে সাইফ আল-ইসলাম পালিয়ে নাইজারের দিকে যাচ্ছেন। নাইজারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল এ কথা বলেন।
নাইজারের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা রিসা এগ বোউলা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, তুরেগ আদিবাসীরা সাইফকে পালিয়ে আসতে সহযোগিতা করছে। এই আদিবাসীদের সঙ্গে তাঁর (বোউলা) সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে।
তুরেগ আদিবাসীরা গাদ্দাফির অন্যতম অনুগত একটি গোষ্ঠী। গাদ্দাফিকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে তারা লড়াই করেছে।
বোউলা বলেন, ‘তিনি (সাইফ) যদি এখানে আসেন সরকার তাঁকে গ্রহণ করবে। কিন্তু সরকারেরও বাধ্যবাধকতা আছে আন্তর্জাতিক নিয়ননীতি মেনে চলার। কাজেই সাইফ এখানে থাকবেন কি না, এ সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে হবে।’ সাইফের বিরুদ্ধে অন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে বোউলা এ কথা বলেন। এএফপি, বিবিসি, এপি।
No comments