শেয়ারবাজার বাঁচাতে ব্যাংকের তহবিলঃ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যাংকগুলোর উদ্যোগে ‘বিশেষ তহবিল গঠন’ প্রক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশ্বব্যাংক বলেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে বাজার বাড়ানোর চেষ্টা এবং বিশেষ তহবিল গঠন দায় আরও বাড়াবে। এতে ব্যক্তি খাতের ঋণের পরিমাণও কমবে। আইএমএফের মতে, এই তহবিল ব্যর্থতাকে পুরস্কৃত করবে। এটি শুধু ভুল নয়, উদ্যোগের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় শেয়ারের বিপরীতে তহবিলটির ইউনিট বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে। এতে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণগ্রহীতার দ্বিপক্ষীয় চুক্তি লঙ্ঘিত হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি দুই সংস্থার তৈরি করা আলাদা প্রতিবেদনে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) ‘বাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল (এমএসএফ)’ নামে যে তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে, তা নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে আইএমএফ। তারা বলছে, তহবিলটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এটি বাজারে লেনদেন হবে। কিন্তু মেয়াদি তহবিল সচরাচর বাজারে লেনদেন হতে দেখা যায় না।
আইএমএফ বলছে, শেয়ারবাজার এখনো অস্থিতিশীল। শেয়ারের বড় ধরনের দরপতনের আশঙ্কা এখনো রয়ে গেছে। এই অবস্থায় নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ— সবাই ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী’ হিসেবে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারের উদ্ধারক বলে মত দিচ্ছেন। কিন্তু এটি তাঁদের সঠিক ভূমিকা নয়। ব্যাংকগুলো এরই মধ্যে শেয়ারবাজারে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে। এই অবস্থায় তারা যদি বিনিয়োগ আরও বাড়ায়, তাহলে তা ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি আরও বাড়াবে।
আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক মার্চেন্ট বা সওদাগরি ব্যাংক-গুলোর স্থিতিপত্র (ব্যালান্স শিট), আয় বিবরণী বা কোনো ধরনের আর্থিক তথ্য সংগ্রহ করে না। এমনকি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) মাধ্যমেও তারা এটি করে না। যদিও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো থেকে আর্থিক তথ্য সংগ্রহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণ ক্ষমতা আছে বলে এসইসি জানিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অবস্থান থেকে এই পরিস্থিতি কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যদিও ব্যাংকগুলো এই খাতে এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া এসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকগুলো সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত অবস্থা ও কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করা। সেই সঙ্গে ‘অনসাইট এবং অফসাইট’ পরিদর্শনের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি চালু করতে হবে।
আইএমএফ আরও বলেছে, ‘আমরা শুনেছি, বেশ কিছু মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আছেন, যাঁদের পুঁজিবাজার বিষয়ে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।’
বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে বলছে, নীতি-অনিশ্চয়তা ও এসইসি পুনর্গঠনের দীর্ঘসূত্রতার কারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আবার শেয়ারবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সরকার শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ায় গত জুলাই মাসে বাজার বেশ চাঙা ছিল। এক মাসে সূচক ১৮ শতাংশ এবং লেনদেন ৪৭০ শতাংশ বেড়েছিল, কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি।
এদিকে প্রস্তাবিত এমএসএফ সম্পর্কে আইএমএফ বলেছে, এই তহবিলের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বেড়ে যাবে। ব্যাংক এবং মার্চেন্ট ব্যাংক উভয়কেই এই তহবিলের উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এরই মধ্যে ‘বাংলাদেশ ফান্ড’-এর ইউনিট কেনার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তার বিনিয়োগ-সীমা বাড়িয়েছে।
আইএমএফের মতে, এই তহবিল ব্যর্থতাকে পুরস্কৃত করবে। এটি শুধু ভুল নয়, উদ্যোগের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় শেয়ারের বিপরীতে তহবিলটির ইউনিট বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে। এতে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণগ্রহীতার দ্বিপক্ষীয় চুক্তি লঙ্ঘিত হবে।
আইএমএফ বলছে, শেয়ারবাজার এখনো অস্থিতিশীল। শেয়ারের বড় ধরনের দরপতনের আশঙ্কা এখনো রয়ে গেছে। এই অবস্থায় নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ— সবাই ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী’ হিসেবে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারের উদ্ধারক বলে মত দিচ্ছেন। কিন্তু এটি তাঁদের সঠিক ভূমিকা নয়। ব্যাংকগুলো এরই মধ্যে শেয়ারবাজারে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে। এই অবস্থায় তারা যদি বিনিয়োগ আরও বাড়ায়, তাহলে তা ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি আরও বাড়াবে।
আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক মার্চেন্ট বা সওদাগরি ব্যাংক-গুলোর স্থিতিপত্র (ব্যালান্স শিট), আয় বিবরণী বা কোনো ধরনের আর্থিক তথ্য সংগ্রহ করে না। এমনকি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) মাধ্যমেও তারা এটি করে না। যদিও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো থেকে আর্থিক তথ্য সংগ্রহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণ ক্ষমতা আছে বলে এসইসি জানিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অবস্থান থেকে এই পরিস্থিতি কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যদিও ব্যাংকগুলো এই খাতে এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া এসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকগুলো সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত অবস্থা ও কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করা। সেই সঙ্গে ‘অনসাইট এবং অফসাইট’ পরিদর্শনের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি চালু করতে হবে।
আইএমএফ আরও বলেছে, ‘আমরা শুনেছি, বেশ কিছু মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আছেন, যাঁদের পুঁজিবাজার বিষয়ে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।’
বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে বলছে, নীতি-অনিশ্চয়তা ও এসইসি পুনর্গঠনের দীর্ঘসূত্রতার কারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আবার শেয়ারবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সরকার শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ায় গত জুলাই মাসে বাজার বেশ চাঙা ছিল। এক মাসে সূচক ১৮ শতাংশ এবং লেনদেন ৪৭০ শতাংশ বেড়েছিল, কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি।
এদিকে প্রস্তাবিত এমএসএফ সম্পর্কে আইএমএফ বলেছে, এই তহবিলের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বেড়ে যাবে। ব্যাংক এবং মার্চেন্ট ব্যাংক উভয়কেই এই তহবিলের উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এরই মধ্যে ‘বাংলাদেশ ফান্ড’-এর ইউনিট কেনার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তার বিনিয়োগ-সীমা বাড়িয়েছে।
আইএমএফের মতে, এই তহবিল ব্যর্থতাকে পুরস্কৃত করবে। এটি শুধু ভুল নয়, উদ্যোগের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় শেয়ারের বিপরীতে তহবিলটির ইউনিট বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে। এতে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণগ্রহীতার দ্বিপক্ষীয় চুক্তি লঙ্ঘিত হবে।
No comments