জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির শীর্ষে বাংলাদেশ-ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট
মানব জাতির এক-তৃতীয়াংশ, বিশেষ করে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। উত্তর ইউরোপের ধনী দেশগুলোকে এ ব্যাপারে খুব একটা দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টে একথা বলা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, যে ৩০টি দেশ বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়বে তার মধ্যে বাংলাদেশ সবার শীর্ষে। ভারত এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো (ডিআরসি) রয়েছে তার পরের ধাপে। ঝুঁকি বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞ ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান'ম্যাপলক্রফট'
এ প্রতিবেদন গত বুধবার প্রকাশ করে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১৯৩টি দেশকে তালিকাভুক্ত করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশ যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং কম্বোডিয়া ঝুঁকির দিক থেকে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। এ অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ম্যাপলক্রফট জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি হিসেবে খরা, ঘূর্ণিঝড়, বনাঞ্চলে অগি্নকাণ্ড, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে বন্যা, সমুদ্রে জমি হারিয়ে যাওয়া এবং ফসলের ক্ষতি হবে। এসব ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় হুমকির মুখে থাকা দেশগুলো কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটিও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যে ৩০টি দেশকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এর দুই-তৃতীয়াংশ আফ্রিকায় এবং অবশিষ্ট দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশে।
জলবায়ু পরিবর্তনে আফ্রিকা খরা, ভয়াবহ বন্যা এবং বনাঞ্চলে অগি্নকাণ্ডের মতো ঝুঁকির মুখে রয়েছে। প্রতিবেদনের সহযোগী লেখক চার্লি বেলডন বলেন, যেসব দেশ হুমকির মুখে রয়েছে তাদের অনেকে এ ব্যাপারে খুব একটা সচেতন নয়। তিনি বলেন, অনেক দেশে দুর্বল অর্থনীতি, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, দুর্নীতিপরায়ণ প্রশাসনের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করার মতো খুব কম সামর্থ্যই তাদের আছে। খুব কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে_ আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন এবং এস্তোনিয়া। উত্তর এবং মধ্য ইউরোপের যে ২০টি দেশ কম ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে রয়েছে_ তেলসম্পদে ধনী কাতার, বাহরাইন এবং ইসরায়েল।
বিশ্বের মোট কার্বন দূষণে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারা 'মধ্য' এবং 'কম' ঝুঁকিপূর্ণ দেশের কাতারে রয়েছে।
যেসব শহর জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মধ্যে তার মধ্যে রয়েছে_ ঢাকা, চট্টগ্রাম, আদ্দিস আবাবা, ম্যানিলা, কলকাতা। ভারতের রাজধানী নয়াদিলি্ল, মুম্বাই এবং চেন্নাই শীর্ষ ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় রয়েছে।পর্যবেক্ষণে বেলডন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি বিশেষ করে ভারতে ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।
জাতিসংঘে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর আন্তঃসরকার প্যানেলে প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করা হয়। বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের ব্যাপারে উদাহরণগুলো সংযোগ হিসাবে কাজ করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া এবং আফ্রিকায় খরা, পাকিস্তানে বন্যা, মধ্য আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার বনাঞ্চলে দাবানল জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ দিককে ইঙ্গিত করে। প্রাক-শিল্প ব্যবস্থার চেয়ে বর্তমান বিশ্বের উষ্ণতা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মত প্রকাশ করা হয়।
ম্যাপলক্রফট জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি হিসেবে খরা, ঘূর্ণিঝড়, বনাঞ্চলে অগি্নকাণ্ড, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে বন্যা, সমুদ্রে জমি হারিয়ে যাওয়া এবং ফসলের ক্ষতি হবে। এসব ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় হুমকির মুখে থাকা দেশগুলো কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটিও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যে ৩০টি দেশকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এর দুই-তৃতীয়াংশ আফ্রিকায় এবং অবশিষ্ট দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশে।
জলবায়ু পরিবর্তনে আফ্রিকা খরা, ভয়াবহ বন্যা এবং বনাঞ্চলে অগি্নকাণ্ডের মতো ঝুঁকির মুখে রয়েছে। প্রতিবেদনের সহযোগী লেখক চার্লি বেলডন বলেন, যেসব দেশ হুমকির মুখে রয়েছে তাদের অনেকে এ ব্যাপারে খুব একটা সচেতন নয়। তিনি বলেন, অনেক দেশে দুর্বল অর্থনীতি, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, দুর্নীতিপরায়ণ প্রশাসনের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করার মতো খুব কম সামর্থ্যই তাদের আছে। খুব কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে_ আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন এবং এস্তোনিয়া। উত্তর এবং মধ্য ইউরোপের যে ২০টি দেশ কম ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে রয়েছে_ তেলসম্পদে ধনী কাতার, বাহরাইন এবং ইসরায়েল।
বিশ্বের মোট কার্বন দূষণে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারা 'মধ্য' এবং 'কম' ঝুঁকিপূর্ণ দেশের কাতারে রয়েছে।
যেসব শহর জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মধ্যে তার মধ্যে রয়েছে_ ঢাকা, চট্টগ্রাম, আদ্দিস আবাবা, ম্যানিলা, কলকাতা। ভারতের রাজধানী নয়াদিলি্ল, মুম্বাই এবং চেন্নাই শীর্ষ ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় রয়েছে।পর্যবেক্ষণে বেলডন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি বিশেষ করে ভারতে ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।
জাতিসংঘে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর আন্তঃসরকার প্যানেলে প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করা হয়। বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের ব্যাপারে উদাহরণগুলো সংযোগ হিসাবে কাজ করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া এবং আফ্রিকায় খরা, পাকিস্তানে বন্যা, মধ্য আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার বনাঞ্চলে দাবানল জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ দিককে ইঙ্গিত করে। প্রাক-শিল্প ব্যবস্থার চেয়ে বর্তমান বিশ্বের উষ্ণতা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মত প্রকাশ করা হয়।
No comments