আফগান পুলিশ ভক্ষকে পরিণত হয়েছে
মার্কিন সহায়তাপুষ্ট আফগান স্থানীয় পুলিশ (এএলপি) ও বিভিন্ন বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জনগণের জানমালের রক্ষকের পরিবর্তে ভক্ষকে পরিণত হয়েছে। তারা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পরিবর্তে জনসাধারণকে ভীত-সন্ত্রস্ত করছে। নিরাপত্তারক্ষীদের এসব কর্মকাণ্ডে জঙ্গিরাই উপকৃত হচ্ছে। গতকাল সোমবার মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
‘জাস্ট ডোন্ট কল ইট এ মিলিশিয়া’ শিরোনামের ওই ১০২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা খুন, রাহাজানি, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে।
আফগানিস্তানে ক্রমাবনতিশীল নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে এসব বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা হয়। এর মধ্যে ন্যাটোর অর্থায়নে গঠিত এএলপিকে গত বছরের আগস্টে অনুমোদন দেয় প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সরকার। যে অঞ্চলে আফগান সেনা ও নিয়মিত পুলিশের কর্মত ৎ পরতা সীমিত, সেসব এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে এই বাহিনী। তবে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, দায়িত্বে অবহেলা ও কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির অভাবের কারণে বাহিনীগুলোর কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট নয় সাধারণ জনগণ।
মানবাধিকার সংগঠনটি মোট সাতটি প্রদেশে তাদের অনুসন্ধান চালিয়েছে। এর মধ্যে বাগলান, হেরাত ও উরুজগান প্রদেশ তিনটিতে হত্যা, ধর্ষণ এবং বিনা অপরাধে আটকের সঙ্গে এএলপির সদস্যদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তারা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অক্ষম এসব বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীকে কাবুল ও ওয়াশিংটনকে পরিষ্কারভাবেই অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, দুর্বল শাসনব্যবস্থা, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সরকারি অধিভুক্ত বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ করার পরও শাস্তির সম্মুখীন না হওয়া—এসবই জঙ্গিবাদের চালিকাশক্তি।
২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারকে সামনে রেখে মার্কিন অর্থায়নে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী মিলে দেশটিতে তিন লাখেরও বেশি নিরাপত্তা সদস্য রয়েছে।
‘জাস্ট ডোন্ট কল ইট এ মিলিশিয়া’ শিরোনামের ওই ১০২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা খুন, রাহাজানি, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে।
আফগানিস্তানে ক্রমাবনতিশীল নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে এসব বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা হয়। এর মধ্যে ন্যাটোর অর্থায়নে গঠিত এএলপিকে গত বছরের আগস্টে অনুমোদন দেয় প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সরকার। যে অঞ্চলে আফগান সেনা ও নিয়মিত পুলিশের কর্মত ৎ পরতা সীমিত, সেসব এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে এই বাহিনী। তবে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, দায়িত্বে অবহেলা ও কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির অভাবের কারণে বাহিনীগুলোর কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট নয় সাধারণ জনগণ।
মানবাধিকার সংগঠনটি মোট সাতটি প্রদেশে তাদের অনুসন্ধান চালিয়েছে। এর মধ্যে বাগলান, হেরাত ও উরুজগান প্রদেশ তিনটিতে হত্যা, ধর্ষণ এবং বিনা অপরাধে আটকের সঙ্গে এএলপির সদস্যদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তারা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অক্ষম এসব বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীকে কাবুল ও ওয়াশিংটনকে পরিষ্কারভাবেই অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, দুর্বল শাসনব্যবস্থা, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সরকারি অধিভুক্ত বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ করার পরও শাস্তির সম্মুখীন না হওয়া—এসবই জঙ্গিবাদের চালিকাশক্তি।
২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারকে সামনে রেখে মার্কিন অর্থায়নে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী মিলে দেশটিতে তিন লাখেরও বেশি নিরাপত্তা সদস্য রয়েছে।
No comments