এক অস্ট্রেলীয়র যুক্তরাষ্ট্র জয়
অস্ট্রেলিয়ানদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো অবশেষে। ভয়াল ৯/১১-এর এক দশক পূর্তির দিনে সেই নিউইয়র্কে আবারও মার্কিনদের হতাশায় ডুবিয়ে ইউএস ওপেন জিতলেন সামান্থা স্টোসুর। ফিরিয়ে আনলেন হারিয়ে যাওয়া একটি ছবি। সেই ১৯৮০ সালে সর্বশেষ কোনো অস্ট্রেলীয় মেয়ে মাথার ওপর উঁচিয়ে ধরেছিলেন গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি। ইভোনি গুলাগংয়ের উইম্বলডন জয়ের পর ৩১ বছর অপেক্ষায় কাটিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্টোসুর ঘোচালেন সেই অপেক্ষা। কোনো অস্ট্রেলীয় মেয়ের ইউএস ওপেন জয়ের ঘটনা তো আরও পুরোনো। ১৯৭৩ সালে মার্গারেট কোর্ট সর্বশেষ জয় করেছিলেন ফ্ল্যাশিং মিডো।
পরশু রাতে ২৭ বছর বয়সী স্টোসুর খুব সহজেই ৬-২, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন তিনবারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামসকে। অথচ ম্যাচের আগে নিরঙ্কুশ ফেবারিট ছিলেন সেরেনাই। ফাইনালের আগে একটি সেটও না হারা সেরেনা ফাইনালের পথে হারিয়ে এসেছিলেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় ক্যারোলিন ওজনিয়াকিসহ ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কো, আনা ইভানোভিচ, আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভাদের। এই মৌসুমে হার্ডকোর্টেও অজেয় ছিলেন এই মার্কিন।
কিন্তু ফাইনালে সেই সেরেনাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্টোসুরের সার্ভ ও ফোরহ্যান্ডের কাছে অসহায় লাগছিল তাঁকে। দ্বিতীয় সেটের শুরুতে চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে বিবাদে জড়ান হতাশ সেরেনা। নীতিমালা ভঙ্গ করায় চেয়ার আম্পায়ার স্টোসুরকে একটি পয়েন্ট দেওয়ায় আরও খেপে যান তিনি। অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন আম্পায়ার ইভা আসদেরাকিকে। এ জন্য বড় শাস্তিও পেতে পারেন। ২০০৯ সালেও একই কাণ্ড করেছিলেন সেরেনা।
প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত স্টোসুর ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমার খেলা শুরু করার সময় থেকেই এখানে (বিজয় মঞ্চে) আসার স্বপ্ন দেখে এসেছি। আমি সত্যিই ঠিক জানি না, কী বলতে হবে। তবে আমি যেভাবে খেলেছি, সেটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
এর পর সেরেনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘সেরেনা, আপনি একজন দারুণ খেলোয়াড়, বড় চ্যাম্পিয়ন এবং আমাদের খেলাটার জন্য বিস্ময়কর অনেক কিছুই করেছেন।’
পরাজিত সেরেনা বলেছেন অসুস্থ হয়ে মাঠের বাইরে কাটানো সময়টার কথা, ‘ছয় মাস আগে হাসপাতালে আমি দাঁড়াতেও পারিনি। তবে মা-বাবা, বোনরা ও যাদের কারণে আজ আমি এখানে তাঁদের ধন্যবাদ। আমি কিছুটা আবেগতাড়িত, কেঁদেও ফেলতে পারি। এখানে আসতে পেরে আমি খুশি, এটা সত্যিই দারুণ।’
খুশির জোয়ার বইছে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে। স্টোসুরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ও ইভোনি গুলাগং। দুজনই স্টোসুরের জয়কে বলেছেন, ‘অসাধারণ’। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, এই জয় নতুন প্রজন্মকে টেনিসে টানবে এবং অস্ট্রেলিয়ার টেনিসকে আবারও উঁচুতে নিয়ে যাবে।
পরশু রাতে ২৭ বছর বয়সী স্টোসুর খুব সহজেই ৬-২, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন তিনবারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামসকে। অথচ ম্যাচের আগে নিরঙ্কুশ ফেবারিট ছিলেন সেরেনাই। ফাইনালের আগে একটি সেটও না হারা সেরেনা ফাইনালের পথে হারিয়ে এসেছিলেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় ক্যারোলিন ওজনিয়াকিসহ ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কো, আনা ইভানোভিচ, আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভাদের। এই মৌসুমে হার্ডকোর্টেও অজেয় ছিলেন এই মার্কিন।
কিন্তু ফাইনালে সেই সেরেনাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্টোসুরের সার্ভ ও ফোরহ্যান্ডের কাছে অসহায় লাগছিল তাঁকে। দ্বিতীয় সেটের শুরুতে চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে বিবাদে জড়ান হতাশ সেরেনা। নীতিমালা ভঙ্গ করায় চেয়ার আম্পায়ার স্টোসুরকে একটি পয়েন্ট দেওয়ায় আরও খেপে যান তিনি। অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন আম্পায়ার ইভা আসদেরাকিকে। এ জন্য বড় শাস্তিও পেতে পারেন। ২০০৯ সালেও একই কাণ্ড করেছিলেন সেরেনা।
প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত স্টোসুর ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমার খেলা শুরু করার সময় থেকেই এখানে (বিজয় মঞ্চে) আসার স্বপ্ন দেখে এসেছি। আমি সত্যিই ঠিক জানি না, কী বলতে হবে। তবে আমি যেভাবে খেলেছি, সেটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
এর পর সেরেনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘সেরেনা, আপনি একজন দারুণ খেলোয়াড়, বড় চ্যাম্পিয়ন এবং আমাদের খেলাটার জন্য বিস্ময়কর অনেক কিছুই করেছেন।’
পরাজিত সেরেনা বলেছেন অসুস্থ হয়ে মাঠের বাইরে কাটানো সময়টার কথা, ‘ছয় মাস আগে হাসপাতালে আমি দাঁড়াতেও পারিনি। তবে মা-বাবা, বোনরা ও যাদের কারণে আজ আমি এখানে তাঁদের ধন্যবাদ। আমি কিছুটা আবেগতাড়িত, কেঁদেও ফেলতে পারি। এখানে আসতে পেরে আমি খুশি, এটা সত্যিই দারুণ।’
খুশির জোয়ার বইছে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে। স্টোসুরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ও ইভোনি গুলাগং। দুজনই স্টোসুরের জয়কে বলেছেন, ‘অসাধারণ’। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, এই জয় নতুন প্রজন্মকে টেনিসে টানবে এবং অস্ট্রেলিয়ার টেনিসকে আবারও উঁচুতে নিয়ে যাবে।
No comments