জিয়া ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ কবে শুরু হতো বলা মুশকিল: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ কবে শুরু হতো, তা বলা মুশকিল। আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জীবনীভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এই দাবি করেন। বিএনপির অঙ্গ-সংগঠন যুবদল ওই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, ২৬ মার্চ যদি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন, তাহলে স্বাধীনতাযুদ্ধ কবে শুরু হতো, এটা বলা মুশকিল। কারণ, তখন জাতি যেভাবে দিকনির্দেশনাহীন হয়ে পড়েছিল, জাতি যেভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল, তখন কিন্তু কোন রাজনীতিক নেতৃত্ব জাতিকে সেভাবে কোনো আহ্বান জানায়নি। এই আহ্বানের ফলেই পুরো জাতি সেদিন যুদ্ধে নেমে পড়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব আবারও অভিযোগ করেন, সরকার জঙ্গিবাদ জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ হাসিল করতে চায়। গতকালের বিস্ফোরণে একজনের নিহত হওয়ার বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, যে মানুষটি আত্মঘাতী বোমা দিয়ে নিহত হলো, সে কি তাকে নিহত করবার জন্যই আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে? বিশ্বাসযোগ্য বক্তব্যগুলো না এলে জনগণের মধ্যে সেই সন্দেহ সৃষ্টি হবেই। যে কথাগুলো আমরা বারবার বলে আসছি যে সরকার এটাকে আসলে সমাধান করতে চায় না। সরকার চায় এটাকে জিইয়ে রেখে, এই সমস্যাকে জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়।’ জঙ্গিবাদ নির্মূলে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য গড়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। বাংলাদেশ ব্যাংকের আগুন ইচ্ছাকৃত কি না, সে প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ভবনের যে তলায় বৈদেশিক রিজার্ভের ‘ডকুমেন্ট’ থাকে, সেখানেই আগুন লেগেছে। তাই সন্দেহ করার যথেষ্ট অবকাশ আছে, ডকুমেন্ট নষ্ট করার জন্য এই আগুন ইচ্ছাকৃত কি না।
No comments