আতিয়া মহল থেকে ১২টি পরিবারকে উদ্ধার
সিলেট
নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা 'আতিয়া মহলে'
অবরুদ্ধ জকিগঞ্জ থানার এএসআই মুহিবুর রহমানের পরিবারসহ ১২টি পরিবারকে
উদ্ধার করা হয়েছে। সেনা বাহিনীর প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্ব অভিযান শুরুর পর
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চার ও পাঁচতলা থেকে প্রথমে ছয়টি, পরে পৌনে ১১টার দিকে
তৃতীয় ও দ্বিতীয়তলা থেকে আরও ছয়টি পরিবারের অন্তত ২০/২৫ জন সদস্যকে উদ্ধার
করা হয়। ভবন থেকে বেরিয়ে নজরুল ইসলাম নামে এক চাকুরিজীবী ফোনে যুগান্তরকে
জানান, ১২টি পরিবারের সদস্যকে সেনা বাহিনীর প্যারা কমান্ডো বাহিনীর সদস্যরা
উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। পরে তাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার
পরিবারের সঙ্গে বাড়িটিতে অবরুদ্ধ থাকা পুলিশ কর্মকর্তা মুহিবুর রহমানের
স্ত্রী-সন্তানরাও বেরিয়ে এসেছেন বলে জানান নজরুল ইসলাম। তিনি আরও জানান,
ভবনে থাকাকালীন তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে প্যারা কমান্ডোরা
জঙ্গিদের ফ্ল্যাটটি ঘিরে রেখেছে। ভবন থেকে বাকিদেরও নিরাপদে উদ্ধারের
চেষ্টা চলছে বলে অভিযান সূত্রে জানা গেছে।
আতিয়া মহলে ২০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে
১৭টি ফ্ল্যাট ভাড়া ছিল। এর মধ্যে নিচতলার একটি ফ্ল্যাট মর্জিনা ও কাউসার
স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে ভাড়া নেয়। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী
বাহিনীর ধারণা, জঙ্গি মুসা নাম বদলে কাওসার নাম নিয়ে ওই বাসায় উঠেছে। এর
আগে শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় সেনা বাহিনীর প্যারা কমান্ডো বাহিনীর নেতৃত্বে এ
অভিযান শুরু হয়। প্রবল ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যেই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই
মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। অভিযান
তত্ত্বাবধান করছেন সেনা বাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল
আনোয়ারুল মোমেন। এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে 'অপারেশন টোয়াইলাইট'। প্যারা
কমান্ডো দলকে অভিযানে সহযোগিতা করছে সোয়াত ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের
সদস্যরা। চূড়ান্ত অভিযানের আগে সকাল ৭টার দিকে জঙ্গি আস্তানার আশপাশ থেকে
লোকজন ও সাংবাদিকদের এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়া হয়। এর আগে জঙ্গি
আস্তানার সন্ধান পেয়ে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে 'আতিয়া মহল' নামের পাঁচতলা
ভবনটি ঘিরে রাখে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাড়িটির প্রধান ফটকে তালা
লাগিয়ে দেয়া হয়।
No comments