লন্ডনে হামলাকারী ছিলেন ধর্মান্তরিত মুসলিম
লন্ডনে
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে হামলার ঘটনায় হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে
দেশটির সরকার। একজন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ধর্মান্তরিত মুসলিম ছিলেন তিনি।
হামলাকারীকে নিয়ে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ফাইভ অতীতেও তদন্ত
চালিয়েছিল বলে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে জানান প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে।
গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট জানায়, ৫২ বছর বয়সী খালিদ মাসুদের
জন্ম ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের কেন্টের ডার্টফোর্ডে। জন্মের পর তার নাম
আড্রিয়ান ইলমস রাখা হয়। তবে লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট
ডেপুটি কমিশনার মার্ক রাওলি দাবি করেন জন্মের পর ছিল আড্রিয়ান রাসেল
অ্যাজায়ো। পুলিশ অবশ্য যখন তার নাম প্রথম প্রকাশ করে তখনই বলেছিল যে, খালিদ
মাসুদ বেশ কয়েকটি নাম ব্যবহার করতেন। এর আগেও সহিংস অপরাধের দায়ে জেলে
গেছেন। জেলে বসেই ধর্মান্তরিত হন এবং নিজের নাম বদলে রাখেন খালিদ মাসুদ।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস
শুরু করেছিলেন তিনি।
তবে গত ডিসেম্বরের দিকে হঠাৎই বাসা ছেড়ে চলে যান।
কিন্তু হামলার ঠিক আগে তিনি ব্রাইটনে একটি হোটেলে ছিলেন। তবে সেখানে কেন
ছিলেন, তা এখনও অজানা। আর যে গাড়িটি তিনি হামলার কাজে ব্যবহার করেন, সেটি
তিনি ভাড়া করেছিলেন বার্মিংহাম থেকে। হামলার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা শুনে
আহত হয়েছেন বলে জানান তার সাবেক প্রতিবেশীরা। তারা বলেন, তিনি ‘ভালো লোক’
ছিলেন এবং অন্যদের মতো তার পরিবারও ছিল। তিনি তিন সন্তানের বাবা বলেও জানান
তারা। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলে ইংরেজি পড়াতেন। তবে ব্রিটেনের শিক্ষা
বিভাগ এ দাবি অস্বীকার করেছে। মনে করা হচ্ছে, তিনি ইংরেজি বিষয়ে টিউটর
হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানায়, খালিদ
প্রথমবার জেলে যান ১৯৮৩ সালের নভেম্বরে। এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করার দায়ে
তাকে দণ্ড পেতে হয়। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে ছুরি বহনের অভিযোগে দোষী
সাব্যস্ত হন। কিন্তু কখনোই সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত ছিলেন না। গোয়েন্দা সূত্র
মতে, সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত না থাকলেও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে একটা
সংশ্লিষ্টতা ছিল মাসুদের। সম্ভবত জেলে থাকাকালেই উগ্রপন্থার প্রতি তার
আগ্রহ তৈরি হয়।
No comments