প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন সু চি
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে
প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি। তিনি
বলেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। এ নিয়ে লুকোচুরির
কিছু নেই।
' রাজধানী নেপিডোতে অনুষ্ঠেয় পূর্ব এশিয়াবিষয়ক বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী সু চি বলেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই না- এ রকম বললে তা মিথ্যা বলা হবে।' গত বুধবার থেকে নেপিডোতে ডাব্লিউইএফের তিন দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে ৫০ দেশের প্রায় ৯০০ প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গতকাল বক্তৃতা করেন সু চি।
মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রী অথবা সন্তান বিদেশি নাগরিক হলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়তে পারবেন না। ফলে সু চির পক্ষে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াই করা কঠিন হবে। কারণ সু চির প্রয়াত স্বামী মাইকেল এরিস ও তাঁর দুই ছেলেই ব্রিটিশ নাগরিক। ধারণা করা হয়, সু চিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সংবিধানে এ ধারা যোগ করা হয়েছে।
সাবেক জান্তা সরকারের আমলে করা সংবিধানের এ ধারা পরিবর্তনের জন্য পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশেরও বেশি সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। দেশটির বর্তমান পার্লামেন্ট সদস্যদের এক-চতুর্থাংশ অনির্বাচিত সামরিক কর্মকর্তা। তার পরও সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে আশাবাদী সু চি। তিনি বলেন, 'বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বে আমাদের সংবিধান সংশোধন করা সবচেয়ে কঠিন। তাই বলে আমি হতাশ নই। চেষ্টা চালিয়ে যাব। সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ এখন থেকেই আমাদের শুরু করা উচিত।'
মিয়ানমারে পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেখানে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হবে ২০১৫ সালে।
মিয়ানমারের বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ক্ষমতায় আসার পর বেশ কিছু সংস্কার ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এসব সংস্কারের কোনো সুফল জনগণ ভোগ করেনি বলে দাবি করেন সু চি, 'যদি পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে বেশির ভাগ লোকই বলবে, ২০১০ সালের পর তাদের চোখে কোনো পরিবর্তন ধরা পড়েনি।'
সু চি বলেন, 'দেশ পরিবর্তনের ধারায় জনগণকে যুক্ত করা হয়েছে- এ বোধটা তাদের দিতে হবে। তবেই সংস্কারের সুফল মিলবে। নইলে পরিবর্তনের ফল ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।' বিদেশি প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সু চি বলেন, 'আপনারা ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় অনেক গাড়ি দেখছেন এবং ইচ্ছামতো পত্রিকা কিনতে পারছেন। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে আধুনিক জীবনের এসব সুবিধা পৌঁছে না।' ২০১০ সালে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের পর ১৫ বছরের গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পান সু চি। গত বছর উপনির্বাচনের মাধ্যমে তিনি পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। সূত্র : এএফপি, সিএনএন।
ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী সু চি বলেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই না- এ রকম বললে তা মিথ্যা বলা হবে।' গত বুধবার থেকে নেপিডোতে ডাব্লিউইএফের তিন দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে ৫০ দেশের প্রায় ৯০০ প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গতকাল বক্তৃতা করেন সু চি।
মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রী অথবা সন্তান বিদেশি নাগরিক হলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়তে পারবেন না। ফলে সু চির পক্ষে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াই করা কঠিন হবে। কারণ সু চির প্রয়াত স্বামী মাইকেল এরিস ও তাঁর দুই ছেলেই ব্রিটিশ নাগরিক। ধারণা করা হয়, সু চিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সংবিধানে এ ধারা যোগ করা হয়েছে।
সাবেক জান্তা সরকারের আমলে করা সংবিধানের এ ধারা পরিবর্তনের জন্য পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশেরও বেশি সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। দেশটির বর্তমান পার্লামেন্ট সদস্যদের এক-চতুর্থাংশ অনির্বাচিত সামরিক কর্মকর্তা। তার পরও সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে আশাবাদী সু চি। তিনি বলেন, 'বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বে আমাদের সংবিধান সংশোধন করা সবচেয়ে কঠিন। তাই বলে আমি হতাশ নই। চেষ্টা চালিয়ে যাব। সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ এখন থেকেই আমাদের শুরু করা উচিত।'
মিয়ানমারে পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেখানে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হবে ২০১৫ সালে।
মিয়ানমারের বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ক্ষমতায় আসার পর বেশ কিছু সংস্কার ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এসব সংস্কারের কোনো সুফল জনগণ ভোগ করেনি বলে দাবি করেন সু চি, 'যদি পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে বেশির ভাগ লোকই বলবে, ২০১০ সালের পর তাদের চোখে কোনো পরিবর্তন ধরা পড়েনি।'
সু চি বলেন, 'দেশ পরিবর্তনের ধারায় জনগণকে যুক্ত করা হয়েছে- এ বোধটা তাদের দিতে হবে। তবেই সংস্কারের সুফল মিলবে। নইলে পরিবর্তনের ফল ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।' বিদেশি প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সু চি বলেন, 'আপনারা ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় অনেক গাড়ি দেখছেন এবং ইচ্ছামতো পত্রিকা কিনতে পারছেন। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে আধুনিক জীবনের এসব সুবিধা পৌঁছে না।' ২০১০ সালে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের পর ১৫ বছরের গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পান সু চি। গত বছর উপনির্বাচনের মাধ্যমে তিনি পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। সূত্র : এএফপি, সিএনএন।
No comments