দাম কমতে পারে
২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের
শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
পাশাপাশি দেশীয় কিছু শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ৫১টি পণ্যে আমদানি শুল্ক
কমানো এবং ২৩টি পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। একইভাবে ৪০টি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা কমানো হয়েছে। শুল্ক ছাড়ের ফলে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে সেগুলো হলো :
রিকন্ডিশন্ড গাড়ি : বাজেটে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ওপর কর কমেনি। তবে অবচয় সুবিধা বিন্যস্ত করা হয়েছে। এখন থেকে পাঁচ বছর বয়সী গাড়ি আমদানিতে ৪৫, চার বছর বয়সী গাড়ি ৪০, তিন বছর বয়সী গাড়ি ৩৫ ও দুই বছর বয়সী গাড়ি আমদানিতে ৩০ শতাংশ অবচয় সুবিধা মিলবে। ফলে চার ও পাঁচ বছর বয়সী গাড়ির দাম বেশি কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। অপেক্ষাকৃত কম বয়সী গাড়ির দামও কিছুটা কমবে বলে জানান তাঁরা।
ওয়েবক্যাম ও জিজিটাল ক্যামেরা : ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য অর্থমন্ত্রী বাজেটে ওয়েবক্যাম ও ডিজিটাল ক্যামেরার ওপর আমদানি শুল্ক কমিয়েছেন। এ দুটি পণ্যের ওপর বর্তমানের ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। সরাসরি তৈরি পণ্যের শুল্ক কমার ফলে এ দুটি পণ্যের দাম কমার কথা।
দেশীয় প্রসাধনী : দেশে উৎপাদিত ত্বক ও চুল চর্চার প্রসাধন, শেভিং ও টয়লেট্রিজ সামগ্রীর ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক হার কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে আমদানি পণ্যের মতো দেশে উৎপাদিত প্রসাধন সামগ্রীতে একই সম্পূরক শুল্ক ছিল। কমানোর ফলে দেশীয় প্রসাধনীর দাম কমবে।
এলইডি বাতি ও সোলার ল্যানটার্ন : এলইডি ল্যাম্প (রিচার্জেবলসহ) ও সোলার ল্যানটার্ন ব্যবহার উৎসাহিত করতে এর আমদানি শুল্ক ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে বাজেটে। এর সুবাদে এ দুটি পণ্যের দাম কমতে পারে।
অগি্ননির্বাপণ যন্ত্র : ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অগি্ননির্বাপণ পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফায়ার এঙ্টিংগুইশারসহ অগি্ননির্বাপণ পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। বাজেট প্রস্তাবের আগে এসব পণ্য আমদানিতে মোট করভার ছিল ৩৯.৪৭ শতাংশ।
গাড়ির কাচ : রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশে প্রচুরসংখ্যক গাড়ির কাচ ভেঙেছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী এ পণ্যটির দাম কমানোর কথা বলেছেন। তিনি গাড়ির কাচের (উইন্ডশিল্ড) আমদানিতে শুল্ক হার ১২ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন। ফলে এর দাম কমতে পারে।
দেশীয় ইনসুলিন : স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ইনসুলিন, ইনসুলিন পেন ও স্ট্রেপটোকাইনেজ ইনজেকশনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। এ ছাড়া হুইল চেয়ার, অন্ধদের জন্য তৈরি ঘড়ির মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে এগুলোর দাম কমবে।
পোলট্রি, ডেইরি ও ফিশ ফিড : পোলট্রি, ডেইরি ও ফিশ ফিডের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
মিনিবাসের চেসিস : বর্তমানে তৈরি মিনিবাস আমদানির ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। তবে মিনিবাসের চেসিস আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার ২৫ শতাংশ। এতে দেশীয় সংযোজন শিল্প বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে যুক্তি তুলে বাজেটে চেসিস আমদানির শুল্ক ১২ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশে সংযোজিত মিনিবাসের উৎপাদন খরচ কমে আসায় দাম কমতে পারে।
ডাম্প ট্রাক : অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত ডাম্প ট্রাক আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে ডাম্প ট্রাকের দাম কমবে।
বিদেশি কাপড় : শুল্কমুক্ত কাপড় এনে অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি ঠেকাতে বিদেশি কাপড়ের (ওভেন) ওপর সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ওভেন কাপড় আমদানিতে বর্তমানে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কসহ মোট করভার ১৩১.৩৩ শতাংশ। বৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে বিদেশি কাপড়ের দাম কমে আসতে পারে।
অন্যান্য : বাজেটে সুপারি, চিনিযুক্ত মিষ্টি খাদ্য, মিষ্টি বিস্কুট, ওয়াফেলস, ওয়েফার, মিনারেল ওয়াটার, ইমিটেশন মুক্তা ও ইমিটেশন মূল্যবান পাথর ইত্যাদির ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
কমানো এবং ২৩টি পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। একইভাবে ৪০টি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা কমানো হয়েছে। শুল্ক ছাড়ের ফলে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে সেগুলো হলো :
রিকন্ডিশন্ড গাড়ি : বাজেটে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ওপর কর কমেনি। তবে অবচয় সুবিধা বিন্যস্ত করা হয়েছে। এখন থেকে পাঁচ বছর বয়সী গাড়ি আমদানিতে ৪৫, চার বছর বয়সী গাড়ি ৪০, তিন বছর বয়সী গাড়ি ৩৫ ও দুই বছর বয়সী গাড়ি আমদানিতে ৩০ শতাংশ অবচয় সুবিধা মিলবে। ফলে চার ও পাঁচ বছর বয়সী গাড়ির দাম বেশি কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। অপেক্ষাকৃত কম বয়সী গাড়ির দামও কিছুটা কমবে বলে জানান তাঁরা।
ওয়েবক্যাম ও জিজিটাল ক্যামেরা : ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য অর্থমন্ত্রী বাজেটে ওয়েবক্যাম ও ডিজিটাল ক্যামেরার ওপর আমদানি শুল্ক কমিয়েছেন। এ দুটি পণ্যের ওপর বর্তমানের ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। সরাসরি তৈরি পণ্যের শুল্ক কমার ফলে এ দুটি পণ্যের দাম কমার কথা।
দেশীয় প্রসাধনী : দেশে উৎপাদিত ত্বক ও চুল চর্চার প্রসাধন, শেভিং ও টয়লেট্রিজ সামগ্রীর ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক হার কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে আমদানি পণ্যের মতো দেশে উৎপাদিত প্রসাধন সামগ্রীতে একই সম্পূরক শুল্ক ছিল। কমানোর ফলে দেশীয় প্রসাধনীর দাম কমবে।
এলইডি বাতি ও সোলার ল্যানটার্ন : এলইডি ল্যাম্প (রিচার্জেবলসহ) ও সোলার ল্যানটার্ন ব্যবহার উৎসাহিত করতে এর আমদানি শুল্ক ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে বাজেটে। এর সুবাদে এ দুটি পণ্যের দাম কমতে পারে।
অগি্ননির্বাপণ যন্ত্র : ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অগি্ননির্বাপণ পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফায়ার এঙ্টিংগুইশারসহ অগি্ননির্বাপণ পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। বাজেট প্রস্তাবের আগে এসব পণ্য আমদানিতে মোট করভার ছিল ৩৯.৪৭ শতাংশ।
গাড়ির কাচ : রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশে প্রচুরসংখ্যক গাড়ির কাচ ভেঙেছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী এ পণ্যটির দাম কমানোর কথা বলেছেন। তিনি গাড়ির কাচের (উইন্ডশিল্ড) আমদানিতে শুল্ক হার ১২ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন। ফলে এর দাম কমতে পারে।
দেশীয় ইনসুলিন : স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ইনসুলিন, ইনসুলিন পেন ও স্ট্রেপটোকাইনেজ ইনজেকশনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। এ ছাড়া হুইল চেয়ার, অন্ধদের জন্য তৈরি ঘড়ির মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে এগুলোর দাম কমবে।
পোলট্রি, ডেইরি ও ফিশ ফিড : পোলট্রি, ডেইরি ও ফিশ ফিডের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
মিনিবাসের চেসিস : বর্তমানে তৈরি মিনিবাস আমদানির ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। তবে মিনিবাসের চেসিস আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার ২৫ শতাংশ। এতে দেশীয় সংযোজন শিল্প বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে যুক্তি তুলে বাজেটে চেসিস আমদানির শুল্ক ১২ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশে সংযোজিত মিনিবাসের উৎপাদন খরচ কমে আসায় দাম কমতে পারে।
ডাম্প ট্রাক : অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত ডাম্প ট্রাক আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে ডাম্প ট্রাকের দাম কমবে।
বিদেশি কাপড় : শুল্কমুক্ত কাপড় এনে অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি ঠেকাতে বিদেশি কাপড়ের (ওভেন) ওপর সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ওভেন কাপড় আমদানিতে বর্তমানে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কসহ মোট করভার ১৩১.৩৩ শতাংশ। বৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে বিদেশি কাপড়ের দাম কমে আসতে পারে।
অন্যান্য : বাজেটে সুপারি, চিনিযুক্ত মিষ্টি খাদ্য, মিষ্টি বিস্কুট, ওয়াফেলস, ওয়েফার, মিনারেল ওয়াটার, ইমিটেশন মুক্তা ও ইমিটেশন মূল্যবান পাথর ইত্যাদির ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
No comments