হরতালে ময়মনসিংহে বিক্ষিপ্ত ভাঙচুর-আগুন, আটক ১৩
ময়মনসিংহ জেলায় বিএনপির ডাকা আধা বেলা
হরতাল গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে পালিত
হয়েছে। প্রশাসনের ১৪৪ ধারার কারণে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে মানববন্ধন করতে না পেরে এই হরতাল ডাকা হয়।
হরতালে
পিকেটিং করার সময় এবং হরতালের আগের রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও
তার অঙ্গসংগঠনের ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ময়মনসিংহ
সদরের আটজন, গফরগাঁওয়ের তিনজন এবং ত্রিশালের দুজন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জেলায় ঢিলেঢালাভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস না চললেও অন্য সব যানবাহনের চলাচল ছিল স্বাভাবিক। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ময়মনসিংহ সদর, ভালুকা, মুক্তাগাছা ও ত্রিশালে রাস্তায় পিকেটারদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। এসব এলাকায় বেশির ভাগ দোকানপাট, অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল।
তবে সকালে ময়মনসিংহ শহরের ধোপাখলা মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন জেলা মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা। সকাল সাতটার দিকে সাহেব আলী রোডে একটি টেম্পোতে আগুন দেয় হরতালের সমর্থকেরা। এ ছাড়া চরপাড়া ও সানকিপাড়া সড়কে হরতালের সমর্থনে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
গফরগাঁওয়ে হরতাল চলাকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা গফরগাঁও-ভালুকা ও গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় ১০-১২টি নছিমন ও করিমন ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ এলে হরতালের সমর্থকেরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে গফরগাঁও থানার পুলিশ পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ছাত্রদলের কর্মী মো. রুবেল মিয়া এবং পাগলা থানার পুলিশ পাঁচবাগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাঁদের ময়মনসিংহ জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার জানান, পিকেটিংয়ের সময় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে।
ত্রিশাল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, হরতালে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারেন এমন আশঙ্কায় উপজেলার বৈলর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামানকে এবং বালিপাড়া থেকে যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে ময়মনসিংহ জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন বৃহস্পতিবার মুক্তাগাছা উপজেলা থেকে ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটারজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তবে ছাত্রলীগ পাল্টা কর্মসূচি দিলে চার উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে ময়মনসিংহ জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জেলায় ঢিলেঢালাভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস না চললেও অন্য সব যানবাহনের চলাচল ছিল স্বাভাবিক। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ময়মনসিংহ সদর, ভালুকা, মুক্তাগাছা ও ত্রিশালে রাস্তায় পিকেটারদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। এসব এলাকায় বেশির ভাগ দোকানপাট, অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল।
তবে সকালে ময়মনসিংহ শহরের ধোপাখলা মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন জেলা মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা। সকাল সাতটার দিকে সাহেব আলী রোডে একটি টেম্পোতে আগুন দেয় হরতালের সমর্থকেরা। এ ছাড়া চরপাড়া ও সানকিপাড়া সড়কে হরতালের সমর্থনে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
গফরগাঁওয়ে হরতাল চলাকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা গফরগাঁও-ভালুকা ও গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় ১০-১২টি নছিমন ও করিমন ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ এলে হরতালের সমর্থকেরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে গফরগাঁও থানার পুলিশ পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ছাত্রদলের কর্মী মো. রুবেল মিয়া এবং পাগলা থানার পুলিশ পাঁচবাগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাঁদের ময়মনসিংহ জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার জানান, পিকেটিংয়ের সময় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে।
ত্রিশাল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, হরতালে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারেন এমন আশঙ্কায় উপজেলার বৈলর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামানকে এবং বালিপাড়া থেকে যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে ময়মনসিংহ জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন বৃহস্পতিবার মুক্তাগাছা উপজেলা থেকে ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটারজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তবে ছাত্রলীগ পাল্টা কর্মসূচি দিলে চার উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে ময়মনসিংহ জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
No comments