ড্যাপ সংশোধন-কোনো অনমনীয়তাই কাম্য নয়
বাড়ছে মানুষ। বাড়ছে মানুষের বসতির
প্রয়োজন। কর্মসংস্থান ও উন্নত জীবনযাপনের প্রয়োজনে মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছে।
ফলে প্রতিনিয়তই ঢাকায় জনসংখ্যার উল্লম্ফন ঘটছে। যত্রতত্র মাথা গোঁজার ঠাঁই
করে নিচ্ছে মানুষ।
অপরিকল্পিতভাবে বাড়ছে নগরায়ণ। এটি
অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলতে থাকলে একসময় পুরো নগরজীবনই অচল হয়ে পড়বে। তাই
পরিকল্পিত নগরায়ণের লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান বা
ড্যাপ। মূল ঢাকার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে যোগ করে ভবিষ্যৎ মহানগরের
সব উপযোগিতার কথা বিবেচনায় রেখে একটি সার্বিক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
কিন্তু সেই পরিকল্পনা ও বাস্তবতার মধ্যে অনেক অসংগতি রয়ে গেছে। সময়ের সঙ্গে
সঙ্গে অসংগতিগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর তাই গত বুধবার ড্যাপ রিভিউ
উপকমিটির সভায় সেই অসংগতিগুলো দূর করার বা ড্যাপের ত্রুটি সংশোধনের
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি অবশ্যই একটি বাস্তব বিবেচনাবোধ। কোনো ধরনের
অনমনীয়তা বা একগুঁয়েমি দিয়ে বাস্তবতাকে কখনো অস্বীকার করা যায় না। সেটি
কাম্যও নয়। আর এর ফলাফল বা পরিণতিও ভালো হয় না।
ব্যক্তিমানুষ যখন বসতি নির্মাণ করে তখন সে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনটাকেই গুরুত্ব দেয়। কিন্তু রাষ্ট্রকে চিন্তা করতে হয় সামগ্রিকভাবে। যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট, পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, সুপেয় পানির সরবরাহ, পানির উৎস রক্ষা, সামাজিক প্রয়োজন ইত্যাদি অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে একটি জনবসতির সুস্থ ও সুন্দরভাবে বসবাস করা। পাশাপাশি বিনোদন বা নান্দনিক দিকগুলোও থাকতে হয় সঠিক নগর পরিকল্পনার মধ্যে। সেদিক থেকে ড্যাপ বা নগর পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম। বিধিবিধান থাকা ও মেনে চলা অপরিহার্য। কিন্তু সেগুলোকে অকাট্য বা অপরিবর্তনশীল মনে করলেই সমস্যা ঘনীভূত হবে। যখন যেখানে ত্রুটি-বিচ্যুতি চোখে পড়বে, সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে এগোতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, বর্তমানে আমরা ঢাকার যেসব এলাকাকে ব্যস্ততম বা ঘনবসতিপূর্ণ দেখছি, সেগুলো আজ থেকে ৫০ বছর আগে এ রকম ছিল না। এর অনেকটাই পতিত বা কৃষিজমি ছিল। বসতি নির্মাণের নিতান্ত প্রয়োজনেই সেসব আজ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় রূপ নিয়েছে। আবার এখন যেগুলো কৃষিজমি বা পতিত ভূমি হিসেবে রয়েছে, ৫০ বছর পর সেগুলো আর এ রকম থাকবে না। এই বাস্তবতাকে স্বীকার করতেই হবে। অন্যদিকে কৃষিজমি, জলাভূমি ইত্যাদি রক্ষারও প্রয়োজন আছে। এই দুই প্রয়োজনীয় বাস্তবতার মধ্যে সংগতি রক্ষা করে এগোতে পারার ওপরই নির্ভর করে যেকোনো পরিকল্পনার সাফল্য। সে কারণেই অনড় বা অনমনীয় অবস্থান কাম্য নয়। পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে গিয়ে যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা দেখা দেবে, সেখানেই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত উপায়ে তার সমাধান করে এগিয়ে যেতে হবে। সেটাই প্রত্যাশিত।
ব্যক্তিমানুষ যখন বসতি নির্মাণ করে তখন সে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনটাকেই গুরুত্ব দেয়। কিন্তু রাষ্ট্রকে চিন্তা করতে হয় সামগ্রিকভাবে। যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট, পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, সুপেয় পানির সরবরাহ, পানির উৎস রক্ষা, সামাজিক প্রয়োজন ইত্যাদি অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে একটি জনবসতির সুস্থ ও সুন্দরভাবে বসবাস করা। পাশাপাশি বিনোদন বা নান্দনিক দিকগুলোও থাকতে হয় সঠিক নগর পরিকল্পনার মধ্যে। সেদিক থেকে ড্যাপ বা নগর পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম। বিধিবিধান থাকা ও মেনে চলা অপরিহার্য। কিন্তু সেগুলোকে অকাট্য বা অপরিবর্তনশীল মনে করলেই সমস্যা ঘনীভূত হবে। যখন যেখানে ত্রুটি-বিচ্যুতি চোখে পড়বে, সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে এগোতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, বর্তমানে আমরা ঢাকার যেসব এলাকাকে ব্যস্ততম বা ঘনবসতিপূর্ণ দেখছি, সেগুলো আজ থেকে ৫০ বছর আগে এ রকম ছিল না। এর অনেকটাই পতিত বা কৃষিজমি ছিল। বসতি নির্মাণের নিতান্ত প্রয়োজনেই সেসব আজ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় রূপ নিয়েছে। আবার এখন যেগুলো কৃষিজমি বা পতিত ভূমি হিসেবে রয়েছে, ৫০ বছর পর সেগুলো আর এ রকম থাকবে না। এই বাস্তবতাকে স্বীকার করতেই হবে। অন্যদিকে কৃষিজমি, জলাভূমি ইত্যাদি রক্ষারও প্রয়োজন আছে। এই দুই প্রয়োজনীয় বাস্তবতার মধ্যে সংগতি রক্ষা করে এগোতে পারার ওপরই নির্ভর করে যেকোনো পরিকল্পনার সাফল্য। সে কারণেই অনড় বা অনমনীয় অবস্থান কাম্য নয়। পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে গিয়ে যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা দেখা দেবে, সেখানেই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত উপায়ে তার সমাধান করে এগিয়ে যেতে হবে। সেটাই প্রত্যাশিত।
No comments