সংসদ ভেঙে যাবে ২৫ অক্টোবর'খালেদাও আইভির খুনি হিসেবে চিহ্নিত হবেন' by পাভেল হায়দার চৌধুরী
নবম জাতীয় সংসদ আগামী ২৫ অক্টোবর ভেঙে
দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। গতকাল
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাজেট অধিবেশনের পর সংসদের
আরেকটি সংক্ষিপ্ত অধিবেশন বসবে। সভায় উপস্থিত একাধিক সংসদ সদস্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গতকাল সংসদ অধিবেশন শেষে রাত ৮টায় জাতীয় সংসদ ভবনের নবম তলায় ক্ষমতাসীন দলের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সভা চলে। সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী সভায় সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দেন যাতে তাঁরা বাজেট আলোচনায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, সভায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই গ্রেনেড হামলার রূপকার তারেক রহমান। তিনি গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। আইভি রহমানের চিহ্নিত হত্যাকারী। তারেক রহমানকে অবশ্যই আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকেও আইভি রহমানের খুনি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
সূত্র মতে, দলীয় সংসদ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এমপিদের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তা না হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই দলের প্রাণ। কোনোভাবেই তাদের উপেক্ষা করা চলবে না। এ সময় সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপিদেরও হুঁশিয়ার করে শেখ হাসিনা বলেন, সংরক্ষিত মহিলা এমপিদের যেসব এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন সেসব এলাকা নিয়ে থাকেন। এর বাইরে নিজের এলাকায় গিয়ে এমপিদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-কোন্দলে জড়ানো যাবে না।
সূত্র জানায়, সভায় টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মাহমুদ আলীকে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়তে হয়। দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে বক্তব্য দিলে উপস্থিত সংসদ সদস্যরা একমত পোষণ করে হৈচৈ করেন। আমু বলেন, প্রতিমন্ত্রী এমপিদের উপেক্ষা করে অনেক এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সরাসরি বরাদ্দ দেন, যা নিয়ম অনুযায়ী তিনি পারেন না। পরে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
জানা যায়, আমির হোসেন আমু বলেন, টিআর, কাবিখা বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। এসব সরকারি ত্রাণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজেরাই নিয়ে গেছেন। অনেক জায়গায় এমপিরাও বঞ্চিত হয়েছেন। আরেক এমপি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি ও সরকারীকরণের দাবি উত্থাপন করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার এসব আর হবে না। আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে এসব করা হবে।
জানা গেছে, দলীয় সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক, কেরামত উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও মনোয়ার হোসেন চৌধুরী সভায় বক্তব্য দেন। তাঁরা নিজ এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী যা হয়েছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে বলেন। তিনি বলেন, দেশের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে আরো অনেক বেশি কঠোর হবে। কোনো রকম জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে আর সরকার ছাড় দেবে না।
সূত্র জানায়, বাজেটের ওপর আলোচনায় 'টু দ্য পয়েন্টে' কথা বলতে দলীয় সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বলে সময়ক্ষেপণ না করে পয়েন্ট লিখে নিয়ে সংসদে কথা বলতে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
আরেকটি সংক্ষিপ্ত অধিবেশন বসবে। সভায় উপস্থিত একাধিক সংসদ সদস্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গতকাল সংসদ অধিবেশন শেষে রাত ৮টায় জাতীয় সংসদ ভবনের নবম তলায় ক্ষমতাসীন দলের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সভা চলে। সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী সভায় সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দেন যাতে তাঁরা বাজেট আলোচনায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, সভায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই গ্রেনেড হামলার রূপকার তারেক রহমান। তিনি গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। আইভি রহমানের চিহ্নিত হত্যাকারী। তারেক রহমানকে অবশ্যই আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকেও আইভি রহমানের খুনি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
সূত্র মতে, দলীয় সংসদ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এমপিদের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তা না হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই দলের প্রাণ। কোনোভাবেই তাদের উপেক্ষা করা চলবে না। এ সময় সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপিদেরও হুঁশিয়ার করে শেখ হাসিনা বলেন, সংরক্ষিত মহিলা এমপিদের যেসব এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন সেসব এলাকা নিয়ে থাকেন। এর বাইরে নিজের এলাকায় গিয়ে এমপিদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-কোন্দলে জড়ানো যাবে না।
সূত্র জানায়, সভায় টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মাহমুদ আলীকে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়তে হয়। দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে বক্তব্য দিলে উপস্থিত সংসদ সদস্যরা একমত পোষণ করে হৈচৈ করেন। আমু বলেন, প্রতিমন্ত্রী এমপিদের উপেক্ষা করে অনেক এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সরাসরি বরাদ্দ দেন, যা নিয়ম অনুযায়ী তিনি পারেন না। পরে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
জানা যায়, আমির হোসেন আমু বলেন, টিআর, কাবিখা বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। এসব সরকারি ত্রাণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজেরাই নিয়ে গেছেন। অনেক জায়গায় এমপিরাও বঞ্চিত হয়েছেন। আরেক এমপি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি ও সরকারীকরণের দাবি উত্থাপন করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার এসব আর হবে না। আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে এসব করা হবে।
জানা গেছে, দলীয় সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক, কেরামত উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও মনোয়ার হোসেন চৌধুরী সভায় বক্তব্য দেন। তাঁরা নিজ এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী যা হয়েছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে বলেন। তিনি বলেন, দেশের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে আরো অনেক বেশি কঠোর হবে। কোনো রকম জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে আর সরকার ছাড় দেবে না।
সূত্র জানায়, বাজেটের ওপর আলোচনায় 'টু দ্য পয়েন্টে' কথা বলতে দলীয় সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বলে সময়ক্ষেপণ না করে পয়েন্ট লিখে নিয়ে সংসদে কথা বলতে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
No comments