সংবিধান সংশোধনের দাবি প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চান অং সান সু চি
মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি সে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চান। গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে বিশ্ব অর্থনৈতিক
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে বিশ্ব অর্থনৈতিক
ফোরামের (ডব্লিউইএফ) পূর্ব এশিয়াবিষয়ক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে বক্তব্য
দিচ্ছিলেন মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত সু চি।
দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারের সুফল ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি
আহ্বান জানান তিনি।
জান্তার প্রণীত সংবিধানে সংশোধনী আনার দাবি জানান সু চি। কারণ, এ সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ পাবেন না। সংবিধানে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কোনো ব্যক্তির স্ত্রী বা স্বামী কিংবা সন্তানেরা বিদেশি নাগরিক হলে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির প্রয়াত ব্রিটিশ স্বামী মাইকেল অ্যারিসের ঔরসজাত দুই ছেলেসন্তানও যুক্তরাজ্যের নাগরিক। ব্যাপকভাবে মনে করা হয়, সু চিকে লক্ষ্য করেই সংবিধানে ওই ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে সু চি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চাই। বিষয়টি অকপটে বলছি। কারণ আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখি না বললে অসত্য বলা হবে।’
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি আরও বলেন, ‘সংবিধানের কোনো অংশবিশেষ সংশোধন করতে পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশ সদস্যের সমর্থন দরকার। অথচ পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশই অনির্বাচিত সেনা কর্মকর্তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের সব সংবিধানের মধ্যে মিয়ানমারের সংবিধানে সংশোধনী আনাই সবচেয়ে কঠিন। সুতরাং সংবিধানে সংশোধনী আনতে যে শর্ত পূরণ করতে হবে, তা সংশোধন করার মাধ্যমেই আমাদের যাত্রা শুরু করতে হবে।’
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের নামেমাত্র বেসামরিক সরকার দুই বছর আগে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে। তবে এর পর থেকে সরকার বেশ কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করেছে পশ্চিমা বিশ্ব।
নতুন সরকার ইতিমধ্যে শত শত রাজবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। সু চিকে পার্লামেন্টে স্বাগত জানানো হয়েছে।
ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী সু চিকে প্রায় দুই দশক কারাবন্দী রেখেছিল জান্তা সরকার। এর পরও তিনি বেশ জনপ্রিয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সু চির দল জয়লাভ করবে বলে ধারণা করা হয়।
তিন দিনের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের প্রায় নয় শ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। এএফপি।
জান্তার প্রণীত সংবিধানে সংশোধনী আনার দাবি জানান সু চি। কারণ, এ সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ পাবেন না। সংবিধানে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কোনো ব্যক্তির স্ত্রী বা স্বামী কিংবা সন্তানেরা বিদেশি নাগরিক হলে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির প্রয়াত ব্রিটিশ স্বামী মাইকেল অ্যারিসের ঔরসজাত দুই ছেলেসন্তানও যুক্তরাজ্যের নাগরিক। ব্যাপকভাবে মনে করা হয়, সু চিকে লক্ষ্য করেই সংবিধানে ওই ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে সু চি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চাই। বিষয়টি অকপটে বলছি। কারণ আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখি না বললে অসত্য বলা হবে।’
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি আরও বলেন, ‘সংবিধানের কোনো অংশবিশেষ সংশোধন করতে পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশ সদস্যের সমর্থন দরকার। অথচ পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশই অনির্বাচিত সেনা কর্মকর্তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের সব সংবিধানের মধ্যে মিয়ানমারের সংবিধানে সংশোধনী আনাই সবচেয়ে কঠিন। সুতরাং সংবিধানে সংশোধনী আনতে যে শর্ত পূরণ করতে হবে, তা সংশোধন করার মাধ্যমেই আমাদের যাত্রা শুরু করতে হবে।’
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের নামেমাত্র বেসামরিক সরকার দুই বছর আগে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে। তবে এর পর থেকে সরকার বেশ কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করেছে পশ্চিমা বিশ্ব।
নতুন সরকার ইতিমধ্যে শত শত রাজবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। সু চিকে পার্লামেন্টে স্বাগত জানানো হয়েছে।
ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী সু চিকে প্রায় দুই দশক কারাবন্দী রেখেছিল জান্তা সরকার। এর পরও তিনি বেশ জনপ্রিয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সু চির দল জয়লাভ করবে বলে ধারণা করা হয়।
তিন দিনের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের প্রায় নয় শ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। এএফপি।
No comments