আলোচনায় ড. আকবর আলি-মোগল সম্রাট ও জারদের চেয়েও ক্ষমতা বেশি এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড.
আকবর আলি খান বলেছেন, 'মোগল সম্রাটদের এত ক্ষমতা ছিল না যেটা এ দেশের
প্রধানমন্ত্রীর আছে। রাশিয়ার জারদের থেকেও এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা
বেশি।'
দেশের চলমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার নানা সমস্যার কথা
তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, 'আমরা এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা করেছি যে
রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে কুক্ষিগত থাকে। স্থানীয় সরকার
নামে আছে কাজে নাই। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের লেজুড় হিসেবে কাজ করে।'
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ড. আকবর আলি খান এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আকবর আলি বলেন, 'বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা, গণতন্ত্রের প্রতি নানা দিক থেকে চ্যালেঞ্জ আসছে। গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়ছে। সমস্যাটা কিন্তু শুধু দুই নেত্রীর নয়। সমস্যাটা পুরো ব্যবস্থার। এই ব্যবস্থায় যাকে পাঠাই না কেন- এ রকমটা ঘটে যাচ্ছে। যিনি লঙ্কায় যাচ্ছেন, তিনি রাবণ হচ্ছেন।'
ড. আকবর আলি খান আরো বলেন, 'সরকার ক্ষমতায় এসে মনে করে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতার মৌরসিপাট্টা পেয়ে গেছি। তারপর নিজেদের মতো করে দেশ চালাতে থাকে। এতে সাধারণ জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন ঘটে না।'
সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, 'যারা দেশের পরিবর্তন চায় তাদের একত্র হতে হবে। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বিরাজমান সমস্যার সমাধান করতে হলে আরো কাছাকাছি আসতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নাগরিক ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা দেখা যায়। রাষ্ট্র নিপীড়ক হয়ে উঠলে নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলতে হয়। নাগরিক সমাজ বিবেকের বাতায়ন।'
ড. আকবর আলি খান আরো বলেন, 'ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। ক্ষমতা স্তরে স্তরে নামিয়ে আনতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর গণতান্ত্রিকচর্চা করতে হবে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।'
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন অক্টোপাসের মতো গ্রাস করে আছে আমাদের। ১৬ কোটি মানুষ আজ অস্বস্তিতে। ঘোরতর সংকটে।'
আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে 'বিপদ-আপদ' হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এটা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে আপদ-বিপদের বাইরে এসে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে। এভাবে মানুষ মুক্তির পথ খুঁজে নিতে পারবে।'
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'দুই নেত্রীর কাছে দেশ নিরাপদ নয়। এমনকি ওঁদের নিজেদের দলও নিরাপদ নয়। রাজনীতিতে যে নৈতিকতার অধঃপতন ঘটেছে তা আমরা দেখেছি।' তিনি বলেন, 'নাগরিক ঐক্য কোনো রাজনৈতিক দল নয়। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নেওয়ার ইচ্ছাও আমাদের নেই।'
আলোচনা সভায় আরো অংশ নেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান প্রমুখ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ড. আকবর আলি খান এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আকবর আলি বলেন, 'বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা, গণতন্ত্রের প্রতি নানা দিক থেকে চ্যালেঞ্জ আসছে। গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়ছে। সমস্যাটা কিন্তু শুধু দুই নেত্রীর নয়। সমস্যাটা পুরো ব্যবস্থার। এই ব্যবস্থায় যাকে পাঠাই না কেন- এ রকমটা ঘটে যাচ্ছে। যিনি লঙ্কায় যাচ্ছেন, তিনি রাবণ হচ্ছেন।'
ড. আকবর আলি খান আরো বলেন, 'সরকার ক্ষমতায় এসে মনে করে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতার মৌরসিপাট্টা পেয়ে গেছি। তারপর নিজেদের মতো করে দেশ চালাতে থাকে। এতে সাধারণ জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন ঘটে না।'
সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, 'যারা দেশের পরিবর্তন চায় তাদের একত্র হতে হবে। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বিরাজমান সমস্যার সমাধান করতে হলে আরো কাছাকাছি আসতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নাগরিক ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা দেখা যায়। রাষ্ট্র নিপীড়ক হয়ে উঠলে নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলতে হয়। নাগরিক সমাজ বিবেকের বাতায়ন।'
ড. আকবর আলি খান আরো বলেন, 'ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। ক্ষমতা স্তরে স্তরে নামিয়ে আনতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর গণতান্ত্রিকচর্চা করতে হবে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।'
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন অক্টোপাসের মতো গ্রাস করে আছে আমাদের। ১৬ কোটি মানুষ আজ অস্বস্তিতে। ঘোরতর সংকটে।'
আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে 'বিপদ-আপদ' হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এটা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে আপদ-বিপদের বাইরে এসে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে। এভাবে মানুষ মুক্তির পথ খুঁজে নিতে পারবে।'
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'দুই নেত্রীর কাছে দেশ নিরাপদ নয়। এমনকি ওঁদের নিজেদের দলও নিরাপদ নয়। রাজনীতিতে যে নৈতিকতার অধঃপতন ঘটেছে তা আমরা দেখেছি।' তিনি বলেন, 'নাগরিক ঐক্য কোনো রাজনৈতিক দল নয়। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নেওয়ার ইচ্ছাও আমাদের নেই।'
আলোচনা সভায় আরো অংশ নেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান প্রমুখ।
No comments