মাও মাও বিদ্রোহীদের মামলা-দুই কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দেবে ব্রিটেন
ঔপনিবেশিক যুগে নির্যাতনের শিকার কেনীয়দের
প্রায় দুই কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে ব্রিটেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৬০
সাল পর্যন্ত কেনিয়ায় মাও মাও বিদ্রোহের সময় ব্রিটিশ বাহিনীর নির্যাতনের
শিকার পাঁচ হাজার ২২৮ জনকে এ অর্থ দেওয়া হবে।
পাশাপাশি
নির্যাতনের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গতকাল বৃহস্পতিবার এসব কথা জানান।
১৯৫২ সালে কেনিয়ায় শ্বেতাঙ্গ বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কিকয়ুু আদীবাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা সশস্ত্র যে আন্দোলন শুরু করেছিল, তা-ই মাও মাও বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এ আন্দোলন থেকেই কেনিয়ার স্বাধীনতার দাবি উঠেছিল। কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশন জানায়, মাও মাও বিদ্রোহের আট বছরে ২৫ হাজারেরও বেশি কেনীয় নিহত হয়। ব্রিটিশ বাহিনীর আটককেন্দ্রগুলোতে অন্তত দেড় লাখ কিকয়ু আদীবাসীর ওপর মারাত্মক নির্যাতন চালানো হয়।
২০০৯ সালে মাও মাও বিদ্রোহের চার যোদ্ধা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করেন। তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, ১৯৬৩ সালে কেনিয়ার স্বাধীনতার পর দেশটির সরকারের হাতেই ব্রিটিশ বাহিনীর নির্যাতনের অভিযোগ মীমাংসার দায়িত্ব দিয়ে আসা হয়েছে।
গত বছর ব্রিটেনের একটি হাইকোর্ট কেনীয় অভিযোগকারীদের মামলা আমলে নেন। বাদী পাওলো মৌকা এনজিলি (৮৫), ওয়ামবুগা ওয়া নায়িঙ্গি (৮৪) ও জেইন মুথোনি মারার (৭৩) পক্ষে আইনি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান লি ডে অ্যান্ড কম্পানি মামলা পরিচালনা করে। আইনজীবীরা কেনিয়ায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক বাহিনীর নির্যাতনের কয়েক হাজার পৃষ্ঠার প্রমাণ দাখিল করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, ব্রিটিশ বাহিনী এনজিলিকে খোজা করে দেয়, নায়িঙ্গিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ও মুথোনির ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। কেনীয়দের পক্ষের আইনজীবীরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তির ব্যাপারেও আলোচনা চালান।
গতকাল পার্লামেন্ট অধিবেশনে উইলিয়াম হেগ জানান, এক কোটি ৯৯ লাখ পাউন্ডের বিনিময়ে এ মামলা নিষ্পত্তি করতে রাজি হয়েছে ব্রিটিশ সরকার। যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে পাঁচ হাজার ২২৮ জনকে এ অর্থ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, 'ঔপনিবেশিক শাসকদের হাতে কেনীয়রা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, ব্রিটিশ সরকার তা স্বীকার করছে। এর জন্য ব্রিটিশ সরকার আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
১৯৫২ সালে কেনিয়ায় শ্বেতাঙ্গ বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কিকয়ুু আদীবাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা সশস্ত্র যে আন্দোলন শুরু করেছিল, তা-ই মাও মাও বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এ আন্দোলন থেকেই কেনিয়ার স্বাধীনতার দাবি উঠেছিল। কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশন জানায়, মাও মাও বিদ্রোহের আট বছরে ২৫ হাজারেরও বেশি কেনীয় নিহত হয়। ব্রিটিশ বাহিনীর আটককেন্দ্রগুলোতে অন্তত দেড় লাখ কিকয়ু আদীবাসীর ওপর মারাত্মক নির্যাতন চালানো হয়।
২০০৯ সালে মাও মাও বিদ্রোহের চার যোদ্ধা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করেন। তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, ১৯৬৩ সালে কেনিয়ার স্বাধীনতার পর দেশটির সরকারের হাতেই ব্রিটিশ বাহিনীর নির্যাতনের অভিযোগ মীমাংসার দায়িত্ব দিয়ে আসা হয়েছে।
গত বছর ব্রিটেনের একটি হাইকোর্ট কেনীয় অভিযোগকারীদের মামলা আমলে নেন। বাদী পাওলো মৌকা এনজিলি (৮৫), ওয়ামবুগা ওয়া নায়িঙ্গি (৮৪) ও জেইন মুথোনি মারার (৭৩) পক্ষে আইনি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান লি ডে অ্যান্ড কম্পানি মামলা পরিচালনা করে। আইনজীবীরা কেনিয়ায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক বাহিনীর নির্যাতনের কয়েক হাজার পৃষ্ঠার প্রমাণ দাখিল করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, ব্রিটিশ বাহিনী এনজিলিকে খোজা করে দেয়, নায়িঙ্গিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ও মুথোনির ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। কেনীয়দের পক্ষের আইনজীবীরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তির ব্যাপারেও আলোচনা চালান।
গতকাল পার্লামেন্ট অধিবেশনে উইলিয়াম হেগ জানান, এক কোটি ৯৯ লাখ পাউন্ডের বিনিময়ে এ মামলা নিষ্পত্তি করতে রাজি হয়েছে ব্রিটিশ সরকার। যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে পাঁচ হাজার ২২৮ জনকে এ অর্থ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, 'ঔপনিবেশিক শাসকদের হাতে কেনীয়রা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, ব্রিটিশ সরকার তা স্বীকার করছে। এর জন্য ব্রিটিশ সরকার আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments