লাখো নাগরিকের ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করছে মার্কিন সরকার
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) দেশটির লাখ লাখ নাগরিকের টেলিফোন রেকর্ড সংগ্রহ করছে। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।
কিছুদিন আগে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সাংবাদিকদের ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করে সমালোচনার মুখে পড়ে ওবামা প্রশাসন।
গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন একটি আদালতের গোপন আদেশে দেশটির মুঠোফোন কোম্পানি ভেরিজোনকে গ্রাহকদের ইলেকট্রনিক তথ্য-উপাত্ত ‘দৈনন্দিন ভিত্তিতে’ হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভেরিজোন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ফোন কোম্পানিগুলোর একটি।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলেছে, প্রতিবেদনটিতে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা চমকে দেওয়ার মতো।
সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস বলেছে, এটা দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রে ‘এ পর্যন্ত জারি করা সবচেয়ে বড় নজরদারির নির্দেশ।’ তবে মার্কিন সরকার বা ভেরিজোন কেউই ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আদালতের গোপন ওই আদেশে এ বিষয়টি প্রকাশ না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কেউ যেন অন্য কারও কাছে এটা প্রকাশ করে না যে এফবিআই বা এনএসএ এই আদেশের মাধ্যমে দৃশ্যমান কোনো কিছু পাওয়ার চেষ্টা করছে।’
প্রতিবেদনেগার্ডিয়ান বলেছে, এই নথিপত্র ‘প্রথমবারের মতো এই বিষয়টি সামনে এনেছে যে ওবামা প্রশাসনের আওতায় লাখ লাখ মার্কিন নাগরিকের যোগাযোগবিষয়ক তথ্য নির্বিচারে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত কি না তা বিবেচ্য বিষয় নয়। পত্রিকাটি জানিয়েছে, তারা এই আদেশের বিষয়ে বক্তব্য জানতে হোয়াইট হাউস এবং বিচার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
আর বার্তা সংস্থা এপিকে ভেরিজোন কোম্পানির মুখপাত্র বলেছেন, কোম্পানি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না। এই এপির সাংবাদিকদের ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করার বিষয় জানাজানি হওয়ার পর গত মাসে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ওবামা প্রশাসন। হোয়াইট হাউস কীভাবে জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা করছে সে বিষয়ে তখন প্রশ্ন তোলেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। বিবিসি।
গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন একটি আদালতের গোপন আদেশে দেশটির মুঠোফোন কোম্পানি ভেরিজোনকে গ্রাহকদের ইলেকট্রনিক তথ্য-উপাত্ত ‘দৈনন্দিন ভিত্তিতে’ হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভেরিজোন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ফোন কোম্পানিগুলোর একটি।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলেছে, প্রতিবেদনটিতে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা চমকে দেওয়ার মতো।
সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস বলেছে, এটা দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রে ‘এ পর্যন্ত জারি করা সবচেয়ে বড় নজরদারির নির্দেশ।’ তবে মার্কিন সরকার বা ভেরিজোন কেউই ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আদালতের গোপন ওই আদেশে এ বিষয়টি প্রকাশ না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কেউ যেন অন্য কারও কাছে এটা প্রকাশ করে না যে এফবিআই বা এনএসএ এই আদেশের মাধ্যমে দৃশ্যমান কোনো কিছু পাওয়ার চেষ্টা করছে।’
প্রতিবেদনেগার্ডিয়ান বলেছে, এই নথিপত্র ‘প্রথমবারের মতো এই বিষয়টি সামনে এনেছে যে ওবামা প্রশাসনের আওতায় লাখ লাখ মার্কিন নাগরিকের যোগাযোগবিষয়ক তথ্য নির্বিচারে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত কি না তা বিবেচ্য বিষয় নয়। পত্রিকাটি জানিয়েছে, তারা এই আদেশের বিষয়ে বক্তব্য জানতে হোয়াইট হাউস এবং বিচার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
আর বার্তা সংস্থা এপিকে ভেরিজোন কোম্পানির মুখপাত্র বলেছেন, কোম্পানি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না। এই এপির সাংবাদিকদের ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করার বিষয় জানাজানি হওয়ার পর গত মাসে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ওবামা প্রশাসন। হোয়াইট হাউস কীভাবে জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা করছে সে বিষয়ে তখন প্রশ্ন তোলেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। বিবিসি।
No comments