দিনাজপুরে জাল সনদধারী শিক্ষকের ছড়াছড়ি by এ এস এম আলমগীর
দিনাজপুরের বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার
বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদ নিয়ে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে।
জাল সনদ নিয়ে চাকরি করার বিষয়টি ধরা পড়ার পর গত দুই বছরে এ দুটি উপজেলায় ১০
জন শিক্ষক ইস্তফা দিয়েছেন। আর দুজন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জাল
সনদধারীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় সনদধারী
শিক্ষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
বিরামপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম জিন্নাহ্ জানান, জাল নিবন্ধন সনদে চাকরির অভিযোগে গত দুই বছরে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষার সনদ জালিয়াতির কারণে একজন মাদ্রাসা সুপার, দুজন শিক্ষক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন কম্পিউটার শিক্ষক চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি সনদ জাল করার একটি লিখিত অভিযোগ এবং একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। বর্তমানে শহরের একটি মাদ্রাসার সুপারের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
নবাবগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক জানান, তাঁর উপজেলায় গত দুই বছরে জাল নিবন্ধন সনদ নিয়ে চাকরি করার বিষয়টি ধরা পড়ার পর একজন মাদ্রাসাশিক্ষক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষক চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি একটি মাদ্রাসার একজন প্রভাষক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষকের সনদ জালিয়াতির লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। শহরের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের তিনজন শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ জাল বলে তিনি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দুই উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষকের সনদ জাল বলে অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা প্রভাবশালী এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কাছের লোক। ওই সব শিক্ষককে পরিচালনা কমিটি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। তাই ইচ্ছে থাকলেও ওই সব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
২০১১ সালে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে বিরামপুরের কাটলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের স্ত্রী বিলকিস বেগমের বিরামপুর পৌর শহরের দেবীপুর উচ্চবিদ্যালয়ে জাল নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি করার বিষয়টি ধরা পড়ে। বিলকিস ওই সময় প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী ওই সনদটি তাঁকে দিয়েছিলেন।
জাল সনদ দিয়ে চাকরির অভিযোগে কাটলা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত করা হয়। গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, তাঁর সনদটিও নজরুল ইসলাম এনে দিয়েছেন। তবে নজরুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিরামপুর ও নবাবগঞ্জের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদ্বয় বলেন, এখন পর্যন্ত জাল সনদধারী কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে তাঁদের জানা নেই।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান আশীষ কুমার সরকার জানান, নিবন্ধন সনদ জাল চিহ্নিত হলে ওই সনদধারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই অপরাধে কারও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় জাল সনদধারী শিক্ষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মণ্ডল জানান, সনদ জালিয়াতি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে। নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানালেও তারা জাল সনদধারীর বিরুদ্ধে কোনো এজাহার বা অভিযোগ দেন না। এজাহার না পেলে কারও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
অবশ্য আশীষ কুমার জানান, জাল সনদধারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা কে নেবেন, সে বিষয়টি নির্দিষ্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
বিরামপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম জিন্নাহ্ জানান, জাল নিবন্ধন সনদে চাকরির অভিযোগে গত দুই বছরে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষার সনদ জালিয়াতির কারণে একজন মাদ্রাসা সুপার, দুজন শিক্ষক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন কম্পিউটার শিক্ষক চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি সনদ জাল করার একটি লিখিত অভিযোগ এবং একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। বর্তমানে শহরের একটি মাদ্রাসার সুপারের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
নবাবগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক জানান, তাঁর উপজেলায় গত দুই বছরে জাল নিবন্ধন সনদ নিয়ে চাকরি করার বিষয়টি ধরা পড়ার পর একজন মাদ্রাসাশিক্ষক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষক চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি একটি মাদ্রাসার একজন প্রভাষক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষকের সনদ জালিয়াতির লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। শহরের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের তিনজন শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ জাল বলে তিনি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দুই উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষকের সনদ জাল বলে অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা প্রভাবশালী এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কাছের লোক। ওই সব শিক্ষককে পরিচালনা কমিটি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। তাই ইচ্ছে থাকলেও ওই সব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
২০১১ সালে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে বিরামপুরের কাটলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের স্ত্রী বিলকিস বেগমের বিরামপুর পৌর শহরের দেবীপুর উচ্চবিদ্যালয়ে জাল নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি করার বিষয়টি ধরা পড়ে। বিলকিস ওই সময় প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী ওই সনদটি তাঁকে দিয়েছিলেন।
জাল সনদ দিয়ে চাকরির অভিযোগে কাটলা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত করা হয়। গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, তাঁর সনদটিও নজরুল ইসলাম এনে দিয়েছেন। তবে নজরুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিরামপুর ও নবাবগঞ্জের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদ্বয় বলেন, এখন পর্যন্ত জাল সনদধারী কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে তাঁদের জানা নেই।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান আশীষ কুমার সরকার জানান, নিবন্ধন সনদ জাল চিহ্নিত হলে ওই সনদধারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই অপরাধে কারও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় জাল সনদধারী শিক্ষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মণ্ডল জানান, সনদ জালিয়াতি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে। নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানালেও তারা জাল সনদধারীর বিরুদ্ধে কোনো এজাহার বা অভিযোগ দেন না। এজাহার না পেলে কারও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
অবশ্য আশীষ কুমার জানান, জাল সনদধারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা কে নেবেন, সে বিষয়টি নির্দিষ্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
No comments