অনলাইন থেকে-উত্তর কোরিয়াকে থামানোর সুযোগ
ক্যালিফোর্নিয়ায় শুক্রবার প্রেসিডেন্ট
বারাক ওবামা এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শিন পিংয়ের মধ্যে যে আলোচনা শুরু হয়েছে,
তা সুযোগ করে দিয়েছে দুই নেতার মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার।
সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার সুযোগ সৃষ্টি
হয়েছে। এসব বিষয়ের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ অন্য কোনোটিই নয়।
গত দেড় বছরে উত্তর কোরিয়ার নতুন শাসক কিম জং উনের অধীনে দূরপাল্লার
ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা হয়েছে। দেশটি এমনকি
যুদ্ধের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে, যদিও তা
এখনো করা হয়নি বা কখনো করা হবে তা মনে হয় না, তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই নিতে হবে।
ওয়াশিংটনও পিয়ংইয়ংয়ের হুমকির পাল্টা একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছে। সমালোচকরা যে বলেন, ওবামা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে শুধু ধৈর্য ধরার কৌশল অবলম্বন করেন তা ভুল প্রমাণ করে ওবামা প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সেনা সহযোগিতা শক্তিশালী করেছে, উত্তর কোরিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করেছে আর যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে।
চীন যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টা পদক্ষেপকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তবে চীনের অভিযোগ এবার বিগত দিনের চেয়ে বেশ শিথিল ছিল। এর কারণ হয়তো ঝামেলা পাকানো মিত্র উত্তর কোরিয়ার আচরণের কারণে চীনের ওপর প্রভাব পড়েছে, অথবা সম্ভবত এই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী শাসক কত দিন টিকবে, সে ব্যাপারে চীনের অনিশ্চয়তা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিগত প্রশাসন পিয়ংইয়ংয়ের ব্যাপারে চীনের ভূমিকা নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা ভেবেছে। ক্লিনটন প্রশাসন চীনকে রাজি করিয়েছিল দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চার জাতি আলোচনায় বসতে। বুশ প্রশাসন ছয় জাতির আলোচনায় আগ্রহী হয়ে উঠেছিল এই বিশ্বাসে যে চীনের প্রভাবকে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো যাবে। ওবামা প্রশাসনও মনে করে, পিয়ংইয়ংয়ের আচরণে চীন একটি চূড়ান্ত ভূমিকা রাখতে পারে। পূর্ববর্তী সরকারগুলোর তুলনায় ওবামা প্রশাসন উত্তর কোরিয়াকে থামাতে সহযোগিতা না করার জন্য পরোক্ষভাবে চীনের অধিক সমালোচনা করেছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অসংখ্য উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মনে করছেন যে চীনের নেতারা নিজেদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন। তাঁরা শুধু যে পিয়ংইয়ংয়ের ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি সমালোচনাকেই লক্ষ করছেন তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারেও চীন সহযোগিতা করছে। জানা গেছে, কিম জং উনের সফরকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
ইতিবাচক দিকগুলো চীনের সহযোগিতার ব্যাপারে আশার সঞ্চার করছে। কিন্তু ওবামা যদি চীনের নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে অতি শিগগিরই উত্তর কোরিয়াকে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে পরিবর্তন আনতে চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ না করলেও চলবে।
চীনের নীতি ঐতিহাসিকভাবেই পিয়ংইয়ংকে সমর্থন করার দ্বারা গঠিত। কোরিয়া যুদ্ধে তারা ভ্রাতৃসুলভ সমাজতান্ত্রিক দেশটিকে সমর্থন করেছে। চীন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবিশ্বাসের চশমা দিয়েই কোরিয়া উপদ্বীপকে দেখতে চায়।
লেখকত্রয় : জি উক শিন, থমাস ফিঙ্গার
এবং ডেভিড স্ট্রাউব। নিউ ইয়র্ক টাইমসে
প্রকাশিত নিবন্ধের কিয়দংশ।
ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
ওয়াশিংটনও পিয়ংইয়ংয়ের হুমকির পাল্টা একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছে। সমালোচকরা যে বলেন, ওবামা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে শুধু ধৈর্য ধরার কৌশল অবলম্বন করেন তা ভুল প্রমাণ করে ওবামা প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সেনা সহযোগিতা শক্তিশালী করেছে, উত্তর কোরিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করেছে আর যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে।
চীন যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টা পদক্ষেপকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তবে চীনের অভিযোগ এবার বিগত দিনের চেয়ে বেশ শিথিল ছিল। এর কারণ হয়তো ঝামেলা পাকানো মিত্র উত্তর কোরিয়ার আচরণের কারণে চীনের ওপর প্রভাব পড়েছে, অথবা সম্ভবত এই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী শাসক কত দিন টিকবে, সে ব্যাপারে চীনের অনিশ্চয়তা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিগত প্রশাসন পিয়ংইয়ংয়ের ব্যাপারে চীনের ভূমিকা নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা ভেবেছে। ক্লিনটন প্রশাসন চীনকে রাজি করিয়েছিল দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চার জাতি আলোচনায় বসতে। বুশ প্রশাসন ছয় জাতির আলোচনায় আগ্রহী হয়ে উঠেছিল এই বিশ্বাসে যে চীনের প্রভাবকে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো যাবে। ওবামা প্রশাসনও মনে করে, পিয়ংইয়ংয়ের আচরণে চীন একটি চূড়ান্ত ভূমিকা রাখতে পারে। পূর্ববর্তী সরকারগুলোর তুলনায় ওবামা প্রশাসন উত্তর কোরিয়াকে থামাতে সহযোগিতা না করার জন্য পরোক্ষভাবে চীনের অধিক সমালোচনা করেছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অসংখ্য উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মনে করছেন যে চীনের নেতারা নিজেদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন। তাঁরা শুধু যে পিয়ংইয়ংয়ের ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি সমালোচনাকেই লক্ষ করছেন তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারেও চীন সহযোগিতা করছে। জানা গেছে, কিম জং উনের সফরকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
ইতিবাচক দিকগুলো চীনের সহযোগিতার ব্যাপারে আশার সঞ্চার করছে। কিন্তু ওবামা যদি চীনের নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে অতি শিগগিরই উত্তর কোরিয়াকে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে পরিবর্তন আনতে চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ না করলেও চলবে।
চীনের নীতি ঐতিহাসিকভাবেই পিয়ংইয়ংকে সমর্থন করার দ্বারা গঠিত। কোরিয়া যুদ্ধে তারা ভ্রাতৃসুলভ সমাজতান্ত্রিক দেশটিকে সমর্থন করেছে। চীন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবিশ্বাসের চশমা দিয়েই কোরিয়া উপদ্বীপকে দেখতে চায়।
লেখকত্রয় : জি উক শিন, থমাস ফিঙ্গার
এবং ডেভিড স্ট্রাউব। নিউ ইয়র্ক টাইমসে
প্রকাশিত নিবন্ধের কিয়দংশ।
ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
No comments