হেফাজতের অবরোধ নিয়ে বিভ্রান্তির অবসান হোক অবশ্যই তদন্ত করতে হবে
যখন তথ্যের অভাব ঘটে তখন গুজব ছড়ায়। ৫ মে
রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের যে অবরোধ কর্মসূচি ছিল, তা সম্পর্কে সে রকম
পরিস্থিতিই বিরাজ করছে এক মাস ধরে। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, তথ্যের অবাধ
প্রবাহের আকাঙ্ক্ষা যে সমাজে প্রবল, সেখানে এ ধরনের পরিস্থিতি মোটেও
বাঞ্ছনীয় নয়।
৫ মে সারা দিন ঢাকার মতিঝিল-পল্টন এলাকায়,
সেদিন গভীর রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে এবং পরদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত
নারায়ণগঞ্জের কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
কী ঘটেছিল, তার প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়নি। কারণ, এ নিয়ে পুলিশ কোনো তদন্ত
অনুসন্ধান চালায়নি। সহিংসতা ও প্রাণহানি সম্পর্কে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের
পক্ষ থেকে বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে চলেছে একধরনের প্রচারণা, আর হেফাজতে
ইসলাম ও বিএনপির পক্ষ থেকে চলেছে তার উল্টো ধরনের প্রচারণা। বিশেষত ৫ মে
দিবাগত রাতে শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি দাবি জনমনে
বড় রকমের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তা জানার অধিকার জনগণের আছে এবং জনগণকে তা জানানোর দায়িত্ব সরকারের। তা ছাড়া শাপলা চত্বরে শত শত বা হাজার হাজার মানুষের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানোর যে অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে, সেটা ভিত্তিহীন বলে দাবি করতে হলেও সুনির্দিষ্ট তথ্য জানানো প্রয়োজন। সে জন্য প্রয়োজন ঘটনার তদন্ত অনুসন্ধান। কিন্তু পুলিশ কর্তৃপক্ষ এক মাসেও তদন্ত অনুসন্ধানের ফুরসত পায়নি, কারণ তারা নানা কাজে অতিশয় ব্যস্ত। তদন্ত অনুসন্ধানের ব্যাপারে সরকারের দিক থেকেও কোনো চাপ নেই বলে পুলিশের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। এটা সত্য হলে প্রশ্ন জাগে, তদন্ত অনুসন্ধানে সরকারের অনীহার কী কারণ থাকতে পারে। রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যে গুজবের অবসান ঘটানো যায় না, তা কি সরকারের নেতারা জানেন না? জনগণ সরকারের পক্ষ থেকে যে তথ্যভিত্তিক বক্তব্য প্রত্যাশা করে, তারা তা না পেলে সরকারের বক্তব্য নিয়ে তাদের সংশয় আরও বাড়বে। আর তদন্ত অনুসন্ধান চালানো না হলে জনসাধারণের মনে হবে, সরকার সত্য গোপন করতে চায় বলেই তদন্ত চায় না।
এমন নয় যে এ ঘটনার তদন্ত অনুসন্ধান অত্যন্ত জটিল। ৫ মের সারা দিনের ঘটনাবলির ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, রয়েছে মুদ্রিত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত আলোকচিত্র। সেগুলোর ভিত্তিতে ধ্বংসযজ্ঞে অংশগ্রহণকারীদের অন্তত কিছু অংশকে শনাক্ত করা সম্ভব। তারপর তাদের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরও অনেক তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করা সম্ভব। কিন্তু পুলিশ ভিডিও ফুটেজগুলো দেখারই কোনো সময় পায়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আমাদের মনে হয়, তদন্ত যে গুরুত্বপূর্ণ তা সরকারের উপলব্ধিতে নেই। এটা ভালো কথা নয়। আসলে ৫ মে বেলা ১১ থেকে ৬ মে ভোর পর্যন্ত সব ঘটনার অনুপুঙ্খ তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন অচিরেই জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত।
প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তা জানার অধিকার জনগণের আছে এবং জনগণকে তা জানানোর দায়িত্ব সরকারের। তা ছাড়া শাপলা চত্বরে শত শত বা হাজার হাজার মানুষের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানোর যে অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে, সেটা ভিত্তিহীন বলে দাবি করতে হলেও সুনির্দিষ্ট তথ্য জানানো প্রয়োজন। সে জন্য প্রয়োজন ঘটনার তদন্ত অনুসন্ধান। কিন্তু পুলিশ কর্তৃপক্ষ এক মাসেও তদন্ত অনুসন্ধানের ফুরসত পায়নি, কারণ তারা নানা কাজে অতিশয় ব্যস্ত। তদন্ত অনুসন্ধানের ব্যাপারে সরকারের দিক থেকেও কোনো চাপ নেই বলে পুলিশের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। এটা সত্য হলে প্রশ্ন জাগে, তদন্ত অনুসন্ধানে সরকারের অনীহার কী কারণ থাকতে পারে। রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যে গুজবের অবসান ঘটানো যায় না, তা কি সরকারের নেতারা জানেন না? জনগণ সরকারের পক্ষ থেকে যে তথ্যভিত্তিক বক্তব্য প্রত্যাশা করে, তারা তা না পেলে সরকারের বক্তব্য নিয়ে তাদের সংশয় আরও বাড়বে। আর তদন্ত অনুসন্ধান চালানো না হলে জনসাধারণের মনে হবে, সরকার সত্য গোপন করতে চায় বলেই তদন্ত চায় না।
এমন নয় যে এ ঘটনার তদন্ত অনুসন্ধান অত্যন্ত জটিল। ৫ মের সারা দিনের ঘটনাবলির ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, রয়েছে মুদ্রিত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত আলোকচিত্র। সেগুলোর ভিত্তিতে ধ্বংসযজ্ঞে অংশগ্রহণকারীদের অন্তত কিছু অংশকে শনাক্ত করা সম্ভব। তারপর তাদের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরও অনেক তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করা সম্ভব। কিন্তু পুলিশ ভিডিও ফুটেজগুলো দেখারই কোনো সময় পায়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আমাদের মনে হয়, তদন্ত যে গুরুত্বপূর্ণ তা সরকারের উপলব্ধিতে নেই। এটা ভালো কথা নয়। আসলে ৫ মে বেলা ১১ থেকে ৬ মে ভোর পর্যন্ত সব ঘটনার অনুপুঙ্খ তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন অচিরেই জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত।
No comments