ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া-বাজেট বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব
২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে
বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। মূলধনী যন্ত্রপাতি
আমদানিতে শুল্ক ছাড়, দেশীয় শিল্পকে নানা সুবিধা দেওয়া, মোটা দাগে নতুন করে
কর না বাড়ানো ও রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখায় খুশি তাঁরা।
তবে এ বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ও আছে তাঁদের মনে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার পর দেশের প্রধান প্রধান ব্যবসায়ী সংগঠন বাজেট নিয়ে তাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়।
বাজেটকে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বলে মত দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। গতকাল বাজেটের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মত দেন এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
বাজেট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে হেলাল উদ্দিন বলেন, 'এ পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি, তাতে আমাদের প্রস্তাবের অধিকাংশই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত আয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের বেলায় তিন লাখ টাকা করমুক্ত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো, তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ব্যক্তি করদাতাদের দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা আয়করমুক্ত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেখানে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিবেচিত হয়েছে। ৬৫ বছরের ঊধর্ে্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা করমুক্ত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটাও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মূলধনী যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে কর ৩ শতাংশের বদলে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ঋণের চেয়ে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাত বাধাগ্রস্ত হবে। ব্যাংক সুদের হার কমানো উচিত। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় না থাকলে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলেও তিনি জানান।
বাস্তবায়ন কঠিন হবে : ডিসিসিআই
ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন ডিসিসিআই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হবে এর বাস্তবায়ন। কারণ সরকারের শেষ বাজেট হিসেবে ব্যয় বাড়ানোর চাপ থেকে এ বাজেটের আকার অনেক বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিনিয়োগ, বিশেষ করে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এ বাজেট খুব সহায়ক হবে বলে মনে হয় না। ৭.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ডিসিসিআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে বলা হয়, সরকারের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে দ্রব্যমূল্য হ্রাস অন্যতম লক্ষ্য ছিল। কিন্তু মূল্যস্ফীতি ২০১১-১২-এর ৯.৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০১২-১৩তে ৭.৯ শতাংশে নেমে এলেও বর্তমানে শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছরও ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায়িক ব্যয় হ্রাসের ক্ষেত্রে কোনো নির্দেশনা বাজেটে উল্লেখ করা হয়নি।
রপ্তানিমুখী শিল্পকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে : ইএবি
বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ খাতে বাজেটে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে মনে করে এঙ্পোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ইএবি সভাপতি সালাম মুর্শেদী এসব কথা জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে বিনিয়োগ ও শিল্পায়নকে উৎসাহিত করার জন্য আমদানির মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর শুল্ক ৩ থেকে ২ শতাংশ, শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল ১২ থেকে ১০ শতাংশ, অগি্ননির্বাপণ যন্ত্রপাতি ১২ থেকে ৫ শতাংশ এবং চামড়াশিল্পের রসদ ১২ থেকে ৫ শতাংশে কমানো এবং কাঁচা তুলার আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইএবি।
ইটিপি স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন এবং রপ্তানি ভর্তুকি বাবদ দুই হাজার ৫৯২ কোটি টাকার প্রস্তাব এবং পাঁচটি বিশেষ রপ্তানি অঞ্চল গঠনের সিদ্ধান্তকে প্রশংসনীয় বলে মনে করেন সালাম মুর্শেদী।
উন্নয়নমুখী বাজেট : বিকেএমইএ
'২০১৩-১৪ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে সরকারের ইতিবাচক অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন প্রত্যাশী দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের নজর কেড়েছে। বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় এবং সুশাসন নিশ্চিতকল্পে সরকারের পজিটিভ মনোভাব বাজেট প্রস্তাবের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো খাতে এবং শিল্প উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগী মনোভাব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।' গতকাল বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই বলেছেন দেশের নিট পোশাক শিল্পের বৃহৎ সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ এবং রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা কিছুটা উচ্চাভিলাষী হলেও রপ্তানি ভর্তুকি বাবদ দুই হাজার ৫৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা গার্মেন্ট শিল্প খাতকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১১ হাজার ৩৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার কারণে নিট শিল্পে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার পর দেশের প্রধান প্রধান ব্যবসায়ী সংগঠন বাজেট নিয়ে তাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়।
বাজেটকে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বলে মত দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। গতকাল বাজেটের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মত দেন এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
বাজেট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে হেলাল উদ্দিন বলেন, 'এ পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি, তাতে আমাদের প্রস্তাবের অধিকাংশই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত আয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের বেলায় তিন লাখ টাকা করমুক্ত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো, তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ব্যক্তি করদাতাদের দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা আয়করমুক্ত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেখানে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিবেচিত হয়েছে। ৬৫ বছরের ঊধর্ে্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা করমুক্ত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটাও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মূলধনী যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে কর ৩ শতাংশের বদলে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ঋণের চেয়ে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাত বাধাগ্রস্ত হবে। ব্যাংক সুদের হার কমানো উচিত। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় না থাকলে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলেও তিনি জানান।
বাস্তবায়ন কঠিন হবে : ডিসিসিআই
ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন ডিসিসিআই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হবে এর বাস্তবায়ন। কারণ সরকারের শেষ বাজেট হিসেবে ব্যয় বাড়ানোর চাপ থেকে এ বাজেটের আকার অনেক বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিনিয়োগ, বিশেষ করে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এ বাজেট খুব সহায়ক হবে বলে মনে হয় না। ৭.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ডিসিসিআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে বলা হয়, সরকারের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে দ্রব্যমূল্য হ্রাস অন্যতম লক্ষ্য ছিল। কিন্তু মূল্যস্ফীতি ২০১১-১২-এর ৯.৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০১২-১৩তে ৭.৯ শতাংশে নেমে এলেও বর্তমানে শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছরও ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায়িক ব্যয় হ্রাসের ক্ষেত্রে কোনো নির্দেশনা বাজেটে উল্লেখ করা হয়নি।
রপ্তানিমুখী শিল্পকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে : ইএবি
বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ খাতে বাজেটে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে মনে করে এঙ্পোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ইএবি সভাপতি সালাম মুর্শেদী এসব কথা জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে বিনিয়োগ ও শিল্পায়নকে উৎসাহিত করার জন্য আমদানির মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর শুল্ক ৩ থেকে ২ শতাংশ, শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল ১২ থেকে ১০ শতাংশ, অগি্ননির্বাপণ যন্ত্রপাতি ১২ থেকে ৫ শতাংশ এবং চামড়াশিল্পের রসদ ১২ থেকে ৫ শতাংশে কমানো এবং কাঁচা তুলার আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইএবি।
ইটিপি স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন এবং রপ্তানি ভর্তুকি বাবদ দুই হাজার ৫৯২ কোটি টাকার প্রস্তাব এবং পাঁচটি বিশেষ রপ্তানি অঞ্চল গঠনের সিদ্ধান্তকে প্রশংসনীয় বলে মনে করেন সালাম মুর্শেদী।
উন্নয়নমুখী বাজেট : বিকেএমইএ
'২০১৩-১৪ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে সরকারের ইতিবাচক অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন প্রত্যাশী দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের নজর কেড়েছে। বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় এবং সুশাসন নিশ্চিতকল্পে সরকারের পজিটিভ মনোভাব বাজেট প্রস্তাবের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো খাতে এবং শিল্প উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগী মনোভাব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।' গতকাল বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই বলেছেন দেশের নিট পোশাক শিল্পের বৃহৎ সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ এবং রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা কিছুটা উচ্চাভিলাষী হলেও রপ্তানি ভর্তুকি বাবদ দুই হাজার ৫৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা গার্মেন্ট শিল্প খাতকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১১ হাজার ৩৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার কারণে নিট শিল্পে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।
No comments