কীভাবে এল এলপি রেকর্ড
১৯৪৪ সালের দিকে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে
বাজানো সুর-সংগীতে ছেদ পড়ছিল বারবার। পিটার গোল্ডমার্ক নামের এক ব্যক্তি
নিজের আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে সুরের মূর্ছনায় অতিথিদের বিমুগ্ধ করতে চেয়েছিলেন
বাহামা রেকর্ডিং কোম্পানির রেকর্ডগুলো বাজিয়ে।
কিন্তু ৭৮
আরপিএমে ধারণকৃত ওই রেকর্ডগুলোর একটি দিক গ্রামোফোনে বাজত মাত্র চার
মিনিট। অনেক সময় একটি নির্দিষ্ট গানের মাঝপথে রেকর্ড বন্ধ হয়ে গিয়ে তা
শ্রোতাদের মধ্যে তৈরি করত অসম্ভব বিরক্তি। পিটার গোল্ডমার্ক ওই সময় আবার
কাজ করতেন কলাম্বিয়া ব্রডকাস্টিং সিস্টেমস (সিবিএস) নামের একটি রেকর্ড
কোম্পানিতে। নিজের আয়োজিত সামাজিক অনুষ্ঠানে সুর-সংগীতে বারবার ছেদ পড়ার ওই
বিরক্তি তাঁকে উদ্বুদ্ধ করল রেকর্ড ডিস্কের উন্নয়ন-সাধনে। প্রায় চার বছর
প্রচুর গবেষণা ও পরিশ্রম করে তিনি নতুন ধরনের একটি রেকর্ড ডিস্কের উদ্ভাবন
করলেন, যার একেকটি দিকে সংগীত ধারণ করা যাবে ২২ মিনিট এবং সেগুলো ৩৩
আরপিএমে ধারণ করা। ১৯৪৮ সালের দিকে কলাম্বিয়া রেকর্ডস বাজারে ছাড়ল নতুন
ধরনের ওই রেকর্ড ডিস্ক, যা এলপি (লং প্লে) নামে খ্যাত। এলপি খুব দ্রুতই
সংগীত ভুবনে জনপ্রিয় হয়ে উঠল। রেকর্ড কোম্পানিগুলো খুব তাড়াতাড়িই পিটার
গোল্ডমার্ক উদ্ভাবিত এলপিতে ধারণ করে গানের রেকর্ড বাজারে ছাড়তে লাগল।
এলপির মাধ্যমে গোল্ডমার্ক রেকর্ডিংয়ের আরও একটি ব্যাপারে পরিবর্তন
এনেছিলেন, সেটি হলো শব্দের মান। আগের রেকর্ডগুলোতে যেখানে সংগীতের পাশাপাশি
ঘরঘর জাতীয় শব্দ শোনা যেত, এলপি আসার পর সেই ঘরঘর শব্দ অতীত দিনের বিষয়ে
পরিণত হয়।
না. ই., পেঙ্গুইন বুক অব ফার্স্ট অবলম্বনে
না. ই., পেঙ্গুইন বুক অব ফার্স্ট অবলম্বনে
No comments