যুক্তরাষ্ট্রে গোপনে টেলিফোন কথোপকথনের তথ্য সংগ্রহ
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা
(এনএসএ) গোপনে কোটি কোটি লোকের টেলিফোনে আলাপচারিতার তথ্য সংগ্রহ করছে।
কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা সন্দেহ ছাড়াই গত ২৫ এপ্রিল থেকে এ কাজ করছে
তারা।
আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত তাদের এ কার্যক্রম চলবে বলে
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র গার্ডিয়ান জানিয়েছে। আদালতের এক
'গোপন নির্দেশে' এনএসএকে টেলিফোন আলাপচারিতার তথ্য সংগ্রহের অধিকার দেওয়া
হয়েছে।
সংবাদপত্র জানায়, এনএসএকে গ্রাহকদের টেলিফোন আলাপচারিতার তথ্য সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ টেলিকমিউনিকেশন কম্পানি ভেরিজোন। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান গ্রাহক ১০ কোটিরও বেশি। গত এপ্রিলে ফরেইন ইনটেলিজেন্স সার্ভিস কোর্ট (ফিসা) এক আদেশে ভেরিজোনকে তাদের গ্রাহকের আলাপচারিতার তথ্য এনএসএর কাছে দিতে বলে। বিচারক রজার ভিনসন আদেশপত্রটিতে স্বাক্ষর করেন। এতে দেশে ও বিদেশে গ্রাহকদের মোবাইলে আলাপচারিতার বিভিন্ন তথ্য এনএসএকে সরবরাহের কথা বলা হয়। এসব তথ্যের মধ্যে গ্রাহকের পরিচয়, টেলিফোন নম্বর, অবস্থানরত এলাকা, আলাপচারিতার সময় ও ব্যাপ্তির কথা উল্লেখ করা হয়। তবে আলোচনার বিষয়বস্তুর কথা বলা হয়নি। এনএসএ গত ২৫ এপ্রিল থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে এবং আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস, আইন বিভাগ কিংবা ভেরিজোন কর্তৃপক্ষের কেউই মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ভেরিজোনের মুখপাত্র অ্যাডওয়ার্ড ম্যাকফাডেন জানান, এ বিষয়ে তাঁদের কোনো মন্তব্য নেই।
নজরদারির এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশটিতে। জনগণের অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান একে সর্ববৃহৎ নজরদারি বলে মন্তব্য করেছে। এর আগে গত মাসে মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের সাংবাদিকদের ফোনের আলাপচারিতা সংগ্রহ করে সমালোচনার মুখে পড়ে হোয়াইট হাউস। সূত্র : বিবিসি।
সংবাদপত্র জানায়, এনএসএকে গ্রাহকদের টেলিফোন আলাপচারিতার তথ্য সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ টেলিকমিউনিকেশন কম্পানি ভেরিজোন। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান গ্রাহক ১০ কোটিরও বেশি। গত এপ্রিলে ফরেইন ইনটেলিজেন্স সার্ভিস কোর্ট (ফিসা) এক আদেশে ভেরিজোনকে তাদের গ্রাহকের আলাপচারিতার তথ্য এনএসএর কাছে দিতে বলে। বিচারক রজার ভিনসন আদেশপত্রটিতে স্বাক্ষর করেন। এতে দেশে ও বিদেশে গ্রাহকদের মোবাইলে আলাপচারিতার বিভিন্ন তথ্য এনএসএকে সরবরাহের কথা বলা হয়। এসব তথ্যের মধ্যে গ্রাহকের পরিচয়, টেলিফোন নম্বর, অবস্থানরত এলাকা, আলাপচারিতার সময় ও ব্যাপ্তির কথা উল্লেখ করা হয়। তবে আলোচনার বিষয়বস্তুর কথা বলা হয়নি। এনএসএ গত ২৫ এপ্রিল থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে এবং আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস, আইন বিভাগ কিংবা ভেরিজোন কর্তৃপক্ষের কেউই মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ভেরিজোনের মুখপাত্র অ্যাডওয়ার্ড ম্যাকফাডেন জানান, এ বিষয়ে তাঁদের কোনো মন্তব্য নেই।
নজরদারির এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশটিতে। জনগণের অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান একে সর্ববৃহৎ নজরদারি বলে মন্তব্য করেছে। এর আগে গত মাসে মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের সাংবাদিকদের ফোনের আলাপচারিতা সংগ্রহ করে সমালোচনার মুখে পড়ে হোয়াইট হাউস। সূত্র : বিবিসি।
No comments