ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন পুষ্টির বিষয়টিকে বিশ্বজুড়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে
পুষ্টিহীনতার সমস্যা মোকাবিলা করাকে
বিশ্বজুড়ে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিশ্বে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী ৪৫ শতাংশ
শিশুমৃত্যুর জন্যই দায়ী অপুষ্টি।
প্রভাবশালী চিকিৎসা
সাময়িকী ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুষ্টির
ঘাটতির কারণে বিশ্বে প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩১ লাখ শিশু মারা যায়।
আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল গর্ভাবস্থা ও শৈশবকালীন অপুষ্টির বিভিন্ন কারণ পর্যালোচনা করে বলছে, জীবনের প্রথম এক হাজার দিন (গর্ভধারণ থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত) একজন মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
পুষ্টিহীনতার শিকারের পাশাপাশি স্থূলতা সমস্যাকেও অপুষ্টি হিসেবে ধরেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অপুষ্টির কারণে বিশ্বে মাথাপিছু ৫০০ মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। এ টাকা চলে যাচ্ছে চিকিৎসার খরচ ও উৎপাদনশীলতা হারানো বাবদ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক রবার্ট ব্ল্যাকের নেতৃত্বে একদল গবেষক নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ২০০৮ সাল থেকে মা ও শিশুর পুষ্টিহীনতা ও স্থূলতা পর্যালোচনা করেন। দলটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অপুষ্টি দূরীকরণে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি পর্যালোচনা করে। গবেষকেরা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ কার্যক্রমে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবু ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ১৬ কোটি ৫০ লাখ শিশুর উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম এবং পাঁচ কোটি শিশুর উচ্চতার তুলনায় ওজন কম। বিশ্বে প্রমাণিত ১০টি পুষ্টি কার্যক্রম আনুপাতিক হারে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হলে ৩৪টি দেশে নয় লাখ জীবন বাঁচানো যেত।
অধ্যাপক ব্ল্যাক বলেন, শৈশবের অপুষ্টির কারণে পরিণত বয়সে উন্নতি ব্যাহত হয় এবং সমাজে সাফল্যের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বিঘ্নিত হয়।
অপুষ্টি নির্মূলের বিষয়টিকে বিশ্বজুড়ে গুরুত্ব দেওয়া না হলে এ উদ্যোগে সাফল্য আসবে না বলে গবেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন। ল্যানসেট-এর প্রধান সম্পাদক রিচার্ড হর্টন বলেন, মা ও শিশুর পুষ্টির উন্নয়ন করা হলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সুফল পাওয়া যাবে।
লন্ডনে ব্রিটিশ সরকার ও ব্রাজিলের যৌথ আয়োজনে বিশেষজ্ঞরা চলতি সপ্তাহে পুষ্টিবিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দেবেন। পরবর্তী সময়ে জি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর নেতারা এ ব্যাপারে বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন। বিবিসি।
আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল গর্ভাবস্থা ও শৈশবকালীন অপুষ্টির বিভিন্ন কারণ পর্যালোচনা করে বলছে, জীবনের প্রথম এক হাজার দিন (গর্ভধারণ থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত) একজন মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
পুষ্টিহীনতার শিকারের পাশাপাশি স্থূলতা সমস্যাকেও অপুষ্টি হিসেবে ধরেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অপুষ্টির কারণে বিশ্বে মাথাপিছু ৫০০ মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। এ টাকা চলে যাচ্ছে চিকিৎসার খরচ ও উৎপাদনশীলতা হারানো বাবদ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক রবার্ট ব্ল্যাকের নেতৃত্বে একদল গবেষক নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ২০০৮ সাল থেকে মা ও শিশুর পুষ্টিহীনতা ও স্থূলতা পর্যালোচনা করেন। দলটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অপুষ্টি দূরীকরণে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি পর্যালোচনা করে। গবেষকেরা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ কার্যক্রমে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবু ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ১৬ কোটি ৫০ লাখ শিশুর উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম এবং পাঁচ কোটি শিশুর উচ্চতার তুলনায় ওজন কম। বিশ্বে প্রমাণিত ১০টি পুষ্টি কার্যক্রম আনুপাতিক হারে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হলে ৩৪টি দেশে নয় লাখ জীবন বাঁচানো যেত।
অধ্যাপক ব্ল্যাক বলেন, শৈশবের অপুষ্টির কারণে পরিণত বয়সে উন্নতি ব্যাহত হয় এবং সমাজে সাফল্যের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বিঘ্নিত হয়।
অপুষ্টি নির্মূলের বিষয়টিকে বিশ্বজুড়ে গুরুত্ব দেওয়া না হলে এ উদ্যোগে সাফল্য আসবে না বলে গবেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন। ল্যানসেট-এর প্রধান সম্পাদক রিচার্ড হর্টন বলেন, মা ও শিশুর পুষ্টির উন্নয়ন করা হলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সুফল পাওয়া যাবে।
লন্ডনে ব্রিটিশ সরকার ও ব্রাজিলের যৌথ আয়োজনে বিশেষজ্ঞরা চলতি সপ্তাহে পুষ্টিবিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দেবেন। পরবর্তী সময়ে জি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর নেতারা এ ব্যাপারে বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন। বিবিসি।
No comments