শাহবাগ অভিমুখে সব রাস্তা বন্ধ, নিরাপত্তা জোরদার- নাশকতা এড়াতে সব ধরনের ব্যবস্থা by গাফফার খান চৌধুরী
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সম্পূর্ণ
অরাজনৈতিভাবে গড়ে ওঠা শাহবাগ স্কয়ারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যানবাহন
চলাচলেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বন্ধ করে দিতে হয়েছে
শাহবাগ অভিমুখে সব রাস্তার প্রবেশ মুখ। লাখো জনতা সেখানে অবস্থান করছেন।
সমবেত জনতার দাবি, মহাসমাবেশে যেকোন ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটলে
জামায়াত-শিবিরকে ছাড় দেয়া হবেনা। প্রয়োজনে তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে
বাধ্য হবেন। তবে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশকে ঘিরে পর্যাপ্ত
নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। মহাসমাবেশের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দা মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকি যেকোন ধরনের
নাশকতা এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
তরফ থেকে জানানো হয়েছে। সারাদেশ যখন ক্ষুব্ধ, দেশের মানুষ যখন ক্ষুব্ধ, ঠিক
তখনই জন্ম হয় ঐতিহাসিক শাহবাগ চত্বরের। অনলাইন ও ব্লগাররা পরস্পর যোগাযোগ
করতে থাকেন। তাঁরা এমন রায়ের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তাঁরা কাদের মোল্লার
ফাঁসি দাবি করেন। সম্মিলিতভাবে তাঁরা এমন রায়ের প্রতিবাদ জানাতে ঐকমত্য হন।
তাঁরা এর প্রতিবাদ জানাতে জমায়েত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। বিকেলেই জমায়েত
হওয়ার ঘোষণা দেন। যেমন ঘোষণা তেমন কাজ। বিকেল না গড়াতেই তারা জমায়েত হন
শাহবাগে। রাত বাড়তে থাকে জমায়েতও বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ
শাহবাগে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন। সমবেত জনতার একটাই দাবিÑ
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
এদিকে মানুষের ঢল নামায় মঙ্গলবার রাত থেকেই স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে যায় শাহবাগমুখী সব ধরনের যানবাহন। বুধবার আরও মানুষের ঢল নামে। তখন একপর্যায়ে পুলিশ প্রথমে শাববাগ বারডেম হাসপাতালের সামনে, শাহবাগ মডেল থানার সামনে, ঢাকা ক্লাবের সামনে এবং জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বুধবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বাধ্য হয় শাহবাগ স্কয়ারকে ঘিরে আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে দিতে। তখন আর তিল ধারনের জায়গা নেই। চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ।
বৃহস্পতিবার পুলিশ রাস্তার বেরিকেড সরিয়ে পেছনের দিকে দিতে বাধ্য হয়। ততক্ষণে পুরো এলাকায় আর তিল ধারনের জায়গা নেই। বৃহস্পতিবার সারাদিন ও রাতে একই অবস্থা ছিল। শুক্রবার পুরো এলাকায় মানুষ আর মানুষে সয়লাব হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ জাতীয় জাদুঘরের সামনের বেরিকেড তুলে শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে, আর শাহবাগ মডেল থানার বেরিকেড তুলে চারুকলার সামনে, ঢাকা ক্লাবের সামনের বেরিকেড তুলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে আর বারডেমের সামনের বেরিকেড তুলে রেডিও বাংলাদেশের সামনে নেয়।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই মানুষের ঢল নামে। দলে দলে কেউবা সপরিবারে, কেউবা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ব্যানার হাতে মহাসমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সবার মুখে একটিই সেøাগান যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ বেরিকেড তুলে আরও পেছনের দিকে নিয়ে যায়। আজিজ সুপার মার্কেটের সামনের বেরিকেড তুলে কাঁটাবন মসজিদের সামনে, চারুকলার সামনের বেরিকেড তুলে টিএসসি, আর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের বেরিকেড তুলে মৎস্য ভবনের সামনে আর রেডিও বাংলাদেশের সামনের বেরিকেড তুলে পাঁচ তারকা হোটেল রূপসী বাংলার (আগের নাম শেরাটন) সামনে দিতে বাধ্য হয়। ওই এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পুরো এলাকার চারদিকে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও র্যাব। বাড়তি নজরদারি করতে মাঠে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা গুলো। এছাড়া আশপাশের প্রতিটি ছাদের উপরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা সেখান থেকে পুরো এলাকার ওপর নজরদারি করছেন। তবে মহাসমাবেশে আগতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে এবং মহাসমাবেশে যেকোন ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটলে জামায়াত-শিবিরকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবেন।
এদিকে মানুষের ঢল নামায় মঙ্গলবার রাত থেকেই স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে যায় শাহবাগমুখী সব ধরনের যানবাহন। বুধবার আরও মানুষের ঢল নামে। তখন একপর্যায়ে পুলিশ প্রথমে শাববাগ বারডেম হাসপাতালের সামনে, শাহবাগ মডেল থানার সামনে, ঢাকা ক্লাবের সামনে এবং জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বুধবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বাধ্য হয় শাহবাগ স্কয়ারকে ঘিরে আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে দিতে। তখন আর তিল ধারনের জায়গা নেই। চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ।
বৃহস্পতিবার পুলিশ রাস্তার বেরিকেড সরিয়ে পেছনের দিকে দিতে বাধ্য হয়। ততক্ষণে পুরো এলাকায় আর তিল ধারনের জায়গা নেই। বৃহস্পতিবার সারাদিন ও রাতে একই অবস্থা ছিল। শুক্রবার পুরো এলাকায় মানুষ আর মানুষে সয়লাব হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ জাতীয় জাদুঘরের সামনের বেরিকেড তুলে শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে, আর শাহবাগ মডেল থানার বেরিকেড তুলে চারুকলার সামনে, ঢাকা ক্লাবের সামনের বেরিকেড তুলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে আর বারডেমের সামনের বেরিকেড তুলে রেডিও বাংলাদেশের সামনে নেয়।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই মানুষের ঢল নামে। দলে দলে কেউবা সপরিবারে, কেউবা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ব্যানার হাতে মহাসমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সবার মুখে একটিই সেøাগান যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ বেরিকেড তুলে আরও পেছনের দিকে নিয়ে যায়। আজিজ সুপার মার্কেটের সামনের বেরিকেড তুলে কাঁটাবন মসজিদের সামনে, চারুকলার সামনের বেরিকেড তুলে টিএসসি, আর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের বেরিকেড তুলে মৎস্য ভবনের সামনে আর রেডিও বাংলাদেশের সামনের বেরিকেড তুলে পাঁচ তারকা হোটেল রূপসী বাংলার (আগের নাম শেরাটন) সামনে দিতে বাধ্য হয়। ওই এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পুরো এলাকার চারদিকে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও র্যাব। বাড়তি নজরদারি করতে মাঠে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা গুলো। এছাড়া আশপাশের প্রতিটি ছাদের উপরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা সেখান থেকে পুরো এলাকার ওপর নজরদারি করছেন। তবে মহাসমাবেশে আগতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে এবং মহাসমাবেশে যেকোন ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটলে জামায়াত-শিবিরকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবেন।
No comments