শাহবাগ বসন্ত- প্রতিবাদী এই দেশপ্রেমিকরা জানে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশের
শাহবাগে এখন প্রাণের আবেগ। সেখানে অবস্থান
নিয়েছে হাজার হাজার নবীন। এখনও তারা দলে দলে আসছে নানা স্থান থেকে। সারা
নগরী থেকে আসছে, সারাদেশ থেকে আসছে।
সব পথ এসে মিলে গেছে
শাহবাগে। শাহবাগের দিকে এখন সারাদেশের দৃষ্টি, বিশ্বের দৃষ্টিও এখন
বাংলাদেশের নবীন প্রজন্মের জাগরণের কেন্দ্রস্থল শাহবাগের দিকে। ক্ষুব্ধ মনে
প্রতিবাদের মাধ্যমে সবার প্রাণের দাবি জানাতে মিলিত হয়েছে নবীন নাগরিক
অগণিত মনুষ। তাদের প্রাণের উত্তাপ ছড়িয়ে গেছে সবখানে। সারাদেশে ক্ষুব্ধ
আশাহত প্রতিবাদী মানুষ সোচ্চার হয়েছে প্রাণের দাবিতে। দেশের সব বড় শহর,
জেলা এবং অন্যান্য স্থানে তারুণ্যের প্রতিবাদী ধ্বনি শোনা যাচ্ছে এখন।
মঙ্গলবার মানবতাবিরোধী মামলার দ্বিতীয় রায় জানার পর ফেসবুকে, ব্লগে এবং
টুইটারের মাধ্যম শাহবাগে সমবেত হওয়ার সূচনার পর এখন শাহবাগ পরিণত হয়েছে
জনসমুদ্রে, আর এখন সে উত্তাপ ছড়িয়ে গেছে সবখানে।
সবার মনে প্রথম থেকেই প্রতিবাদ। কেউ মানতে পারেনি। প্রতিবাদ উঠেছে বিদেশের বাঙালীদের মধ্যেও। তাঁরাও সেখানে সমবেত হয়েছেন প্রতিবাদে। দ্বিতীয় রায়টিকে মেনে নিতে পারেনি মানুষ।
যে ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছে, বহু মানুষ হত্যার অভিযোগ যার নামে, যার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগের পাঁচটি প্রমাণিত তার সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা ছিল দেশবাসীর।
একাত্তর দেখেছেন এমন অনেকেই রয়েছেন সমাজে, একাত্তরে হানাদারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এমন মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এখনও রয়েছেন। নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা একাত্তর না দেখলেও অনেকেই জানে একাত্তরের কথা, এদের অনেকেই একাত্তরে বাবাকে হারিয়েছেন। কোন আত্মীয়কে হারিয়েছেন, পারিবারিকভাবে অনেকেই নানা ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছেন। প্রতিবাদী এই দেশপ্রেমিকরা জানে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশের।
আলাপ-আলোচনা বা বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। একাত্তরে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে রক্তস্নাত হয়। নির্বিচারে মানুষ হত্যা তথা গণহত্যা, নারীদের সম্ভ্রমহানি, বাড়িতে বাড়িতে, হাটেবাজারে অগ্নিসংযোগ এবং সেই সঙ্গে চলেছিল মুক্তিকামী মানুষজনের ওপর অকথ্য নির্যাতন। এই হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি জঘন্য অপরাধে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে এটাই মানুষের প্রত্যাশা। কিন্তু সেদিন এমনই এক অপরাধের লঘুদ- মানুষকে হতাশ করেছে। তাদের দাবি সর্বোচ্চ শাস্তি।
এই দাবিতে সৃষ্টি হয়েছে শাহবাগ বসন্ত। সোচ্চার হয়েছে লাখ লাখ মানুষ, রাজধানীতে এবং দেশের সর্বত্র। আমাদের নবীন প্রজন্ম দেশ এবং দেশের স্বাধীনতাকে কতখানি ভালবাসে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তারা কতখানি শ্রদ্ধাশীল, নবীনদের জাগরণের মধ্য দিয়ে সেটা প্রমাণিত হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে এই অপরাধীদের বিচার এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যাপারে তারা যে কতটা দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে এতে বোঝা গেল সেটাও।
রাজাকারমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একাত্তরের কলঙ্ক মোচনের ব্যাপারে তারা কতখানি সজাগ সেটাও বোঝা যায় এ থেকে। বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। বিপুল ভোটে এ সরকার ক্ষমতাসীন হয়। এই ভোটের বড় একটি অংশ নবীন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদেরই। এই ভোটের মাধ্যমে তারাও এই ইঙ্গিত দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। রাজাকারমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আধুনিক গণতান্ত্রিক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তরুণেরাই শক্তি, তারাই বল, তারাই দেশের ভবিষ্যত। তাদের জাগরণ যেন যৌবন জল তরঙ্গের মতো। কোন বালির বাঁধে এ তরঙ্গ রোখা যাবে না। তারা জেগেছে। শেষ মাঘের জড়তা কেটে প্রকৃতিতেও সমাগত বসন্ত। শাহবাগের বসন্তের সুবাতাস বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারে তাদের প্রাণের দাবি, ষোলো কোটি মানুষের প্রাণের দাবি পূরণের মধ্য দিয়েই।
সবার মনে প্রথম থেকেই প্রতিবাদ। কেউ মানতে পারেনি। প্রতিবাদ উঠেছে বিদেশের বাঙালীদের মধ্যেও। তাঁরাও সেখানে সমবেত হয়েছেন প্রতিবাদে। দ্বিতীয় রায়টিকে মেনে নিতে পারেনি মানুষ।
যে ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছে, বহু মানুষ হত্যার অভিযোগ যার নামে, যার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগের পাঁচটি প্রমাণিত তার সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা ছিল দেশবাসীর।
একাত্তর দেখেছেন এমন অনেকেই রয়েছেন সমাজে, একাত্তরে হানাদারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এমন মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এখনও রয়েছেন। নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা একাত্তর না দেখলেও অনেকেই জানে একাত্তরের কথা, এদের অনেকেই একাত্তরে বাবাকে হারিয়েছেন। কোন আত্মীয়কে হারিয়েছেন, পারিবারিকভাবে অনেকেই নানা ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছেন। প্রতিবাদী এই দেশপ্রেমিকরা জানে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশের।
আলাপ-আলোচনা বা বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। একাত্তরে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে রক্তস্নাত হয়। নির্বিচারে মানুষ হত্যা তথা গণহত্যা, নারীদের সম্ভ্রমহানি, বাড়িতে বাড়িতে, হাটেবাজারে অগ্নিসংযোগ এবং সেই সঙ্গে চলেছিল মুক্তিকামী মানুষজনের ওপর অকথ্য নির্যাতন। এই হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি জঘন্য অপরাধে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে এটাই মানুষের প্রত্যাশা। কিন্তু সেদিন এমনই এক অপরাধের লঘুদ- মানুষকে হতাশ করেছে। তাদের দাবি সর্বোচ্চ শাস্তি।
এই দাবিতে সৃষ্টি হয়েছে শাহবাগ বসন্ত। সোচ্চার হয়েছে লাখ লাখ মানুষ, রাজধানীতে এবং দেশের সর্বত্র। আমাদের নবীন প্রজন্ম দেশ এবং দেশের স্বাধীনতাকে কতখানি ভালবাসে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তারা কতখানি শ্রদ্ধাশীল, নবীনদের জাগরণের মধ্য দিয়ে সেটা প্রমাণিত হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে এই অপরাধীদের বিচার এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যাপারে তারা যে কতটা দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে এতে বোঝা গেল সেটাও।
রাজাকারমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একাত্তরের কলঙ্ক মোচনের ব্যাপারে তারা কতখানি সজাগ সেটাও বোঝা যায় এ থেকে। বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। বিপুল ভোটে এ সরকার ক্ষমতাসীন হয়। এই ভোটের বড় একটি অংশ নবীন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদেরই। এই ভোটের মাধ্যমে তারাও এই ইঙ্গিত দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। রাজাকারমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আধুনিক গণতান্ত্রিক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তরুণেরাই শক্তি, তারাই বল, তারাই দেশের ভবিষ্যত। তাদের জাগরণ যেন যৌবন জল তরঙ্গের মতো। কোন বালির বাঁধে এ তরঙ্গ রোখা যাবে না। তারা জেগেছে। শেষ মাঘের জড়তা কেটে প্রকৃতিতেও সমাগত বসন্ত। শাহবাগের বসন্তের সুবাতাস বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারে তাদের প্রাণের দাবি, ষোলো কোটি মানুষের প্রাণের দাবি পূরণের মধ্য দিয়েই।
No comments