২৬ মার্চের আগেই তদন্ত সংস্থা ও বিচারিক আদালত- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ॥ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী
অবশেষে চলতি মার্চ মাসেই যুদ্ধাপরাধীদের
বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আগামী ২৬ মার্চের আগেই গঠন করা
হচ্ছে তদন্ত সংস্থা ও বিচারিক আদালত।
বৃহস্পতিবার আইন
মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১২ সদস্যের তদন্ত সংস্থা গঠন করা হবে। এর প্রধান হবেন পুলিশের
অবসরপ্রাপ্ত একজন মহাপরিদর্শক। এই সংস্থায় থাকবেন সুপ্রীমকোর্টের কয়েক
খ্যাতনামা আইনজীবী। এ ছাড়াও থাকবেন সাবেক একজন বিচারপতি ও সিআইডির
কর্মকর্তা। আন্তর্জাতিক মানের এই তদন্ত সংস্থাকে কোন সময়সীমা বেধে দেয়া হবে
না। তবে যত দ্রম্নত সম্ভব তাঁরা তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবেন। একইভাবে
সুপ্রীমকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে গঠন করা হবে ট্রাইব্যুনাল।
আইনমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার 'যুদ্ধাপরাধ আইন'-এ নয়, বিচার হবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টের আওতায়। যুদ্ধকালে যে সব অপরাধ মানবতাবিরোধী বলে চিহ্নিত, তার সবই এ আইনের আওতায় পড়ে। তিনি বলেন, এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাগুলো।
আইনমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। যুদ্ধাপরাধ বিচারে আদালত ও কৌঁসুলি নিয়োগ করবে আইন মন্ত্রণালয় এবং তদন্ত সংস্থা নিয়োগ দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তদন্ত সংস্থা নিয়োগ করা হলে, তারাই তদন্ত করে এ তালিকা চূড়ান্ত করবে। তারা আদালতে অভিযোগ উপস্থাপন করবে। তখনই বিচারযোগ্য যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক শাস্তির মেয়াদ কমাতে পারেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা মহাজোটের একটি নির্বাচনী অঙ্গীকার। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়। এদের বিচারের দাবিতে জাতীয় সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন হয়। সর্বসম্মতিক্রমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীর নামে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়।
এর পর থেকে শুরু হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিরোধী ষড়যন্ত্র। যুদ্ধাপরাধী চক্রটি একের পর এক সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে উঠেপড়ে লাগে। সর্বক্ষেত্রে তারা বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালায়। কিন্তু সরকার সব কিছু মোকাবেলা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় এগিয়ে চলেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার 'যুদ্ধাপরাধ আইন'-এ নয়, বিচার হবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টের আওতায়। যুদ্ধকালে যে সব অপরাধ মানবতাবিরোধী বলে চিহ্নিত, তার সবই এ আইনের আওতায় পড়ে। তিনি বলেন, এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাগুলো।
আইনমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। যুদ্ধাপরাধ বিচারে আদালত ও কৌঁসুলি নিয়োগ করবে আইন মন্ত্রণালয় এবং তদন্ত সংস্থা নিয়োগ দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তদন্ত সংস্থা নিয়োগ করা হলে, তারাই তদন্ত করে এ তালিকা চূড়ান্ত করবে। তারা আদালতে অভিযোগ উপস্থাপন করবে। তখনই বিচারযোগ্য যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক শাস্তির মেয়াদ কমাতে পারেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা মহাজোটের একটি নির্বাচনী অঙ্গীকার। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়। এদের বিচারের দাবিতে জাতীয় সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন হয়। সর্বসম্মতিক্রমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীর নামে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়।
এর পর থেকে শুরু হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিরোধী ষড়যন্ত্র। যুদ্ধাপরাধী চক্রটি একের পর এক সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে উঠেপড়ে লাগে। সর্বক্ষেত্রে তারা বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালায়। কিন্তু সরকার সব কিছু মোকাবেলা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় এগিয়ে চলেছে।
No comments