তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে অগ্রাধিকার দিয়ে বৈঠক শুরু- জেআরসিতে ৫৪ নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে অগ্রাধিকার
দিয়ে নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)-এর বৈঠক শুরু
হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনদিনের এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে ১৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন
পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশচন্দ্র সেন। অন্যদিকে ২৪ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি
দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পানিসম্পদমন্ত্রী পবন কুমার বানসাল। বৈঠকের
প্রথমদিনে তিস্তা ছাড়াও অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি বণ্টন এবং সুরমা নদীর
ড্রেজিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে সকালে তিস্তার পানি ভাগাভাগি এবং অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে দু'দেশের পানি সম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দিল্লীর ওবেরয় হোটেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ মোহাম্মদ ওয়াহিদউজ্জামান এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইউএন পানিজিয়ার। সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন ছাড়াও অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা এবং সুরমা নদীর ড্রেজিং নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। মধ্যাহ্নভোজের পর দু'দেশের পানিসম্পদমন্ত্রীর নেতৃত্বে জেআরসির পূর্ণাঙ্গ বৈঠক শুরু হয়। আজ শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠক শুরুর কথা রয়েছে।
বৈঠকে যোগদানকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আহমেদ করিম তারেক, জেআরসির সদস্য মোসত্মফা ফারম্নক মোহাম্মদ, পানিসম্পদ সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদউজ্জামান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাবিবুর রহমান, বুয়েটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনওয়ার হোসেইন, জেআরসির সদস্য মীর সাজ্জাদ হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৰিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইমরান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিনুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহিদুর রহমান, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড জিওগ্রাফিক সিস্টেমের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জেআরসির পরিচালক মোহাম্মদ আহসানউলস্নাহ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রকিব হোসেন, জেআরসির নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেইন এবং পানিসম্পদমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব মোহাম্মদ রম্নহুল কুদ্দুস।
সূত্র জানায়, বৈঠকে দু'দেশের অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ নানা ইসু্য স্থান পেলেও বাংলাদেশের পৰ থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হবে। গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে জেআরসি বৈঠকের ব্যাপারে একমত হয় দু'দেশ। সেসময় দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে স্বাক্ষরিত ৫০ দফা যৌথ ইশতেহারেও তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছিল। এর আগে তিস্তা ইস্যুতে জানুয়ারির শুরুতে ঢাকায় দু'দেশের সচিব পর্যায়ের এবং ডিসেম্বরের শেষ দিকে জেআরসি কারিগরি কমিটির বৈঠক হয়েছিল। এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির একটি খসড়া ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খসড়ায় ২০ শতাংশ পানি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের জন্য রেখে অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ পানি দু'দেশের মধ্যে সমহারে ভাগ করার কথা বলা হয়। এৰেত্রে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত নদীর পানি প্রবাহে দু'দেশ পরস্পরের কাছে যে তথ্য উপাত্ত হস্তান্তর করেছে, তার ভিত্তিতেই আপাতত চুক্তি হতে পারে। তিস্তার উজানে গজলডোবা নামক স্থানে ভারত বাঁধ নির্মাণ করায় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘি্নত হয়। এরপর নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ে আর কোন তথ্য আদান-প্রদান হয়নি। তবে বাংলাদেশের খসড়ার সঙ্গে একমত না হয়ে ভারত চূড়ান্ত চুক্তির আগে নদীর হাইড্রোলিক সার্ভের দাবি জানায়। ভারতের দাবিকে আমলে নিয়ে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদী না হলেও তিস্তার পানি বণ্টনে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি করতে চায়।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এর মধ্যে শুধু গঙ্গা নদীর পানি নিয়ে চুক্তি হয়েছে। বর্তমানে দু'দেশের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা, গোমতী, মনু, মাতামহুরী, খোয়াই, দুধকুমার ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয়পৰই প্রথমে তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী। এবারের বৈঠকে তিস্তা ছাড়াও মহানন্দা, পুনর্ভবা, করতোয়া, ফেনী, ইছামতী, কালিন্দি, রায়মঙ্গল, হাড়িয়াভাঙ্গা, আশালং, আত্রাই, মহুরী, সুরমা ও কুশিয়ারা সীমান্ত নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ কার্যক্রমও আলোচনায় রয়েছে। সাতৰীরা সীমান্তে ইছামতী নদীতে ভারতের ড্রেজিং এবং ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহার করে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হবে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রীদের সমন্বয়ে জেআরসি গঠিত হয়। প্রতিবছর জেআরসি বৈঠকের কথা থাকলেও দু'দেশের মধ্যে সর্বশেষ জেআরসি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০০৫ সালে ঢাকায়।
এর আগে সকালে তিস্তার পানি ভাগাভাগি এবং অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে দু'দেশের পানি সম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দিল্লীর ওবেরয় হোটেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ মোহাম্মদ ওয়াহিদউজ্জামান এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইউএন পানিজিয়ার। সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন ছাড়াও অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা এবং সুরমা নদীর ড্রেজিং নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। মধ্যাহ্নভোজের পর দু'দেশের পানিসম্পদমন্ত্রীর নেতৃত্বে জেআরসির পূর্ণাঙ্গ বৈঠক শুরু হয়। আজ শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠক শুরুর কথা রয়েছে।
বৈঠকে যোগদানকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আহমেদ করিম তারেক, জেআরসির সদস্য মোসত্মফা ফারম্নক মোহাম্মদ, পানিসম্পদ সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদউজ্জামান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাবিবুর রহমান, বুয়েটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনওয়ার হোসেইন, জেআরসির সদস্য মীর সাজ্জাদ হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৰিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইমরান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিনুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহিদুর রহমান, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড জিওগ্রাফিক সিস্টেমের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জেআরসির পরিচালক মোহাম্মদ আহসানউলস্নাহ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রকিব হোসেন, জেআরসির নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেইন এবং পানিসম্পদমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব মোহাম্মদ রম্নহুল কুদ্দুস।
সূত্র জানায়, বৈঠকে দু'দেশের অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ নানা ইসু্য স্থান পেলেও বাংলাদেশের পৰ থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হবে। গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে জেআরসি বৈঠকের ব্যাপারে একমত হয় দু'দেশ। সেসময় দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে স্বাক্ষরিত ৫০ দফা যৌথ ইশতেহারেও তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছিল। এর আগে তিস্তা ইস্যুতে জানুয়ারির শুরুতে ঢাকায় দু'দেশের সচিব পর্যায়ের এবং ডিসেম্বরের শেষ দিকে জেআরসি কারিগরি কমিটির বৈঠক হয়েছিল। এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির একটি খসড়া ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খসড়ায় ২০ শতাংশ পানি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের জন্য রেখে অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ পানি দু'দেশের মধ্যে সমহারে ভাগ করার কথা বলা হয়। এৰেত্রে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত নদীর পানি প্রবাহে দু'দেশ পরস্পরের কাছে যে তথ্য উপাত্ত হস্তান্তর করেছে, তার ভিত্তিতেই আপাতত চুক্তি হতে পারে। তিস্তার উজানে গজলডোবা নামক স্থানে ভারত বাঁধ নির্মাণ করায় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘি্নত হয়। এরপর নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ে আর কোন তথ্য আদান-প্রদান হয়নি। তবে বাংলাদেশের খসড়ার সঙ্গে একমত না হয়ে ভারত চূড়ান্ত চুক্তির আগে নদীর হাইড্রোলিক সার্ভের দাবি জানায়। ভারতের দাবিকে আমলে নিয়ে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদী না হলেও তিস্তার পানি বণ্টনে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি করতে চায়।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এর মধ্যে শুধু গঙ্গা নদীর পানি নিয়ে চুক্তি হয়েছে। বর্তমানে দু'দেশের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা, গোমতী, মনু, মাতামহুরী, খোয়াই, দুধকুমার ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয়পৰই প্রথমে তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী। এবারের বৈঠকে তিস্তা ছাড়াও মহানন্দা, পুনর্ভবা, করতোয়া, ফেনী, ইছামতী, কালিন্দি, রায়মঙ্গল, হাড়িয়াভাঙ্গা, আশালং, আত্রাই, মহুরী, সুরমা ও কুশিয়ারা সীমান্ত নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ কার্যক্রমও আলোচনায় রয়েছে। সাতৰীরা সীমান্তে ইছামতী নদীতে ভারতের ড্রেজিং এবং ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহার করে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হবে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রীদের সমন্বয়ে জেআরসি গঠিত হয়। প্রতিবছর জেআরসি বৈঠকের কথা থাকলেও দু'দেশের মধ্যে সর্বশেষ জেআরসি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০০৫ সালে ঢাকায়।
No comments