ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপ, বার্লিন- বিজয়ী বাংলাদেশ by আব্দুন নূর তুষার
জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ইএসএল বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আকিব ফারহান হোসেন ও রাতিব মুর্তাজা আলীর দল।
এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিশ্ব বিতর্ক প্রতিযোগিতার ৩৩তম আসর। এই বিতর্কে এবার ৮২টি দেশের প্রায় ৪০০টি দল অংশ নেয়। বাংলাদেশের এই দুই বিতার্কিক ইংলিশ অ্যাজ সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ (ইএসএল) ক্যাটাগরির মূল পর্বে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত এই বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন।
৩ জানুয়ারির ফাইনালে তাঁদের সঙ্গে চলে নেদারল্যান্ডস ও ইসরায়েলের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ইউটিউবে বিতর্কটি সরাসরি ওয়েবকাস্ট করা হয় এবং বিতর্ক শেষে দর্শকেরা রাতিব মুর্তাজাকে হাত তুলে ভোট দিয়ে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত করেন। ফেসবুকে সেদিন সারা দিনই দেশের তার্কিকেরা তাঁদের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দলটিকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন। বিতর্কে বিজয়ের পর তাঁরা দেশের সব বিতর্কপ্রেমীর জন্য এই জয় উৎসর্গ করা হলো বলে স্ট্যাটাস দেন।
ইউটিউবে তাঁদের বিতর্ক দেখতে দেশে-বিদেশে অনেক বাংলাদেশি তার্কিক রাত জেগে ছিলেন। বিতর্কটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে স্ট্যাটাসে লিখে দেন যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়ী হয়েছে, যদিও প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে ফলাফল ঘোষিত হয়।
উল্লেখ্য, এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস অংশ নেয়।
গত কয়েক বছর ধরে এশিয়ার বিভিন্ন বিতর্কের আসরে বাংলাদেশের দলগুলো ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন বা রানার আপ হতে পারছিল না। এর মধ্যে অবশ্য ওআইসি বিতর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে একটি দল ওআইসি বা আন্তর্জাতিক ইসলামি সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হয়।
১৮ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল অস্ট্রেলেশিয়ান বিতর্কে এশিয়ার সেরা দল হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল এবং মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। পরে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ইনভিটেশনাল ডিবেট ইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই দলটিতে ছিলেন আব্দুন নূর তুষার ও মেহের নিগার। তখন ওয়ার্ল্ড ডিবেটিং কাউন্সিলের সংবিধানের অন্যতম রিপোজিটরি হিসেবে এশিয়া থেকে কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
এরপর গত দেড় যুগে এশিয়া মহাদেশের গণ্ডির বাইরে বড় কোনো বিতর্কে এই ধরনের সাফল্য বাংলাদেশে আসেনি।
এখন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ডিবেটে রাতিব ও আকিবের এই দলটির সাফল্য যেকোনো আন্তর্জাতিক বিতর্কে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। আকিব ও রাতিব গত বছর দেশের বেশ কটি বড় বিতর্কে সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এবং তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তাঁরা বিশ্ব বিতর্কে দেশের জন্য এত বড় সম্মান নিয়ে এসেছেন। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে তাঁরা যে বিষয় নিয়ে বিতর্ক করেছিলেন, সেটি ছিল রাজনীতিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্র নিয়ে। তাঁদের ক্ষুুরধার যুক্তির কাছে অন্য দলগুলোকে খুবই সাধারণ মনে হচ্ছিল। বিতর্কে তাঁরা দেশীয় পোশাক পরে মঞ্চে দাঁড়ান ও দেশের পতাকা সামনে রাখেন।
রাতিব ও আকিব ছোটবেলা থেকেই বিতর্ক করে আসছেন এবং স্কুল পর্যায়ের বিতর্কেও তাঁদের বিরাট সাফল্য আছে। তাঁদের এই বিজয়ে বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন, বাংলাদেশ ডিবেটিং কাউন্সিলসহ দেশের ছোট-বড় সব বিতর্ক সংগঠন শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এখন তাঁরা দেশে ফিরলে নিশ্চয় শুরু হবে নানা রকম হইচই ও আনন্দের আয়োজন। এই বিজয় বাংলাদেশের বিতর্কের জগৎকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
৩ জানুয়ারির ফাইনালে তাঁদের সঙ্গে চলে নেদারল্যান্ডস ও ইসরায়েলের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ইউটিউবে বিতর্কটি সরাসরি ওয়েবকাস্ট করা হয় এবং বিতর্ক শেষে দর্শকেরা রাতিব মুর্তাজাকে হাত তুলে ভোট দিয়ে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত করেন। ফেসবুকে সেদিন সারা দিনই দেশের তার্কিকেরা তাঁদের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দলটিকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন। বিতর্কে বিজয়ের পর তাঁরা দেশের সব বিতর্কপ্রেমীর জন্য এই জয় উৎসর্গ করা হলো বলে স্ট্যাটাস দেন।
ইউটিউবে তাঁদের বিতর্ক দেখতে দেশে-বিদেশে অনেক বাংলাদেশি তার্কিক রাত জেগে ছিলেন। বিতর্কটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে স্ট্যাটাসে লিখে দেন যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়ী হয়েছে, যদিও প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে ফলাফল ঘোষিত হয়।
উল্লেখ্য, এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস অংশ নেয়।
গত কয়েক বছর ধরে এশিয়ার বিভিন্ন বিতর্কের আসরে বাংলাদেশের দলগুলো ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন বা রানার আপ হতে পারছিল না। এর মধ্যে অবশ্য ওআইসি বিতর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে একটি দল ওআইসি বা আন্তর্জাতিক ইসলামি সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হয়।
১৮ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল অস্ট্রেলেশিয়ান বিতর্কে এশিয়ার সেরা দল হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল এবং মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। পরে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ইনভিটেশনাল ডিবেট ইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই দলটিতে ছিলেন আব্দুন নূর তুষার ও মেহের নিগার। তখন ওয়ার্ল্ড ডিবেটিং কাউন্সিলের সংবিধানের অন্যতম রিপোজিটরি হিসেবে এশিয়া থেকে কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
এরপর গত দেড় যুগে এশিয়া মহাদেশের গণ্ডির বাইরে বড় কোনো বিতর্কে এই ধরনের সাফল্য বাংলাদেশে আসেনি।
এখন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ ডিবেটে রাতিব ও আকিবের এই দলটির সাফল্য যেকোনো আন্তর্জাতিক বিতর্কে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। আকিব ও রাতিব গত বছর দেশের বেশ কটি বড় বিতর্কে সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এবং তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তাঁরা বিশ্ব বিতর্কে দেশের জন্য এত বড় সম্মান নিয়ে এসেছেন। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে তাঁরা যে বিষয় নিয়ে বিতর্ক করেছিলেন, সেটি ছিল রাজনীতিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্র নিয়ে। তাঁদের ক্ষুুরধার যুক্তির কাছে অন্য দলগুলোকে খুবই সাধারণ মনে হচ্ছিল। বিতর্কে তাঁরা দেশীয় পোশাক পরে মঞ্চে দাঁড়ান ও দেশের পতাকা সামনে রাখেন।
রাতিব ও আকিব ছোটবেলা থেকেই বিতর্ক করে আসছেন এবং স্কুল পর্যায়ের বিতর্কেও তাঁদের বিরাট সাফল্য আছে। তাঁদের এই বিজয়ে বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন, বাংলাদেশ ডিবেটিং কাউন্সিলসহ দেশের ছোট-বড় সব বিতর্ক সংগঠন শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এখন তাঁরা দেশে ফিরলে নিশ্চয় শুরু হবে নানা রকম হইচই ও আনন্দের আয়োজন। এই বিজয় বাংলাদেশের বিতর্কের জগৎকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
No comments