আইভরি কোস্টে গণকবর অনড় বাগবো
আইভরি কোস্টে দুটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ থেকে দেশটিতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে আশংকা করছে জাতিসংঘ।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট লরাঁ বাগবোকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে আন্তর্জাতিক মহল স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আলেসান ওয়াতারার দেওয়া সময়সীমা বিদায়ী বছরের শেষ প্রহরে পার হওয়ার পর পরিস্থিতি এখন প্রকাশ্য যুদ্ধের দিকেই এগোচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নববর্ষ শুরুর সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বাগবো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ওয়াতারার কাছে ক্ষমতা ছাড়ছেন না। উল্টো তাঁর সমর্থকরা ওয়াতারাকে সরে যেতে ১ জানুয়ারি সময় বেঁধে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মহল বাগবোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন বাগবো।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার নাভি পিল্লাই জানিয়েছেন, আইভরি কোস্টে অন্তত দুটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। এ থেকে তিনি দেশটিতে মানবতার বিরুদ্ধে বড় ধরনের অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে পিল্লাই বলেন, 'অন্তত দুইটি গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর এসেছে আমাদের কাছে। তদন্তের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার দলকে ওই এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।' জাতিসংঘের হিসাবমতে, গত ২৮ নভেম্বরের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দেশটিতে দুই শ'রও বেশি লোক নিহত এবং কয়েক শ নিখোঁজ রয়েছে।
পিল্লাই জানান, এ ব্যাপারে বাগবো এবং তাঁর গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীদের কাছে তিনি পত্র দিয়েছেন। তাঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি। তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রম গত ১৫ বছরে অনেক উন্নত হয়েছে। এটি জবাবদিহি পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়েছে, যা আগে ছিল না। রাষ্ট্রপ্রধান বা শীর্ষ ব্যক্তিরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে পার পাবেন না।'
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গত শুক্রবার নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ওয়াতারার কাছে ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে জানান বাগবো। এর আগে ওয়াতারার প্রধানমন্ত্রী গিলামো সরো তাঁকে নতুন বছর শুরুর আগেই ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে সময় বেঁধে দেন। বাগবো জানান, তিনি যদি ক্ষমতা ছেড়ে দেন, তবে দেশে সহিংসতা আরো বাড়বে। 'আইভরি কোস্টের জনগণ ভোটের মধ্য দিয়ে আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা থেকে আমি সরছি না।' তিনি উল্টো ওয়াতারাকে আবিদজানের গলফ হোটেল ছেড়ে বাড়ি চলে যাওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর সমর্থকরা ১ জানুয়ারি পার হওয়ার আগেই ওয়াতারাকে সরে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়। ওয়াতারা ও তাঁর পক্ষের বিশ্ব নেতারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যানারের ছত্রছায়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছেন বলেও বাগবো অভিযোগ করেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, বাগবোর বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালানো হলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ মারাত্মক আকার ধারণ করবে। দেশটির পরিস্থিতি লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিয়নের চেয়েও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
ওবামার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেননি বাগবো
আইভরি কোস্টে রক্তপাত এড়াতে এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে বাগবোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের টেলিফোন সংলাপের ব্যবস্থা করেছিলেন বাগবোর উপদেষ্টা ল্যানি জে ডেভিস। কিন্তু বাগবো প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে আলাপে রাজি হননি বলে সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এরপর ডেভিস বাগবোর উপদেষ্টার চাকরিটি ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্রে ওবামা-বাগবোর টেলিফোন আলাপের বিষয়টির উল্লেখ করা হয়। সূত্র: বিবিসি, এএফপি।
নববর্ষ শুরুর সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বাগবো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ওয়াতারার কাছে ক্ষমতা ছাড়ছেন না। উল্টো তাঁর সমর্থকরা ওয়াতারাকে সরে যেতে ১ জানুয়ারি সময় বেঁধে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মহল বাগবোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন বাগবো।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার নাভি পিল্লাই জানিয়েছেন, আইভরি কোস্টে অন্তত দুটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। এ থেকে তিনি দেশটিতে মানবতার বিরুদ্ধে বড় ধরনের অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে পিল্লাই বলেন, 'অন্তত দুইটি গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর এসেছে আমাদের কাছে। তদন্তের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার দলকে ওই এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।' জাতিসংঘের হিসাবমতে, গত ২৮ নভেম্বরের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দেশটিতে দুই শ'রও বেশি লোক নিহত এবং কয়েক শ নিখোঁজ রয়েছে।
পিল্লাই জানান, এ ব্যাপারে বাগবো এবং তাঁর গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীদের কাছে তিনি পত্র দিয়েছেন। তাঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি। তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রম গত ১৫ বছরে অনেক উন্নত হয়েছে। এটি জবাবদিহি পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়েছে, যা আগে ছিল না। রাষ্ট্রপ্রধান বা শীর্ষ ব্যক্তিরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে পার পাবেন না।'
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গত শুক্রবার নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ওয়াতারার কাছে ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে জানান বাগবো। এর আগে ওয়াতারার প্রধানমন্ত্রী গিলামো সরো তাঁকে নতুন বছর শুরুর আগেই ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে সময় বেঁধে দেন। বাগবো জানান, তিনি যদি ক্ষমতা ছেড়ে দেন, তবে দেশে সহিংসতা আরো বাড়বে। 'আইভরি কোস্টের জনগণ ভোটের মধ্য দিয়ে আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা থেকে আমি সরছি না।' তিনি উল্টো ওয়াতারাকে আবিদজানের গলফ হোটেল ছেড়ে বাড়ি চলে যাওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর সমর্থকরা ১ জানুয়ারি পার হওয়ার আগেই ওয়াতারাকে সরে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়। ওয়াতারা ও তাঁর পক্ষের বিশ্ব নেতারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যানারের ছত্রছায়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছেন বলেও বাগবো অভিযোগ করেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, বাগবোর বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালানো হলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ মারাত্মক আকার ধারণ করবে। দেশটির পরিস্থিতি লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিয়নের চেয়েও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
ওবামার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেননি বাগবো
আইভরি কোস্টে রক্তপাত এড়াতে এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে বাগবোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের টেলিফোন সংলাপের ব্যবস্থা করেছিলেন বাগবোর উপদেষ্টা ল্যানি জে ডেভিস। কিন্তু বাগবো প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে আলাপে রাজি হননি বলে সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এরপর ডেভিস বাগবোর উপদেষ্টার চাকরিটি ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্রে ওবামা-বাগবোর টেলিফোন আলাপের বিষয়টির উল্লেখ করা হয়। সূত্র: বিবিসি, এএফপি।
No comments