রাজনৈতিক বিদ্রূপ by একরামুল হক শামীম
একবার এক রাজনৈতিক কৌতুক রচয়িতাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রাজার কাছে। রাজার খাসমহল দেখে সে অবাক! দামি দামি আসবাবপত্র, দামি কার্পেট, পর্দা, অনেক খাবারদাবার। এত কিছু একসঙ্গে কখনও দেখেনি সেই কৌতুক রচয়িতা। রাজা জানালেন, খুব শিগগির দেশের ঘরে ঘরে এসব থাকবে।
কৌতুক রচয়িতা প্রতিবাদী হয়ে জানালেন, মহাশয়, এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না। হয় আপনি কৌতুক করবেন, না হলে আমি করব। এই গল্পে তাও কৌতুক রচয়িতাকে রাজা রাজমহলে ডেকে নিয়েছেন, বাস্তবে কিন্তু ব্যাপারগুলো ভিন্ন রকম ঘটে। রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপকারীদের খারাপ চোখেই দেখেন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা লোকজন। হাস্য-রসাত্মক অভিনয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অন্যায়-অনিয়ম তুলে ধরায় মিয়ানমারে সামরিক জান্তার রোষানলে পড়েছিলেন তিন ভাই। তাদের নাম পার পার লে, লু মাও ও লু ঝাউ। তারা 'গোঁফধারী ভাই' নামে পরিচিত।
বিবিসি ম্যাগাজিন ৫ জানুয়ারি এই তিন ভাইকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে তুলে ধরা হয়েছে তিন ভাইয়ের ওপর মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতনের কথা। হাস্য-রসাত্মক অভিনয় করাই তাদের অপরাধ। সামরিক জান্তা বিষয়টাকে খোঁচা হিসেবে নিয়েছে। ১৯৯৬ সালে তিন ভাই সামরিক জান্তাকে ব্যঙ্গ করে সু চির বাড়ির সামনে একটি কৌতুক প্রদর্শনী করেছিলেন। এর দায়ে দুই ভাইকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘ সাত বছর তারা কারাগারে আটক থাকেন। ২০০৩ সালে মুক্তি পেলেও তাদের ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বাড়ির বাইরে তারা কোনোরকম অনুষ্ঠান করতে পারবে না। এতদিনে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সামরিক জান্তা এখন আর ক্ষমতায় নেই। তবে আছে জান্তাসমর্থিত নির্বাচিত বেসামরিক সরকার। রাজনীতিতে সু চির ক্ষমতাবলয়ও বেড়েছে। তবে এতদিনেও পরিবর্তন হয়নি রাজনৈতিক বিদ্রূপ করা তিন ভাইয়ের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার রকমফের। কোথাও অনুষ্ঠান করতে হলে সরকারি অনুমতি প্রয়োজন হয়। সেই প্রক্রিয়া এতটাই জটিল যে কখনও তা অতিক্রম করে অনুষ্ঠান করতে পারেন না তারা।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক ক্ষমতার পটপরিবর্তনকে তিন ভাই দেখেছেন ভিন্নদৃষ্টিতে। জান্তা সরকার থেকে বেসামরিক সরকারের যাত্রাকে তারা মনে করছেন সাপের খোলস বদল। খোলস বদল হলেও সাপ সাপই থেকে যায়। ফলে হাস্যরসের মাধ্যমে ব্যঙ্গ করে সরকারের নেতিবাচক কাজ জনগণের সামনে তুলে ধরার কাজ তারা এখনই থামিয়ে দিতে চান না। এখন নিজেদের বাড়ির সামনেই কৌতুক প্রদর্শনীর আয়োজন করেন তারা। দর্শক হিসেবে থাকেন বিদেশি পর্যটকরা। তিন ভাইয়ের মতে, এখনও মিয়ানমারের অনেক মৌলিক অধিকার বাস্তবায়িত হয়নি। শিক্ষা এখনও অবৈতনিক নয়, অনেক হাসপাতালে পর্যন্ত মেডিসিন নেই। এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে লোকজন মারা যাচ্ছে। সরকার নিশ্চুপ। এরা দুর্নীতিতে মগ্ন। ফলে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মাধ্যমেই তারা সরকারের ব্যর্থতাগুলোকে তুলে ধরতে চান মানুষের সামনে। তিন ভাই জানিয়েছেন, সু চি ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত তারা তাদের ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাবেন।
তিন ভাইয়ের মতো রাজনৈতিক বিদ্রূপকারী আমাদের দেশে থাকলে ভালোই হতো। তারা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারত রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডের কথা। অবশ্য রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপকারীদের ওপর খৰহস্ত নেমে আসার সম্ভাবনাও থাকে।
বিবিসি ম্যাগাজিন ৫ জানুয়ারি এই তিন ভাইকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে তুলে ধরা হয়েছে তিন ভাইয়ের ওপর মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতনের কথা। হাস্য-রসাত্মক অভিনয় করাই তাদের অপরাধ। সামরিক জান্তা বিষয়টাকে খোঁচা হিসেবে নিয়েছে। ১৯৯৬ সালে তিন ভাই সামরিক জান্তাকে ব্যঙ্গ করে সু চির বাড়ির সামনে একটি কৌতুক প্রদর্শনী করেছিলেন। এর দায়ে দুই ভাইকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘ সাত বছর তারা কারাগারে আটক থাকেন। ২০০৩ সালে মুক্তি পেলেও তাদের ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বাড়ির বাইরে তারা কোনোরকম অনুষ্ঠান করতে পারবে না। এতদিনে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সামরিক জান্তা এখন আর ক্ষমতায় নেই। তবে আছে জান্তাসমর্থিত নির্বাচিত বেসামরিক সরকার। রাজনীতিতে সু চির ক্ষমতাবলয়ও বেড়েছে। তবে এতদিনেও পরিবর্তন হয়নি রাজনৈতিক বিদ্রূপ করা তিন ভাইয়ের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার রকমফের। কোথাও অনুষ্ঠান করতে হলে সরকারি অনুমতি প্রয়োজন হয়। সেই প্রক্রিয়া এতটাই জটিল যে কখনও তা অতিক্রম করে অনুষ্ঠান করতে পারেন না তারা।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক ক্ষমতার পটপরিবর্তনকে তিন ভাই দেখেছেন ভিন্নদৃষ্টিতে। জান্তা সরকার থেকে বেসামরিক সরকারের যাত্রাকে তারা মনে করছেন সাপের খোলস বদল। খোলস বদল হলেও সাপ সাপই থেকে যায়। ফলে হাস্যরসের মাধ্যমে ব্যঙ্গ করে সরকারের নেতিবাচক কাজ জনগণের সামনে তুলে ধরার কাজ তারা এখনই থামিয়ে দিতে চান না। এখন নিজেদের বাড়ির সামনেই কৌতুক প্রদর্শনীর আয়োজন করেন তারা। দর্শক হিসেবে থাকেন বিদেশি পর্যটকরা। তিন ভাইয়ের মতে, এখনও মিয়ানমারের অনেক মৌলিক অধিকার বাস্তবায়িত হয়নি। শিক্ষা এখনও অবৈতনিক নয়, অনেক হাসপাতালে পর্যন্ত মেডিসিন নেই। এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে লোকজন মারা যাচ্ছে। সরকার নিশ্চুপ। এরা দুর্নীতিতে মগ্ন। ফলে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মাধ্যমেই তারা সরকারের ব্যর্থতাগুলোকে তুলে ধরতে চান মানুষের সামনে। তিন ভাই জানিয়েছেন, সু চি ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত তারা তাদের ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাবেন।
তিন ভাইয়ের মতো রাজনৈতিক বিদ্রূপকারী আমাদের দেশে থাকলে ভালোই হতো। তারা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারত রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডের কথা। অবশ্য রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপকারীদের ওপর খৰহস্ত নেমে আসার সম্ভাবনাও থাকে।
No comments