রেলের জায়গা রেলের জমি-অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করতে হবে
দেশের বিভিন্ন এলাকায় রেলওয়ের জমি বেদখল হয়ে গেছে। রেলের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে আবাসন ও বাণিজ্যিক বিপণি। খোদ রাজধানীতেও রেলওয়ের জমি দখলদারদের দৃষ্টি এড়ায়নি। রেলের জমি দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে বিপণিবিতান। দুই বছর ধরে কাজ চললেও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি পড়েনি এদিকে।
রেলমন্ত্রীও বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত নন। বিষয়টি নজরে আনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ ছিল খোঁজ-খবর নেওয়ার মধ্যে। এখানে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবৈধ দখলদারদের একটি যৌথ অংশীদারিত্ব বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো গোপন যোগাযোগের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই আঁচ করা যেতে পারে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সে বিষয়টিই ফুটে উঠেছে।
নানাভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়েকে। ব্রিটিশ আমলে গঠিত এই সংস্থাটির দিকে নজর পড়েছে দখলদারদের। একের পর এক বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলওয়ে স্টেশন ও রেলপথের অনেক জমি অবৈধ দখলে চলে গেছে। সেসব জমি দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। রেলের অনেক পরিত্যক্ত আবাসনে গড়ে উঠেছে মাদক বেচাকেনার আখড়া। অবৈধভাবে রেলের জমি দখল করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী স্থাপনার পাশাপাশি স্থায়ী স্থাপনাও গড়ে তোলা হয়েছে। অনেক জায়গায়ই তৈরি হয়েছে অস্থায়ী দোকান। সেসব দোকান থেকে নিয়মিত ভাড়াও আদায় করা হয়। কিন্তু রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের ৪০০ কোটি টাকার জমি যেভাবে দখল করে ব্যক্তিমালিকানায় মার্কেট গড়ে তোলা হচ্ছে, দোকান বিক্রি করা হচ্ছে- তা বোধ হয় দিনে-দুপুরে ডাকাতিকেও হার মানায়। গত দুই বছর ধরে সরকারি দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী পরিচয়ে এই অবৈধ দখলদারি চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। নিজেরা উচ্ছেদ অভিযান না চালিয়ে কেবল থানা-পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। থানা-পুলিশও পালন করেছে নীরবতা। এসবের নেপথ্যে কোনো রহস্য নেই, তেমনটি ভাবার কোনো অবকাশ নেই। সবকিছুই যে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ধারণা করা যেতে পারে, গত দুই বছর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সব ধরনের চাহিদা পূরণ করেই অবৈধ দখলদাররা এই নির্মাণকাজ চালিয়ে যেতে পেরেছে।
রেলের খালি জায়গায় বাণিজ্যিক বিপণি গড়ে তুলতে চাইলে সেটা রেলওয়ে নিজেদের উদ্যোগেই করতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ রেলের জায়গা দখল করতে পারে না। এমনকি রেলের জমি লিজ নিতে চাইলেও তার একটি নিয়ম আছে। এখানে সে নিয়মও রক্ষা করা হয়নি। রাজধানীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে এভাবে কাদের ছত্রচ্ছায়ায় একটি বড় ধরনের অবৈধ স্থাপনা নির্মিত হলো তা খতিয়ে দেখা দরকার। প্রকাশিত প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় খুবই স্পষ্ট। দেখা যাচ্ছে, দখলদারদের সবাই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অনুসারী। সেই পরিচয়েই দখলদাররা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে অবৈধ প্রবেশ করেই ক্ষান্ত হয়নি, দখল করে সেখানে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের সাহসও দেখিয়েছে। গত কয়েক বছরে একটি বিষয় লক্ষ করা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে অনেকেই রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে উপেক্ষা করতে চায়। অতীতেও এর ফল ভালো হয়নি। সংশ্লিষ্ট দলকে এর মূল্য দিতে হয়েছে।
রেলওয়ের জমি দখল করে যারা মার্কেট বানিয়ে দোকান বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তাদের পরিচয় দুর্বৃত্ত ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। সেই দুর্বৃত্তদের রাজনৈতিক আশ্রয়দাতারাও দুর্বৃত্তায়নকে উৎসাহ দিচ্ছে- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে। আমরা চাই অবিলম্বে বিমানবন্দর স্টেশনের জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। উদ্ধার করা হবে রেলের জমি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কত দ্রুত নিজেদের সততার প্রমাণ রাখতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
নানাভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়েকে। ব্রিটিশ আমলে গঠিত এই সংস্থাটির দিকে নজর পড়েছে দখলদারদের। একের পর এক বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলওয়ে স্টেশন ও রেলপথের অনেক জমি অবৈধ দখলে চলে গেছে। সেসব জমি দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। রেলের অনেক পরিত্যক্ত আবাসনে গড়ে উঠেছে মাদক বেচাকেনার আখড়া। অবৈধভাবে রেলের জমি দখল করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী স্থাপনার পাশাপাশি স্থায়ী স্থাপনাও গড়ে তোলা হয়েছে। অনেক জায়গায়ই তৈরি হয়েছে অস্থায়ী দোকান। সেসব দোকান থেকে নিয়মিত ভাড়াও আদায় করা হয়। কিন্তু রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের ৪০০ কোটি টাকার জমি যেভাবে দখল করে ব্যক্তিমালিকানায় মার্কেট গড়ে তোলা হচ্ছে, দোকান বিক্রি করা হচ্ছে- তা বোধ হয় দিনে-দুপুরে ডাকাতিকেও হার মানায়। গত দুই বছর ধরে সরকারি দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী পরিচয়ে এই অবৈধ দখলদারি চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। নিজেরা উচ্ছেদ অভিযান না চালিয়ে কেবল থানা-পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। থানা-পুলিশও পালন করেছে নীরবতা। এসবের নেপথ্যে কোনো রহস্য নেই, তেমনটি ভাবার কোনো অবকাশ নেই। সবকিছুই যে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ধারণা করা যেতে পারে, গত দুই বছর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সব ধরনের চাহিদা পূরণ করেই অবৈধ দখলদাররা এই নির্মাণকাজ চালিয়ে যেতে পেরেছে।
রেলের খালি জায়গায় বাণিজ্যিক বিপণি গড়ে তুলতে চাইলে সেটা রেলওয়ে নিজেদের উদ্যোগেই করতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ রেলের জায়গা দখল করতে পারে না। এমনকি রেলের জমি লিজ নিতে চাইলেও তার একটি নিয়ম আছে। এখানে সে নিয়মও রক্ষা করা হয়নি। রাজধানীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে এভাবে কাদের ছত্রচ্ছায়ায় একটি বড় ধরনের অবৈধ স্থাপনা নির্মিত হলো তা খতিয়ে দেখা দরকার। প্রকাশিত প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় খুবই স্পষ্ট। দেখা যাচ্ছে, দখলদারদের সবাই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অনুসারী। সেই পরিচয়েই দখলদাররা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে অবৈধ প্রবেশ করেই ক্ষান্ত হয়নি, দখল করে সেখানে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের সাহসও দেখিয়েছে। গত কয়েক বছরে একটি বিষয় লক্ষ করা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে অনেকেই রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে উপেক্ষা করতে চায়। অতীতেও এর ফল ভালো হয়নি। সংশ্লিষ্ট দলকে এর মূল্য দিতে হয়েছে।
রেলওয়ের জমি দখল করে যারা মার্কেট বানিয়ে দোকান বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তাদের পরিচয় দুর্বৃত্ত ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। সেই দুর্বৃত্তদের রাজনৈতিক আশ্রয়দাতারাও দুর্বৃত্তায়নকে উৎসাহ দিচ্ছে- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে। আমরা চাই অবিলম্বে বিমানবন্দর স্টেশনের জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। উদ্ধার করা হবে রেলের জমি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কত দ্রুত নিজেদের সততার প্রমাণ রাখতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments