টবে শীতের ফুল- শিপন কোড়াইয়া
পড়নত্ম বিকেল। জোনাকি মনের আনন্দে বাড়ির ছাদে ঝাঝরি দিয়ে টবে পানি দিচ্ছে। ভিন্ন ভিন্ন টবে বিভিন্ন রকম ফুল শোভা ছড়াচ্ছে। পড়নত্ম রোদে ফুলের শোভা বিচিত্র রূপ ধারণ করেছে।
পড়াশোনার ফাঁকে জোনাকি ফুলের টবের যত্ন নেয়। মুগ্ধ জোনাকি ফুলকে ভালবেসে ফেলে। একদিন টবের যত্ন করতে না পারলে তার মন বিষণ্ন হয়ে যায়। তাই সে প্রতিদিন বিকেলে ফুলের টবের যত্ন নেয় ও পানি দেয়। শীলকালী ফুল টবে লাগিয়ে বাসাবাড়ির শোভা বর্ধন করা হয়। হয় বারান্দায় না হয় গেটের সামনে সিঁড়ির দু' ধারে, বেলকনিতে অথবা ছাদের ওপর টবে ফুল চাষ করা যায়।সিলভিয়া
এর মতো গুণসম্মত মৌসুমি ফুল কমই আছে। গাছ খাঁড়া ও ঝোপবিশিষ্ট। উচ্চতা মোটামুটি ৫০-১০০ সেন্টিমিটার। এর আগায় স্পাইক জাতীয় মঞ্জুরিতে উজ্জ্বল লাল, খয়েরি, সাদা ও লাল বর্ণের ফুল হয়। তবে লাল ফুলের কদর বেশি। এছাড়া বিচিত্র রঙের সমাহার আছে এমন ফুলও হয়। এর ইংরেজী না ঝধষারধ। অধিকাংশই শীতকালে হয়। বীজ থেকে চারা তৈরি হয়। তবে ডাল থেকেও চারা তৈরি করা যায়। সিলভিয়া বারোমাসি ও বর্ষজীবী উভয়ই হয়। শীতকালে দেরিতে চারা লাগালে জুলাই মাস পর্যনত্ম ফুল পাওয়া যায়।
চারার দাম : ছোট চারার পলিব্যাগ ৮-১০ টাকা এবং বড় চারার পলিব্যাগ ৮০ টাকা। টবসহ চারা দাম পরবে ৬০-১০০ টাকা।
জার্বেরা
ফুলটি দেখতে বেশ সুন্দর ও বর্ণ বৈচিত্রে ভরা। একবার কোথাও লাগালে বছরের পর বছর ফুল দেবে। এর ইংরেজী নাম এবৎনবৎধ ছাদে টবে লাগালে স্থায়ী সৌন্দর্যের ছায়া পাওয়া যায়। এ গাছ দেখতে ছোট হলে দীর্ঘজীবী এবং কষ্টসহিষ্ণু। পাতা অনেকটা মুলার পাতার মতো খ-িত। পাতার ওপর গাছের মাথায় পুষ্পদ- বের হয়। পুষ্পদ-ের মাথায় একটি করে ফুল হয়। গাছের গোড়ায় কুশি বের হয়ে শেষে গোছায় বা ঝোপে পরিণত হয়। গোছা ভেঙ্গে নতুন চারা তৈরি করা যায়।
চারার দাম : একটি চারার পলির দাম পড়বে ৪০-৫০ টাকা ও টবসহ দাম পড়বে ১০০-১৫০ টাকা।
লুপিন
এটি খুবই চমৎকার এবং জনপ্রিয় ফুল। সৌন্দর্যের জন্য পুষ্পসজ্জায় তাই এর বিশেষ কদর। ফুলও নানা বর্ণের হয়। এর রঙ অতি উজ্জ্বল। এটি শীতকালীন হলে বর্ষজীবীও রয়েছে। ইংরেজী নাম খঁঢ়রহব। গাছ ৯০-১০ সেন্টিমিটার বেশি হয় না। গাছের শাখা থেকে বের হয় লম্বা মঞ্জুরি।
মঞ্জুরিতে সারিবদ্ধভাবে ফুল ফোটে। কোনটায় বিভিন্ন রঙের ও উজ্জ্বল ফুল হয়। ফুলের গন্ধ সুমিষ্ট। লুপিন চারা তৈরির একমাত্র উপায় বীজ। বারান্দা কিংবা জানালার কাছে টবে রাখার জন্য খুবই উপযোগী।
দাম পড়বে : চারাপ্রতি পলিব্যাগ ১০-১৫ টাকা। টবসহ দাম পড়বে ৪৫-১০০ টাকা।
ফক্স
ভারি সুন্দর ফুল এটি। শীতের ফুলের মধ্যে এর রয়েছে বিশেষ স্থান। গাছে ছোট ছোট সত্মবক সত্যিই দেখার মতো। ছাদে টবে সহজেই লাগাতে পারেন ফক্স। আর একসঙ্গে বন্ধু বর্ণের ফক্স লাগালে দেখতে কেমন চমৎকার হবে তা তো সহজেই অাঁচ করা যায়। এর ইংরেজী নাম চযষড়ী এর জন্মস্থান আমেরিকায়। গাছের উচ্চতা ৩০-৪৫ সেন্টিমিটার হয়। গাছ ছাঁটাই করলে তা ঝোপ আকৃতির হবে। যা দেখতে হবে মনরোম। টইঙ্কল প্রজাতির ফক্স তারার মতো। ড্রামন্ডি ও গ্রান্ডিকোরা প্রজাতি শুধু এক রঙের ফুল দিয়ে থাকে।
দাম পড়বে : ছোট চারা পালিব্যাগ ১০-১৫ টাকা। টবসহ ফক্সের দাম পড়বে ৮০-১২০ টাকা।
গাঁদা
এটি সবার চির পরিচিত ফুল। খুব বড় ও হলুদ রঙের জন্য এর বেশ খ্যাতি রয়েছে। সাধারণত বীজ ও ডাল থেকে হলুদ রঙের জন্য এর বেশ খ্যাতি রয়েছে। সাধারণত বীজ ও ডাল থেকে নতুন চারা তৈরি করা হয়। অপরিপক্ব বীজ থেকে চারা জন্মালে সিঙ্গেল ফুল হয়। পরিপক্ব ও ডাল থেকে জন্মালে ডাবল ফুল হয়। ডাবল ফুলের কদরই বেশি। হাইব্রিড ও উন্নতজাতের গাঁধার গাছ কিছুটা ছোট আকৃতির হয়। এসব গাছে বড় বড় প্রচুর ফুল ফোটে। আফ্রিকান মেরিগোল্ড, ফ্রেন্স মেরিগোল্ড, সেস্নাবার্ড বা সাদা রঙের গাঁধা এছাড়াও একই বৃনত্মে বিভিন্ন বর্ণের ছটা বা একই গাছে ভিন্ন রঙের ফুল ফোটে এমন জাতও রয়েছে।
চারার দাম : ছোট চারার পলিব্যাগ ৮০-১০০ টাকা। বড় চারার পলিব্যাগ ৩০ টাকা এবং টবসহ গাঁধার দাম পড়বে ৮০-১০০ টাকা।
No comments