মন্দার বেড়াজালে নোবেল-বিশেষ মূল্য হ্রাসে পুরস্কার বিতরণী by সাব্বির রহমান খান
ডিসেম্বরের ১০ তারিখে স্টকহোমের নগর হল (সিটি হল) সাজানো হয় এক অপরূপ সাজে। কোথাও চাকচিক্য ও জাঁকজমকের কোনো অভাব চোখে পড়ে না। কারণ শতবর্ষেরও বেশি সময়ের ঐতিহ্য নোবেল পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান বলে কথা।
আর্থিক মন্দার কারণে ইতিমধ্যেই এ বছর নোবেলের প্রাইজমানি (পুরস্কারের অর্থমূল্য) কমানোর ঘোষণা দিয়েছে নোবেল ফাউন্ডেশন। তাই বলে অনুষ্ঠান জাঁকজমক থাকবে না, তা কি হয়? অনুষ্ঠান আয়োজনে সংশ্লিষ্ট কম্পানিগুলো এগিয়ে এসেছে নোবেল-চাকচিক্যের ঐতিহ্য ধরে রাখতে। সবাই এবার মূল দামের চেয়ে কম দাম নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, অর্থাৎ বিশেষ মূল্য হ্রাস! তবে এরই মধ্যে অনেকেই আবার ভ্রু কুঁচকে বোঝার চেষ্টা করছেন, ডিসকাউন্টের মাল কি ভালো হবে?
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিভিন্ন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা আলফ্রেড নোবেলের সম্পদের তেমন একটা প্রবৃদ্ধি হয়নি। ফলে নোবেল ফাউন্ডেশন বাধ্য হয়েছে নোবেল বিজয়ীদের প্রাইজমানিসহ বিভিন্ন খাতে খরচ কমাতে। এ বছর প্রাইজমানি এক কোটি ক্রোনা থেকে কমিয়ে ৮০ লাখ ক্রোনা করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা লারস হেইকেন্সতেন জানান, ভবিষ্যতে বিজয়ীদের প্রাইজমানির বাড়া-কমা নির্ধারিত হবে মুদ্রাস্ফীতির প্রবৃদ্ধির আনুপাতিক হারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। তবে আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতির তেমন উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে বলে মনে করছেন না তাঁরা। হেইকেন্সতেন বলেন, 'প্রাইজমানি বাড়ানোর জন্য অন্তত ১০টি বছর আমাদের অপেক্ষা করা উচিত।'
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকৃত নোবেল ফাউন্ডেশনের সম্পদের বাজারমূল্য ২০০৭ সালে ছিল ৩০০ কোটি ৬০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। অথচ ২০১১ সালে এই সম্পদ এসে দাঁড়ায় ৩০০ কোটি ক্রোনার চেয়ে কিছু কম। অর্থাৎ প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফাউন্ডেশন খরচ বাঁচানোর পথ ধরে।
প্রাইজমানির বাইরেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ খরচ হয় নোবেল সপ্তাহের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানকে ঘিরে। তবে এ ক্ষেত্রে এ বছরও ব্যয়সংকোচনের চিত্র কোথাও দেখা যাবে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ মাত্রায় মূল্য হ্রাসের সুযোগ দেওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান হেইকেন্সতেন। তবে ভ্রু কুঁচকালেও অনেকেই মূল্য হ্রাসের মাধ্যমে আয়োজনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। কারণ নোবেল পুরস্কারের আয়োজকদের একজন হতে পারা অনেকের কাছেই বহু সৌভাগ্যের বিষয়।
তবে অনুষ্ঠান আয়োজনে অনেক কম্পানিই বিশাল অঙ্কের অনুদানের প্রস্তাব দিলেও ফাউন্ডেশন তা নেয়নি। এ ব্যাপারে তারা সতর্কতা নিয়েছে। কারণ, কার কী উদ্দেশ্য, কেউ তো জানে না!
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিভিন্ন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা আলফ্রেড নোবেলের সম্পদের তেমন একটা প্রবৃদ্ধি হয়নি। ফলে নোবেল ফাউন্ডেশন বাধ্য হয়েছে নোবেল বিজয়ীদের প্রাইজমানিসহ বিভিন্ন খাতে খরচ কমাতে। এ বছর প্রাইজমানি এক কোটি ক্রোনা থেকে কমিয়ে ৮০ লাখ ক্রোনা করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা লারস হেইকেন্সতেন জানান, ভবিষ্যতে বিজয়ীদের প্রাইজমানির বাড়া-কমা নির্ধারিত হবে মুদ্রাস্ফীতির প্রবৃদ্ধির আনুপাতিক হারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। তবে আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতির তেমন উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে বলে মনে করছেন না তাঁরা। হেইকেন্সতেন বলেন, 'প্রাইজমানি বাড়ানোর জন্য অন্তত ১০টি বছর আমাদের অপেক্ষা করা উচিত।'
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকৃত নোবেল ফাউন্ডেশনের সম্পদের বাজারমূল্য ২০০৭ সালে ছিল ৩০০ কোটি ৬০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। অথচ ২০১১ সালে এই সম্পদ এসে দাঁড়ায় ৩০০ কোটি ক্রোনার চেয়ে কিছু কম। অর্থাৎ প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফাউন্ডেশন খরচ বাঁচানোর পথ ধরে।
প্রাইজমানির বাইরেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ খরচ হয় নোবেল সপ্তাহের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানকে ঘিরে। তবে এ ক্ষেত্রে এ বছরও ব্যয়সংকোচনের চিত্র কোথাও দেখা যাবে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ মাত্রায় মূল্য হ্রাসের সুযোগ দেওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান হেইকেন্সতেন। তবে ভ্রু কুঁচকালেও অনেকেই মূল্য হ্রাসের মাধ্যমে আয়োজনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। কারণ নোবেল পুরস্কারের আয়োজকদের একজন হতে পারা অনেকের কাছেই বহু সৌভাগ্যের বিষয়।
তবে অনুষ্ঠান আয়োজনে অনেক কম্পানিই বিশাল অঙ্কের অনুদানের প্রস্তাব দিলেও ফাউন্ডেশন তা নেয়নি। এ ব্যাপারে তারা সতর্কতা নিয়েছে। কারণ, কার কী উদ্দেশ্য, কেউ তো জানে না!
No comments