দোহায় বান কি মুন-চরমভাবাপন্ন জলবায়ুই এখন স্বাভাবিক জলবায়ু
বিশ্বজুড়ে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়াই বর্তমানে স্বাভাবিক আবহাওয়ায় পরিণত হয়েছে। এর ফলে মানবজাতি হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের মধ্যকার আলোচনা পুনরায় শুরুর উদ্দেশ্যে গত মঙ্গলবার দোহায় প্রায় ২০০ রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কিয়োটো চুক্তি অনুযায়ী, ২০১২ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩৫টি উন্নত দেশের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে আনার পদক্ষেপ ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় নতুন করে আলোচনা শুরুর চেষ্টা চালাচ্ছে জাতিসংঘ।
বৈঠকে বান কি মুন বলেন, এ বছর আর্কটিকের বরফের স্তর রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে। তা ছাড়া প্রবল ঝড় ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়াও দুর্যোগের লক্ষণ। চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউক্রেন, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে খরায় প্রধান খাদ্যশস্য নষ্ট হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, 'অস্বাভাবিক পরিস্থিতিই এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পরিণত হয়েছে। ধনী-দরিদ্র কেউই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। আমাদের জীবনযাত্রা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।'
কিয়োটো চুক্তি ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘ একটি নতুন চুক্তি প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে, যার পক্ষে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বের দেশগুলো একমত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তি হলে ২০২০ সাল থেকে তা কার্যকর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে কোপেনহেগেনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার উদ্দেশ্যে কিয়োটো চুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক ব্যর্থ হয়ে যায়। কিয়োটো চুক্তি অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বিশ্বের সব দেশ একযোগে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণের মাত্রা ১৯৯০ সালের চেয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য কাজ করার কথা ছিল। এ জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি সমন্বিত তহবিল গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে উন্নত বিশ্বের বেশ কিছু দেশ চুক্তিতে একমত না হওয়ায় ব্যর্থ হয়ে যায় এ পদক্ষেপ। সূত্র : রয়টার্স।
কিয়োটো চুক্তি অনুযায়ী, ২০১২ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩৫টি উন্নত দেশের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে আনার পদক্ষেপ ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় নতুন করে আলোচনা শুরুর চেষ্টা চালাচ্ছে জাতিসংঘ।
বৈঠকে বান কি মুন বলেন, এ বছর আর্কটিকের বরফের স্তর রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে। তা ছাড়া প্রবল ঝড় ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়াও দুর্যোগের লক্ষণ। চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউক্রেন, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে খরায় প্রধান খাদ্যশস্য নষ্ট হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, 'অস্বাভাবিক পরিস্থিতিই এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পরিণত হয়েছে। ধনী-দরিদ্র কেউই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। আমাদের জীবনযাত্রা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।'
কিয়োটো চুক্তি ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘ একটি নতুন চুক্তি প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে, যার পক্ষে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বের দেশগুলো একমত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তি হলে ২০২০ সাল থেকে তা কার্যকর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে কোপেনহেগেনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার উদ্দেশ্যে কিয়োটো চুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক ব্যর্থ হয়ে যায়। কিয়োটো চুক্তি অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বিশ্বের সব দেশ একযোগে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণের মাত্রা ১৯৯০ সালের চেয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য কাজ করার কথা ছিল। এ জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি সমন্বিত তহবিল গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে উন্নত বিশ্বের বেশ কিছু দেশ চুক্তিতে একমত না হওয়ায় ব্যর্থ হয়ে যায় এ পদক্ষেপ। সূত্র : রয়টার্স।
No comments