সিঙ্গুর মামলার রায় নিয়ে মন্তব্য-তৃণমূলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ফৌজদারি মামলা
পশ্চিমবঙ্গের কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ফৌজদারি মামলা শুরু করলেন কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি প্রতাপ কুমার রায় ও সুবল কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ বেচারামকে আগামী ১৮ ডিসেম্বর আদালতে তলব করে রুলিং দিয়েছেন।
রুলিংয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে ফৌজদারি মামলায় কেন তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে না, এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আইনজীবী ও কলকাতা পৌরসভার সাবেক মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন।
গত ২ ডিসেম্বর সিঙ্গুরের এক জনসভায় বেচারাম বলেছিলেন, 'সিপিএম এবং টাটাদের অনুগত বিচারকরাই কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গুর মামলায় সরকারকে হারিয়ে দিয়েছেন; কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় এখনো হয়নি।' মমতার মন্ত্রিসভার নতুন মুখ বেচারাম হুমকি দেন, 'সুপ্রিম কোর্টের রায় যদি সরকারের বিপক্ষে যায়, তবে গ্রামের মানুষকে নিয়ে জমি কিভাবে ফিরিয়ে আনতে হয়, সেই প্রস্তুতিও নেওয়া হবে।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ হিসেবে কয়েক দিন আগে যোগ দেন বেচারাম। শপথ নেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই তাঁর এমন মন্তব্যে নিয়ে নিজের দলের মধ্যেই তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শীর্ষস্থানীয় নেতারা দলের ভাবমূর্তি ব্যালান্স করার চেষ্টা করছেন। বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএম বেচারামের মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু করে দিয়েছে।
বেচারামের বক্তব্যের পর গত সোমবার আইনজীবী কল্লোল বসু প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানান, বেচারামের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার ফৌজদারি মামলা করা রুজু করা হোক। আদালত তখন তথ্যসহ হাইকোর্টে আবেদন করতে বলেন। গতকাল বেচারামের বক্তব্যসংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়।
বিকাশ বলেন, 'ডিভিশন বেঞ্চের কাছে আমরা বেচারাম মান্নার বক্তব্যের সিডি ও পেপার কাটিং জমা দিয়েছি। ১৮ ডিসেম্বর মন্ত্রীকে সশরীরে ডাকা হয়েছে। বুধবার মামলার শুনানি হবে।'
বিচারব্যবস্থাকে অভিযুক্ত করে এ ধরনের মন্তব্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতাই শুরু করেন। গত ১৪ আগস্ট বিধানসভায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, 'টাকা দিয়ে বিচার কেনা হয়।' তাঁর ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো রায় হয়নি। তবে বেচারামের বিরুদ্ধে রুল জারি হওয়ায় নতুন করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইন অবমাননার মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিকাশ।
সোমবার তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেচারামের বক্তব্যকে গুরুত্ব না দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, 'আইন আইনের পথেই চলবে। সিঙ্গুরের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আইনি পথেই হাঁটবে রাজ্য সরকার।'
গত ২ ডিসেম্বর সিঙ্গুরের এক জনসভায় বেচারাম বলেছিলেন, 'সিপিএম এবং টাটাদের অনুগত বিচারকরাই কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গুর মামলায় সরকারকে হারিয়ে দিয়েছেন; কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় এখনো হয়নি।' মমতার মন্ত্রিসভার নতুন মুখ বেচারাম হুমকি দেন, 'সুপ্রিম কোর্টের রায় যদি সরকারের বিপক্ষে যায়, তবে গ্রামের মানুষকে নিয়ে জমি কিভাবে ফিরিয়ে আনতে হয়, সেই প্রস্তুতিও নেওয়া হবে।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ হিসেবে কয়েক দিন আগে যোগ দেন বেচারাম। শপথ নেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই তাঁর এমন মন্তব্যে নিয়ে নিজের দলের মধ্যেই তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শীর্ষস্থানীয় নেতারা দলের ভাবমূর্তি ব্যালান্স করার চেষ্টা করছেন। বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএম বেচারামের মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু করে দিয়েছে।
বেচারামের বক্তব্যের পর গত সোমবার আইনজীবী কল্লোল বসু প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানান, বেচারামের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার ফৌজদারি মামলা করা রুজু করা হোক। আদালত তখন তথ্যসহ হাইকোর্টে আবেদন করতে বলেন। গতকাল বেচারামের বক্তব্যসংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়।
বিকাশ বলেন, 'ডিভিশন বেঞ্চের কাছে আমরা বেচারাম মান্নার বক্তব্যের সিডি ও পেপার কাটিং জমা দিয়েছি। ১৮ ডিসেম্বর মন্ত্রীকে সশরীরে ডাকা হয়েছে। বুধবার মামলার শুনানি হবে।'
বিচারব্যবস্থাকে অভিযুক্ত করে এ ধরনের মন্তব্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতাই শুরু করেন। গত ১৪ আগস্ট বিধানসভায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, 'টাকা দিয়ে বিচার কেনা হয়।' তাঁর ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো রায় হয়নি। তবে বেচারামের বিরুদ্ধে রুল জারি হওয়ায় নতুন করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইন অবমাননার মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিকাশ।
সোমবার তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেচারামের বক্তব্যকে গুরুত্ব না দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, 'আইন আইনের পথেই চলবে। সিঙ্গুরের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আইনি পথেই হাঁটবে রাজ্য সরকার।'
No comments