প্রয়োজনে সিরিয়ায় অভিযান চালাতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে সিরিয়ার সামরিক অভিযান চালাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। মার্কিন এক সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটেনের টাইমস অব লন্ডন পত্রিকা গত মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।
ওই সূত্র পত্রিকাটিকে জানিয়েছে, 'সে রকম কিছু ঘটলে প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে খুব বেশি আয়োজনের প্রয়োজন হবে না।' এদিকে প্রয়োজনে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলে প্রেসিডেন্ট আসাদ লাতিন আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
টাইমস অব লন্ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালাতে প্রস্তুত আছে। ওই সূত্র বলেছে, 'প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। তবে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে কী ঘটতে পারে, তা আগেভাগে বলা যাচ্ছে না। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।' এ অভিযানে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্য মিত্ররা থাকবে বলে ওই সূত্র দাবি করে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রতিবেশী দেশটির কার্যক্রম তারা খুব কাছ থেকে নজরদারি করছে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে আসাদকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ন্যাটো মহাসচিব আন্দ্রেস ফগ রাসমুসেন সতর্ক করার পরদিন নেতানিয়াহু এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন।
গত সোমবার রাসমুসেন বলেন, 'বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ এ ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিরীয় সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম জানিয়েছে, সিরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল আল-মিকদাদ গত সপ্তাহে কিউবা, ভেনিজুয়েলা ও ইকুয়েডরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রেসিডেন্ট আসাদের রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার ইস্যুতেই এ বৈঠকে হয়েছে। ফয়সাল ওই সব দেশের নেতাদের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়ে আসাদের লেখা চিঠিও পেঁৗছে দিয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট দেশের নেতারা কী বলেছেন, তা মিকদাদ জানাননি। ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসাদের পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত সপ্তাহে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ চিকিৎসার উদ্দেশে কিউবা যাওয়ার আগে এ চিঠিটি পেয়েছেন। তবে ভেনিজুয়েলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন করাই ছিল ওই চিঠির বিষয়বস্তু। রাজধানী কারাকাসে নিযুক্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত গাসান আব্বাস সিরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভেনিজুয়েলার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বৈঠক করার কথাও স্বীকার করেছেন।
আসাদের পক্ষ ছাড়লেন আরেক নেতা : সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা জিহাদ মাকদিসি প্রেসিডেন্ট আসাদের পক্ষ ত্যাগ করেছেন। গত সোমবার তিনি সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বলে খবর দিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। সূত্র : গার্ডিয়ান, টেলিগ্রাফ।
টাইমস অব লন্ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালাতে প্রস্তুত আছে। ওই সূত্র বলেছে, 'প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। তবে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে কী ঘটতে পারে, তা আগেভাগে বলা যাচ্ছে না। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।' এ অভিযানে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্য মিত্ররা থাকবে বলে ওই সূত্র দাবি করে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রতিবেশী দেশটির কার্যক্রম তারা খুব কাছ থেকে নজরদারি করছে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে আসাদকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ন্যাটো মহাসচিব আন্দ্রেস ফগ রাসমুসেন সতর্ক করার পরদিন নেতানিয়াহু এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন।
গত সোমবার রাসমুসেন বলেন, 'বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ এ ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিরীয় সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম জানিয়েছে, সিরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল আল-মিকদাদ গত সপ্তাহে কিউবা, ভেনিজুয়েলা ও ইকুয়েডরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রেসিডেন্ট আসাদের রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার ইস্যুতেই এ বৈঠকে হয়েছে। ফয়সাল ওই সব দেশের নেতাদের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়ে আসাদের লেখা চিঠিও পেঁৗছে দিয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট দেশের নেতারা কী বলেছেন, তা মিকদাদ জানাননি। ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসাদের পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত সপ্তাহে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ চিকিৎসার উদ্দেশে কিউবা যাওয়ার আগে এ চিঠিটি পেয়েছেন। তবে ভেনিজুয়েলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন করাই ছিল ওই চিঠির বিষয়বস্তু। রাজধানী কারাকাসে নিযুক্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত গাসান আব্বাস সিরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভেনিজুয়েলার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বৈঠক করার কথাও স্বীকার করেছেন।
আসাদের পক্ষ ছাড়লেন আরেক নেতা : সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা জিহাদ মাকদিসি প্রেসিডেন্ট আসাদের পক্ষ ত্যাগ করেছেন। গত সোমবার তিনি সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বলে খবর দিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। সূত্র : গার্ডিয়ান, টেলিগ্রাফ।
No comments