শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল- সিসিইউর মেঝেতে হূদেরাগীদের ঠাঁই
রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হূদেরাগ বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) মেঝেতে রেখে চলছে মুমূর্ষু হূদেরাগীদের চিকিৎসা। স্পর্শকাতর এ ইউনিটে প্রবেশ ও অবস্থান নিষিদ্ধ হলেও রোগীর স্বজন তা মানছে না।
রোগীর সংখ্যা ও স্বজনের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় কার্যত এ ইউনিটের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ ইউনিটের বর্তমান শয্যাসংখ্যা ১৬। গত মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে শয্যা ও মেঝেতে ২২ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের সঙ্গে অবস্থান করছে অর্ধশতাধিক দর্শনার্থী। দর্শনার্থীদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে চিকিৎসার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। রোগীকে দেখতে আসা শাহজাহান আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘হামরায় গাওয়ের লোক। এটি আসা যাবি না, সেটা কি হামরায় জানি?’
কর্তব্যরত চিকিৎসক হূদেরাগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহীদুল হক জানান, স্পর্শকাতর এই ইউনিটে বহিরাগত ও রোগীর স্বজনের প্রবেশ এবং অবস্থান নিষিদ্ধ হলেও তারা জোর করেই এখানে প্রবেশ করে। একজন রোগীর সঙ্গে তিন-চারজন পর্যন্ত লোক ইচ্ছামতো সময় অবস্থান করে। বাধা দিতে গিয়ে প্রায়ই নিরাপত্তকর্মীর সঙ্গে স্বজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও জানান, হূদেরাগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসাসেবা দিতে প্রচণ্ড সমস্যা হয়। কিন্তু রোগীর চাপ বাড়ায় বাধ্য হয়েই তাদের মেঝেতে রেখে সেবা দিতে হচ্ছে।
কর্তব্যরত অন্য চিকিৎসক আরিফুর রহমান জানান, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, সিসিইউতে প্রতি রোগীর জন্য সার্বক্ষণিক একজন সেবিকা দায়িত্বে থাকার কথা। কিন্তু এখানে ২২ জন রোগীর জন্য সেবিকা রয়েছেন মাত্র একজন।
হূদেরাগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিবলী হায়দার জানান, এই বিভাগে চারজন মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন। সিসিইউ, ওয়ার্ড ও বহির্বিভাগ মিলে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ জন রোগী দেখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। বিভাগের প্রধান মজিবর রহমান জানান, তাঁর বিভাগে তিন পালায় মাত্র ১০ জন সেবিকা দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে অনেকেই ছুটিতে থাকেন। এ বিভাগে আরও ১০ জন সেবিকার পদ বাড়ানো দরকার। এ ছাড়া ওয়ার্ডবয়, পিয়নসহ বিভিন্ন কর্মচারীর প্রবল সংকট রয়েছে এখানে। এ বিভাগে চিকিৎসক প্রয়োজন কমপক্ষে আটজন।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আফজালুর রহমান জানান, একজন নিরাপত্তারক্ষীকে সিসিইউ ও ওয়ার্ড সামলাতে হচ্ছে। এ কারণে রোগীর স্বজনের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। হূদেরাগ বিভাগে কমপক্ষে ছয়জন নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন। পুরো হাসপাতালে সেবিকা, চিকিৎসকসহ জনবলের সংকট থাকার পাশাপাশি আরও পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ ইউনিটের বর্তমান শয্যাসংখ্যা ১৬। গত মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে শয্যা ও মেঝেতে ২২ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের সঙ্গে অবস্থান করছে অর্ধশতাধিক দর্শনার্থী। দর্শনার্থীদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে চিকিৎসার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। রোগীকে দেখতে আসা শাহজাহান আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘হামরায় গাওয়ের লোক। এটি আসা যাবি না, সেটা কি হামরায় জানি?’
কর্তব্যরত চিকিৎসক হূদেরাগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহীদুল হক জানান, স্পর্শকাতর এই ইউনিটে বহিরাগত ও রোগীর স্বজনের প্রবেশ এবং অবস্থান নিষিদ্ধ হলেও তারা জোর করেই এখানে প্রবেশ করে। একজন রোগীর সঙ্গে তিন-চারজন পর্যন্ত লোক ইচ্ছামতো সময় অবস্থান করে। বাধা দিতে গিয়ে প্রায়ই নিরাপত্তকর্মীর সঙ্গে স্বজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও জানান, হূদেরাগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসাসেবা দিতে প্রচণ্ড সমস্যা হয়। কিন্তু রোগীর চাপ বাড়ায় বাধ্য হয়েই তাদের মেঝেতে রেখে সেবা দিতে হচ্ছে।
কর্তব্যরত অন্য চিকিৎসক আরিফুর রহমান জানান, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, সিসিইউতে প্রতি রোগীর জন্য সার্বক্ষণিক একজন সেবিকা দায়িত্বে থাকার কথা। কিন্তু এখানে ২২ জন রোগীর জন্য সেবিকা রয়েছেন মাত্র একজন।
হূদেরাগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিবলী হায়দার জানান, এই বিভাগে চারজন মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন। সিসিইউ, ওয়ার্ড ও বহির্বিভাগ মিলে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ জন রোগী দেখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। বিভাগের প্রধান মজিবর রহমান জানান, তাঁর বিভাগে তিন পালায় মাত্র ১০ জন সেবিকা দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে অনেকেই ছুটিতে থাকেন। এ বিভাগে আরও ১০ জন সেবিকার পদ বাড়ানো দরকার। এ ছাড়া ওয়ার্ডবয়, পিয়নসহ বিভিন্ন কর্মচারীর প্রবল সংকট রয়েছে এখানে। এ বিভাগে চিকিৎসক প্রয়োজন কমপক্ষে আটজন।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আফজালুর রহমান জানান, একজন নিরাপত্তারক্ষীকে সিসিইউ ও ওয়ার্ড সামলাতে হচ্ছে। এ কারণে রোগীর স্বজনের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। হূদেরাগ বিভাগে কমপক্ষে ছয়জন নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন। পুরো হাসপাতালে সেবিকা, চিকিৎসকসহ জনবলের সংকট থাকার পাশাপাশি আরও পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
No comments