ইসরায়েলের অভিযোগ-বসতির বিরুদ্ধে সরব হতে ইউরোপকে উসকানি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নতুন বসতি নির্মাণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব হতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র_ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ করেছেন।
ইউরোপের পাঁচটি দেশ তাদের দেশে নিয়োজিত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের ডেকে বসতি নির্মাণের পরিকল্পনার নিন্দা জানানোর পর ইসরায়েল এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে পরিকল্পনা বাতিল না করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে 'রাষ্ট্রের' মর্যাদা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরে নতুন তিন হাজার বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। জাতিসংঘ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ এ পরিকল্পনার সমালোচনা করে এবং তা বাতিলের দাবি জানায়। তবে ইসরায়েল তাদের পরিকল্পনায় অটল। আন্তর্জাতিক চাপ অগ্রাহ্য করেই পুরনো দুটি বসতি পরিকল্পনাও বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে তারা। ওই তিন হাজার বাড়ি ছাড়াও পূর্ব জেরুজালেমের উত্তরাঞ্চলের ইহুদি বসতি রামোত স্লোমোতে এক হাজার ৬০০টি এবং দক্ষিণে গিভাত হামাতোস বসতিতে আরো দুই হাজার ৬০০ বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে তারা। রামাত স্লোমোর বসতি নিয়ে ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েনে জড়িয়েছিল ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আইনে অধীকৃত অঞ্চলে বসতি নির্মাণ অবৈধ।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, সুইডেন, স্পেন ও ডেনমার্ক তাদের দেশে নিয়োজিত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের তলব করে বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল এবং মিসরও একই পদক্ষেপ নেয়। রাশিয়া, জার্মানি, জাপানসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ বসতি পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। ইসরায়েলি কূটনৈতিকদের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ইয়েদিয়ৎ আহরনৎ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া ইউরোপীয় দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এভাবে খেপে উঠতে পারে না। ওই পত্রিকার কলামিস্ট শিমন শিফার লিখেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়েই যে ইউরোপ এ ধরনের আচরণ করছে, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। হোয়াইট হাউস নেতানিয়াহু সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এবং প্রয়োজনে শাস্তি দেওয়ার কর্তৃত্ব ইউরোপের হাতে তুলে দিয়েছে।'
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইউরোপকে সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নামার নির্দেশ দেয়নি। তবে প্রয়োজনে ইউরোপ কোনো ব্যবস্থা নিলে তা অনুমোদন করা হবে_এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। তার মতে, 'এমনটা ঘটার সম্ভাবনাই বেশি যে আমেরিকানরা এ ব্যাপারে জানে এবং এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি জানায়নি। এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে সমাঝোতাও হয়ে থাকতে পারে।' তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র টমি ভিয়েটর জানান, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
এদিকে ইসরায়েল বসতির পরিকল্পনা বাতিল না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে ইউরোপ। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে বলেন, 'পরিকল্পনা বাতিল না করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা আরো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করব।'
বসতি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার উদ্দেশে গতকাল বুধবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইহুদি বসতির সঙ্গে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাতের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার এবং পৃথিবী থেকে একে মুছে ফেলার ইচ্ছার মধ্যেই সংঘাতের মূল নিহিত। সূত্র : এএফপি।
জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে 'রাষ্ট্রের' মর্যাদা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরে নতুন তিন হাজার বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। জাতিসংঘ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ এ পরিকল্পনার সমালোচনা করে এবং তা বাতিলের দাবি জানায়। তবে ইসরায়েল তাদের পরিকল্পনায় অটল। আন্তর্জাতিক চাপ অগ্রাহ্য করেই পুরনো দুটি বসতি পরিকল্পনাও বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে তারা। ওই তিন হাজার বাড়ি ছাড়াও পূর্ব জেরুজালেমের উত্তরাঞ্চলের ইহুদি বসতি রামোত স্লোমোতে এক হাজার ৬০০টি এবং দক্ষিণে গিভাত হামাতোস বসতিতে আরো দুই হাজার ৬০০ বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে তারা। রামাত স্লোমোর বসতি নিয়ে ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েনে জড়িয়েছিল ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আইনে অধীকৃত অঞ্চলে বসতি নির্মাণ অবৈধ।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, সুইডেন, স্পেন ও ডেনমার্ক তাদের দেশে নিয়োজিত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের তলব করে বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল এবং মিসরও একই পদক্ষেপ নেয়। রাশিয়া, জার্মানি, জাপানসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ বসতি পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। ইসরায়েলি কূটনৈতিকদের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ইয়েদিয়ৎ আহরনৎ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া ইউরোপীয় দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এভাবে খেপে উঠতে পারে না। ওই পত্রিকার কলামিস্ট শিমন শিফার লিখেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়েই যে ইউরোপ এ ধরনের আচরণ করছে, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। হোয়াইট হাউস নেতানিয়াহু সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এবং প্রয়োজনে শাস্তি দেওয়ার কর্তৃত্ব ইউরোপের হাতে তুলে দিয়েছে।'
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইউরোপকে সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নামার নির্দেশ দেয়নি। তবে প্রয়োজনে ইউরোপ কোনো ব্যবস্থা নিলে তা অনুমোদন করা হবে_এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। তার মতে, 'এমনটা ঘটার সম্ভাবনাই বেশি যে আমেরিকানরা এ ব্যাপারে জানে এবং এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি জানায়নি। এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে সমাঝোতাও হয়ে থাকতে পারে।' তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র টমি ভিয়েটর জানান, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
এদিকে ইসরায়েল বসতির পরিকল্পনা বাতিল না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে ইউরোপ। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে বলেন, 'পরিকল্পনা বাতিল না করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা আরো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করব।'
বসতি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার উদ্দেশে গতকাল বুধবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইহুদি বসতির সঙ্গে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাতের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার এবং পৃথিবী থেকে একে মুছে ফেলার ইচ্ছার মধ্যেই সংঘাতের মূল নিহিত। সূত্র : এএফপি।
No comments