‘ডিক্রি বাতিল না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে’- মুরসির প্রাসাদ ঘিরে রেখেছে বিরোধীরা
মিসরের রাজধানী কায়রোয় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ক্ষমতা বৃদ্ধিসংক্রান্ত আদেশ (ডিক্রি) বাতিল না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকারবিরোধীরা।
দেশটির নতুন সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রাসাদের চারপাশে গত মঙ্গলবার রাত থেকে অবস্থান নেয়। তবে প্রাসাদের আশপাশের এলাকায় গতকাল বুধবার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট মুরসি মঙ্গলবার রাতে প্রাসাদ ছেড়ে গেলেও গতকাল তিনি প্রাসাদে ফিরে কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁর এক সহযোগী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১৮ ব্যক্তি আহত হয়। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয় বলে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে। ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট মুরসির প্রতি ওই বিক্ষোভে আহ্বান জানানো হয়। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের উৎখাতের দাবিতেও একই ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের অনেকে সারা রাত প্রাসাদ এলাকায় অবস্থান করে।
ইসরা ওয়াফিদ নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমরা কথা বলার অধিকার হারিয়ে ফেলব। এমনকি আমাদের মতামত ব্যক্ত করার জন্য কোনো আদালতও থাকবে না। প্রেসিডেন্ট নিজেকে একটি দুর্গে পরিণত করেছেন। যদিও তিনি বলছেন এ দুর্গ অস্থায়ী। আমরা তা বিশ্বাস করতে পারি না। আমরা ৩০ বছর ধরে প্রতারিত হয়েছি। তাই মুরসিকে বিশ্বাস করি না। আসলে তিনিও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকবেন।’
মুসলিম ব্রাদারহুড ও ইসলামপন্থী অন্যান্য দলের সমর্থনপুষ্ট প্রেসিডেন্টের পতনের দাবিতে মিসরে কয়েক দিন ধরে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দৈনিক সংবাদপত্র আল শুরুক শিরোনাম করেছে, ‘চূড়ান্ত সংকেত, প্রেসিডেন্ট অবরুদ্ধ’। অপরদিকে স্বাধীন দৈনিক আল-ওয়াতান লিখেছে, ‘বিপ্লব প্রেসিডেন্টের দোরগোড়ায়’। সর্বশেষ বিক্ষোভের ফলে মিসরের রাজনৈতিক সংকট নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী সবাইকে শান্ত থাকার জন্য এক টেলিভিশন বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়ায়ও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
প্রেসিডেন্ট মুরসি নিজ ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধি করে গত ২২ নভেম্বর একটি ডিক্রি জারি করেন। ওই ক্ষমতাবলে তিনি দেশটির নতুন সংবিধানের খসড়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলতি মাসেই একটি গণভোটের আহ্বান করতে পারবেন। ওই সংবিধান প্রণয়নকারী পরিষদে ইসলামপন্থীদের প্রাধান্য ছিল। তাই দেশটির উদারপন্থী, বামপন্থী ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারা ওই খসড়া সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
খসড়া সংবিধানটি নিয়ে দেশটির উদারপন্থী ও কট্টরপন্থী মুসলিমদের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, মুরসিকে মিসরের সব মানুষের প্রেসিডেন্ট হতে হবে। তিনি কেবল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রেসিডেন্ট নন। এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি।
বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট মুরসি মঙ্গলবার রাতে প্রাসাদ ছেড়ে গেলেও গতকাল তিনি প্রাসাদে ফিরে কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁর এক সহযোগী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১৮ ব্যক্তি আহত হয়। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয় বলে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে। ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট মুরসির প্রতি ওই বিক্ষোভে আহ্বান জানানো হয়। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের উৎখাতের দাবিতেও একই ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের অনেকে সারা রাত প্রাসাদ এলাকায় অবস্থান করে।
ইসরা ওয়াফিদ নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমরা কথা বলার অধিকার হারিয়ে ফেলব। এমনকি আমাদের মতামত ব্যক্ত করার জন্য কোনো আদালতও থাকবে না। প্রেসিডেন্ট নিজেকে একটি দুর্গে পরিণত করেছেন। যদিও তিনি বলছেন এ দুর্গ অস্থায়ী। আমরা তা বিশ্বাস করতে পারি না। আমরা ৩০ বছর ধরে প্রতারিত হয়েছি। তাই মুরসিকে বিশ্বাস করি না। আসলে তিনিও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকবেন।’
মুসলিম ব্রাদারহুড ও ইসলামপন্থী অন্যান্য দলের সমর্থনপুষ্ট প্রেসিডেন্টের পতনের দাবিতে মিসরে কয়েক দিন ধরে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দৈনিক সংবাদপত্র আল শুরুক শিরোনাম করেছে, ‘চূড়ান্ত সংকেত, প্রেসিডেন্ট অবরুদ্ধ’। অপরদিকে স্বাধীন দৈনিক আল-ওয়াতান লিখেছে, ‘বিপ্লব প্রেসিডেন্টের দোরগোড়ায়’। সর্বশেষ বিক্ষোভের ফলে মিসরের রাজনৈতিক সংকট নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী সবাইকে শান্ত থাকার জন্য এক টেলিভিশন বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়ায়ও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
প্রেসিডেন্ট মুরসি নিজ ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধি করে গত ২২ নভেম্বর একটি ডিক্রি জারি করেন। ওই ক্ষমতাবলে তিনি দেশটির নতুন সংবিধানের খসড়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলতি মাসেই একটি গণভোটের আহ্বান করতে পারবেন। ওই সংবিধান প্রণয়নকারী পরিষদে ইসলামপন্থীদের প্রাধান্য ছিল। তাই দেশটির উদারপন্থী, বামপন্থী ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারা ওই খসড়া সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
খসড়া সংবিধানটি নিয়ে দেশটির উদারপন্থী ও কট্টরপন্থী মুসলিমদের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, মুরসিকে মিসরের সব মানুষের প্রেসিডেন্ট হতে হবে। তিনি কেবল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রেসিডেন্ট নন। এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি।
No comments