দেশের মাটিতে আলোচনা হতে আপত্তি কোথায়?- আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লন্ডন সংলাপ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যে পরিপক্ব হয়নি, দেশের সমস্যা নিয়ে বিদেশের মাটিতে আলোচনাই তার প্রমাণ। সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাংলাদেশবিষয়ক সর্বদলীয় কমিটির উদ্যোগে হাউস অব কমন্সের কোর্ট ক্লিউস হাউসে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতারা অংশ নেন।
ব্রিটিশ এমপিদের উপস্থিতিতে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তাঁরা দুই দলই আলোচনায় বসতে সম্মত হন বলে লন্ডন থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের সদস্য ব্যারনেস পলাউদ্দিন বলেছেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিরোধ নিয়ে আলোচনার জন্য লন্ডনে আসতে হয়।’ এ মন্তব্যে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বোধোদয় ঘটবে কি না জানি না। তবে, এটি যেকোনো স্বাধীন দেশের জন্য লজ্জাজনক। বিদেশের মাটিতে রাজনৈতিক আলোচনা হয় যখন দেশটিতে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশে সে রকম কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব না হওয়া সত্ত্বেও দুই প্রধান দলের নেতারা বসেন না, কথা বলেন না।
বিরোধী দল বলে দিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া নির্বাচন হবে না। অন্যদিকে সরকারি দলও সংবিধানের বাইরে কিছু মানতে নারাজ। এ অচলাবস্থা কাটাতে আস্থার পরিবেশ গড়ে তুলতে আলোচনার বিকল্প নেই। আশার কথা, সরকারি ও বিরোধী দলের নেতারা বিদেশের মাটিতে হলেও আলোচনায় সম্মত হয়েছেন। বিএনপি আগামী সংসদে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা দুই দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, আলোচনার মাধ্যমে দেশটিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগ্রহ ও ধৈর্য হারাবে।
দেশের মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব আমলে না নিলেও বিদেশি বন্ধুদের কথাকে নিশ্চয়ই ফেলে দেবেন না। সরকারি দল যখন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তখন বিরোধী দলের উচিত হবে সংসদে গিয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করা। বিদেশে যদি দুই দলের মধ্যে আলোচনা হতে পারে, দেশের মাটিতে হতে আপত্তি কোথায়? সরকারি দলকেও বুঝতে হবে ‘অন্যান্য দেশে যেই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় সেই পদ্ধতিতে এখানেও হবে’ বলে গোঁ ধরে বসে থাকলে চলবে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানে আসতে হবে।
ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের সদস্য ব্যারনেস পলাউদ্দিন বলেছেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিরোধ নিয়ে আলোচনার জন্য লন্ডনে আসতে হয়।’ এ মন্তব্যে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বোধোদয় ঘটবে কি না জানি না। তবে, এটি যেকোনো স্বাধীন দেশের জন্য লজ্জাজনক। বিদেশের মাটিতে রাজনৈতিক আলোচনা হয় যখন দেশটিতে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশে সে রকম কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব না হওয়া সত্ত্বেও দুই প্রধান দলের নেতারা বসেন না, কথা বলেন না।
বিরোধী দল বলে দিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া নির্বাচন হবে না। অন্যদিকে সরকারি দলও সংবিধানের বাইরে কিছু মানতে নারাজ। এ অচলাবস্থা কাটাতে আস্থার পরিবেশ গড়ে তুলতে আলোচনার বিকল্প নেই। আশার কথা, সরকারি ও বিরোধী দলের নেতারা বিদেশের মাটিতে হলেও আলোচনায় সম্মত হয়েছেন। বিএনপি আগামী সংসদে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা দুই দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, আলোচনার মাধ্যমে দেশটিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগ্রহ ও ধৈর্য হারাবে।
দেশের মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব আমলে না নিলেও বিদেশি বন্ধুদের কথাকে নিশ্চয়ই ফেলে দেবেন না। সরকারি দল যখন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তখন বিরোধী দলের উচিত হবে সংসদে গিয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করা। বিদেশে যদি দুই দলের মধ্যে আলোচনা হতে পারে, দেশের মাটিতে হতে আপত্তি কোথায়? সরকারি দলকেও বুঝতে হবে ‘অন্যান্য দেশে যেই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় সেই পদ্ধতিতে এখানেও হবে’ বলে গোঁ ধরে বসে থাকলে চলবে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানে আসতে হবে।
No comments