আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী- পোশাকশিল্পের সুনাম রক্ষার দায়িত্ব সবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আশুলিয়ার পোশাক কারখানার মর্মান্তিক প্রাণহানির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
পোশাকশিল্পের সুনাম রক্ষার দায়িত্ব সবার।
গতকাল বুধবার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট, ক্যাটালিস্ট অ্যান্ড বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বিএএসআইএস) যৌথভাবে ‘পজিশনিং বাংলাদেশ: ব্র্যান্ডিং ফর বিজনেস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের পোশাকশিল্প আজ বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছে। এই সুনাম যাতে নষ্ট না হয়, সে দায়িত্ব আমাদের সবার। এ জন্য আমি শ্রমিক, মালিক, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাই।’ দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে অর্জিত সুনাম সামান্য ভুল বা অবহেলার কারণে নিমেষেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ ব্যাপারে সামান্যতম ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটি দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক ভাবমূর্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাবমূর্তি পারস্পরিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগকারীদের প্রতিরক্ষায় বাংলাদেশকে ২০তম দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ ক্ষেত্রে ভারত, চীন ও ভিয়েতনামের অবস্থান বাংলাদেশের পেছনে। এ দেশ এখন পৃথিবীর অন্যতম বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় স্থান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, বিএএসআইএসের সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর ও সুইস রাষ্ট্রদূত উরস হেরেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।ডেনমার্কের মন্ত্রীর সাক্ষাৎ: ডেনমার্কের বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী পিয়ে ওসলে জের গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, নদী খনন, জ্বালানি এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে মধ্য আয়ের দেশ হবে: আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সম্মেলনের ‘টেস্টিমোনিয়ালস অব ইন-কান্ট্রি অ্যান্ড এক্স-কান্ট্রি এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং’ শীর্ষক বিকেলের অধিবেশনে বক্তারা বলেন, পোশাকশিল্পের পর তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
এই অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও ওয়াজেদ কনসাল্টিংয়ের প্রেসিডেন্ট সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা আইটিসির বাজার উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক এনডার্স আইরয়। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বক্তৃতা করেন।
মূল প্রবন্ধে সজীব ওয়াজেদ বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ খাতকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করে।
গতকাল বুধবার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট, ক্যাটালিস্ট অ্যান্ড বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বিএএসআইএস) যৌথভাবে ‘পজিশনিং বাংলাদেশ: ব্র্যান্ডিং ফর বিজনেস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের পোশাকশিল্প আজ বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছে। এই সুনাম যাতে নষ্ট না হয়, সে দায়িত্ব আমাদের সবার। এ জন্য আমি শ্রমিক, মালিক, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাই।’ দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে অর্জিত সুনাম সামান্য ভুল বা অবহেলার কারণে নিমেষেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ ব্যাপারে সামান্যতম ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটি দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক ভাবমূর্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাবমূর্তি পারস্পরিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগকারীদের প্রতিরক্ষায় বাংলাদেশকে ২০তম দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ ক্ষেত্রে ভারত, চীন ও ভিয়েতনামের অবস্থান বাংলাদেশের পেছনে। এ দেশ এখন পৃথিবীর অন্যতম বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় স্থান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, বিএএসআইএসের সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর ও সুইস রাষ্ট্রদূত উরস হেরেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।ডেনমার্কের মন্ত্রীর সাক্ষাৎ: ডেনমার্কের বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী পিয়ে ওসলে জের গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, নদী খনন, জ্বালানি এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে মধ্য আয়ের দেশ হবে: আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সম্মেলনের ‘টেস্টিমোনিয়ালস অব ইন-কান্ট্রি অ্যান্ড এক্স-কান্ট্রি এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং’ শীর্ষক বিকেলের অধিবেশনে বক্তারা বলেন, পোশাকশিল্পের পর তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
এই অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও ওয়াজেদ কনসাল্টিংয়ের প্রেসিডেন্ট সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা আইটিসির বাজার উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক এনডার্স আইরয়। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বক্তৃতা করেন।
মূল প্রবন্ধে সজীব ওয়াজেদ বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ খাতকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করে।
No comments