‘একাত্তরে মুজাহিদ পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করতেন’
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার জবানবন্দি দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের অষ্টম সাক্ষী মীর লুৎফর রহমান। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, একাত্তরে মুজাহিদ পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করতেন।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও মো. শাহিনুর ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ মীর লুৎফর রহমানের জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোকলেছুর রহমান। মুজাহিদ এ সময় আসামির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
জবানবন্দিতে মীর লুৎফর রহমান (৫৮) বলেন, তাঁর বাড়ি ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ঝিলটুলিতে। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি নবম শ্রেণীতে পড়তেন। একাত্তরে ফরিদপুরের মুজিব সড়কে (তৎকালীন জিন্নাহ অ্যাভিনিউ) তাঁদের একটি বৈদ্যুতিক ও সাইকেলের যন্ত্রাংশের দোকান ছিল। যেদিন ফরিদপুরে পাকিস্তানি সেনারা যায়, সেদিন পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে আলবদর, রাজাকার বাহিনীর লোকজন তাঁদের দোকান লুট ও অগ্নিসংযোগ করে। মুজাহিদ, আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, কালু বিহারি প্রমুখ পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করতেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী বলেন, একাত্তরে মুজাহিদ ইসলামী ছাত্রসংঘের (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন) নেতা ছিলেন। সে সময় তাঁকে একটি জিপে করে ফরিদপুর শহরে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। তিনি তলোয়ার হাতে ভিলেনের মতো চলাফেরা করতেন। তিনি প্রায়ই ফরিদপুর থেকে ঢাকায় যেতেন। ফরিদপুর সার্কিট হাউসে গিয়ে তিনি কাকে কাকে ধরতে হবে, তা নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। তাঁর সঙ্গে বাচ্চু রাজাকারকে দেখা যেত।
মীর লুৎফর বলেন, তাঁর বাড়ি থেকে ১০০-১৫০ গজ দূরে মুন্নুদের বাড়ি। মুজাহিদ ও রাজাকাররা ওই বাড়ি তল্লাশি করে মুন্নুকে না পেয়ে তাঁর ভাই নান্নুকে ধরে নিয়ে যায়। নান্নুকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে তিনি শুনেছেন।
জবানবন্দি শেষে লুৎফরকে জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মুন্সী আহসান কবীর। আজ বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষ তাঁকে আবার জেরা করবে।
জবানবন্দিতে মীর লুৎফর রহমান (৫৮) বলেন, তাঁর বাড়ি ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ঝিলটুলিতে। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি নবম শ্রেণীতে পড়তেন। একাত্তরে ফরিদপুরের মুজিব সড়কে (তৎকালীন জিন্নাহ অ্যাভিনিউ) তাঁদের একটি বৈদ্যুতিক ও সাইকেলের যন্ত্রাংশের দোকান ছিল। যেদিন ফরিদপুরে পাকিস্তানি সেনারা যায়, সেদিন পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে আলবদর, রাজাকার বাহিনীর লোকজন তাঁদের দোকান লুট ও অগ্নিসংযোগ করে। মুজাহিদ, আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, কালু বিহারি প্রমুখ পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করতেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী বলেন, একাত্তরে মুজাহিদ ইসলামী ছাত্রসংঘের (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন) নেতা ছিলেন। সে সময় তাঁকে একটি জিপে করে ফরিদপুর শহরে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। তিনি তলোয়ার হাতে ভিলেনের মতো চলাফেরা করতেন। তিনি প্রায়ই ফরিদপুর থেকে ঢাকায় যেতেন। ফরিদপুর সার্কিট হাউসে গিয়ে তিনি কাকে কাকে ধরতে হবে, তা নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। তাঁর সঙ্গে বাচ্চু রাজাকারকে দেখা যেত।
মীর লুৎফর বলেন, তাঁর বাড়ি থেকে ১০০-১৫০ গজ দূরে মুন্নুদের বাড়ি। মুজাহিদ ও রাজাকাররা ওই বাড়ি তল্লাশি করে মুন্নুকে না পেয়ে তাঁর ভাই নান্নুকে ধরে নিয়ে যায়। নান্নুকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে তিনি শুনেছেন।
জবানবন্দি শেষে লুৎফরকে জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মুন্সী আহসান কবীর। আজ বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষ তাঁকে আবার জেরা করবে।
No comments