আ.লীগসহ ১৪ দলের টানা কর্মসূচি থাকবে by আনোয়ার হোসেন
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি সামনে রেখে আগামী মার্চ পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ দখলে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
এর মধ্য দিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা ও জামায়াতে ইসলামীর সহিংস তৎপরতা ঠেকাতে ‘মাঠ দখলের’ পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের সাংগঠনিক প্রস্তুতিও নিয়ে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ জন্য ১৪ দলের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের একক কর্মসূচিও থাকবে বলে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। দলটি শিগগিরই জাতীয় কাউন্সিলও সেরে ফেলতে চায়। ২৯ ডিসেম্বরই কাউন্সিল হওয়ার কথা রয়েছে।
১৪ দলের টানা কর্মসূচির প্রথমটি আজ শনিবার গণমিছিলের মাধ্যমে শুরু হবে। রাজধানীসহ আজ সারা দেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে গণমিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বলা হলেও এই কর্মসূচি মূলত বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির পাল্টা জবাব। এই কর্মসূচিতে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আজকের গণমিছিল থেকে ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। ১৪ দলের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বড় ধরনের সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি মাথায় আছে। মার্চ পর্যন্ত টানা কর্মসূচি হবে। আজ গণমিছিলের আগে বসে ঠিক করা হবে।’
আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, কর্মসূচির প্রায় সবই নেওয়া হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কেন্দ্র করে। কারণ, এটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়ায় মানুষের আবেগ কাজ করবে। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বলে এখানে সংগঠিত হওয়া সহজ।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের যত ষড়যন্ত্র হবে, আমাদের কর্মসূচিও ততই বৃদ্ধি পাবে। আমরা নতুন প্রজন্মসহ জনগণকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আবার তাদের নিয়ে মাঠে থাকব।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আরেক নেতা বলেন, এত দিন বিরোধী দলের আন্দোলন-কর্মসূচিকে পাত্তা দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন আর বিরোধী দলের কর্মসূচি হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। কারণ, জামায়াতসহ বিএনপি যেভাবে হরতাল-অবরোধ ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে; সেটা অব্যাহত থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল কমে যাবে। এর প্রভাব পড়তে পারে সরকারি দলের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও। এ জন্য কর্মসূচির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বিরোধী দলকেও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের সাংগঠনিক প্রস্তুতিও হয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ।
পুরোনোরাও সক্রিয়: ‘সংস্কারবাদী’ হিসেবে আওয়ামী লীগের যেসব জ্যেষ্ঠ নেতাকে সরকারে ঠাঁই দেওয়া হয়নি এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের আবারও সক্রিয় করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ১৪ দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোটকে সক্রিয় করার লক্ষ্যে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর এই কর্মসূচি ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের উপদেষ্টা পরিষদের দুজন সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকে। আজকের গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে এই দুজন জ্যেষ্ঠ নেতা গত এক সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই ১৪ দলের শরিক ও সমমনাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠকসহ সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়েছেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও টাঙ্গাইলের উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকগুলোতেও আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তাঁরা দুজনই আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য। ২০০৯ সালে দলের সভাপতিমণ্ডলীর পদ থেকে তাঁদের সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিলে এই দুই নেতাকে আবার গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে দলে আলোচনা রয়েছে।
১৪ দলের টানা কর্মসূচির প্রথমটি আজ শনিবার গণমিছিলের মাধ্যমে শুরু হবে। রাজধানীসহ আজ সারা দেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে গণমিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বলা হলেও এই কর্মসূচি মূলত বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির পাল্টা জবাব। এই কর্মসূচিতে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আজকের গণমিছিল থেকে ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। ১৪ দলের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বড় ধরনের সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি মাথায় আছে। মার্চ পর্যন্ত টানা কর্মসূচি হবে। আজ গণমিছিলের আগে বসে ঠিক করা হবে।’
আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, কর্মসূচির প্রায় সবই নেওয়া হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কেন্দ্র করে। কারণ, এটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়ায় মানুষের আবেগ কাজ করবে। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বলে এখানে সংগঠিত হওয়া সহজ।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের যত ষড়যন্ত্র হবে, আমাদের কর্মসূচিও ততই বৃদ্ধি পাবে। আমরা নতুন প্রজন্মসহ জনগণকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আবার তাদের নিয়ে মাঠে থাকব।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আরেক নেতা বলেন, এত দিন বিরোধী দলের আন্দোলন-কর্মসূচিকে পাত্তা দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন আর বিরোধী দলের কর্মসূচি হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। কারণ, জামায়াতসহ বিএনপি যেভাবে হরতাল-অবরোধ ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে; সেটা অব্যাহত থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল কমে যাবে। এর প্রভাব পড়তে পারে সরকারি দলের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও। এ জন্য কর্মসূচির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বিরোধী দলকেও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের সাংগঠনিক প্রস্তুতিও হয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ।
পুরোনোরাও সক্রিয়: ‘সংস্কারবাদী’ হিসেবে আওয়ামী লীগের যেসব জ্যেষ্ঠ নেতাকে সরকারে ঠাঁই দেওয়া হয়নি এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের আবারও সক্রিয় করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ১৪ দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোটকে সক্রিয় করার লক্ষ্যে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর এই কর্মসূচি ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের উপদেষ্টা পরিষদের দুজন সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকে। আজকের গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে এই দুজন জ্যেষ্ঠ নেতা গত এক সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই ১৪ দলের শরিক ও সমমনাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠকসহ সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়েছেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও টাঙ্গাইলের উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকগুলোতেও আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তাঁরা দুজনই আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য। ২০০৯ সালে দলের সভাপতিমণ্ডলীর পদ থেকে তাঁদের সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিলে এই দুই নেতাকে আবার গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে দলে আলোচনা রয়েছে।
No comments