এডিআরের গবেষণা প্রতিবেদন- ভারতে ধর্ষণে জড়িত অনেকেই নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন
ভারতে অন্তত ২০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা দেশটির বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। এডিআরের ওই গবেষণা প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।
এডিআরের গবেষণায় আরও বলা হয়, ধর্ষণ ছাড়াও নারী নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে—এমন ২৬০ ব্যক্তিকে নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে।
গত রোববার দক্ষিণ দিল্লিতে উত্তরাখন্ডের ২৩ বছর বয়সী মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্রী চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন। এরপর ওই ছাত্রী ও তাঁর সঙ্গের ছেলেবন্ধুকে নৃশংসভাবে মারধর করে তাঁদের চলন্ত বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওই ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে এডিআরের প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে ধর্ষণকারীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ আনা হলো।
এডিআরের প্রতিষ্ঠাতা জগদীপ ছোকার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ২০ ব্যক্তিকে বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছে। বিষয়টি হতাশাজনক। এ ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। যে রাজনীতিবিদেরা ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছেন, তাঁরাই আবার ধর্ষণকারীদের মদদ দিচ্ছেন। এটা ভণ্ডামি।
নয়াদিল্লিতে ওই ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দেশটির রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের সামনে গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে। ধর্ষণের শিকার সেই তরুণী এখন একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
ওই গণধর্ষণের ঘটনায় গত মঙ্গলবার ভারতের পার্লামেন্টে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সদস্যরা এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দোষী ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান।
গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫: নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেলের ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় বাসের চালক, ব্যায়ামাগারের প্রশিক্ষক, ফলবিক্রেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দিল্লি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। দিল্লির সফদারজং হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, এখন পর্যন্ত এই ছাত্রীর শরীরে দুই দফা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাঁকে এখনো কৃত্রিম ব্যবস্থায় বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। অনেক নারী ও ছাত্রী রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে গতকাল বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া সফদারজং হাসপাতালের সামনেও একটি গ্রুপ বিক্ষোভ করেছে। তারা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার দাবি করে।
দিল্লির পুলিশপ্রধান নিরাজ কুমার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পঞ্চমজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে নাবালক কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সে নাবালক হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বিবিসি, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে।
গত রোববার দক্ষিণ দিল্লিতে উত্তরাখন্ডের ২৩ বছর বয়সী মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্রী চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন। এরপর ওই ছাত্রী ও তাঁর সঙ্গের ছেলেবন্ধুকে নৃশংসভাবে মারধর করে তাঁদের চলন্ত বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওই ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে এডিআরের প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে ধর্ষণকারীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ আনা হলো।
এডিআরের প্রতিষ্ঠাতা জগদীপ ছোকার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ২০ ব্যক্তিকে বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছে। বিষয়টি হতাশাজনক। এ ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। যে রাজনীতিবিদেরা ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছেন, তাঁরাই আবার ধর্ষণকারীদের মদদ দিচ্ছেন। এটা ভণ্ডামি।
নয়াদিল্লিতে ওই ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দেশটির রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের সামনে গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে। ধর্ষণের শিকার সেই তরুণী এখন একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
ওই গণধর্ষণের ঘটনায় গত মঙ্গলবার ভারতের পার্লামেন্টে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সদস্যরা এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দোষী ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান।
গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫: নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেলের ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় বাসের চালক, ব্যায়ামাগারের প্রশিক্ষক, ফলবিক্রেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দিল্লি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। দিল্লির সফদারজং হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, এখন পর্যন্ত এই ছাত্রীর শরীরে দুই দফা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাঁকে এখনো কৃত্রিম ব্যবস্থায় বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। অনেক নারী ও ছাত্রী রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে গতকাল বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া সফদারজং হাসপাতালের সামনেও একটি গ্রুপ বিক্ষোভ করেছে। তারা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার দাবি করে।
দিল্লির পুলিশপ্রধান নিরাজ কুমার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পঞ্চমজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে নাবালক কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সে নাবালক হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বিবিসি, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments